কুপিয়ে হত্যা: এক ভাইয়ের স্বীকারোক্তি, আরেকজন কারাগারে
Published: 11th, June 2025 GMT
সাভারে প্রকাশ্যে স্ত্রী, কন্যা ও মায়ের সামনে রুবেল মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা মামলায় বাশার নামে এক আসামি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য আসামি তার ভাই ওবায়দুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সাভার পৌরসভার আড়াপাড়া কামাল রোড বিনোদবাইদ এলাকার আলাউদ্দিন শেখের ছেলে তারা।
বুধবার (১১ জুন) দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। বাশারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড এবং ওবায়দুলকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজুর রহমানের আদালত বাশারের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিএন্ডবি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত রুবেল মিয়া সাভার পৌর এলাকার মৃত রহমত আলীর ছেলে। তার পরিবারের অভিযোগ, গত ৬ জুন রাতে ঈদের বাজার করার সময় বাসস্ট্যান্ডের চৌরঙ্গী সুপার মার্কেটের পেছনে স্ত্রী-সন্তান ও মায়ের সামনে রুবেলকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় বাশার ও ওবায়দুল। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় রুবেলকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রুবেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা/এম/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র কারাগারে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলমের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ জুলাই) লোহাগড়া আমলী আদালতের বিচারক রত্না সাহা এই আদেশ দেন। নড়াইল আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ), যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আরো পড়ুন:
সমন্বয়ক পরিচয়ে তদবির-হুমকি: যুবককে ২ মাসের কারাদণ্ড
চট্টগ্রাম কারাগার পরিদর্শন: ছবি তোলা নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা
এ সময় ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে তারা গুলি ছুঁড়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ১৩ শিক্ষার্থীকে রামদা, বাঁশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার মুখ্য সংগঠক কাজি ইয়াজুর রহমান বাবু বাদী হয়ে ২৯৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো সাড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ নম্বর আসামি করা হয় আশরাফুল আলমকে।
ঢাকা/শরিফুল/রাজীব