লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের মধ্য দিয়ে বিদ্যমান সংকটের যৌক্তিক সমাধান আসবে বলে প্রত্যাশা করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের এমন মতভেদ ও অনৈক্য ভালো দেখায় না। নিশ্চয়ই দুই নেতার মধ্যকার বৈঠকে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে একটা যৌক্তিক সমাধান আসবে। সমঝোতার পথ খুলবে। যার মধ্য দিয়ে জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পথও খুলবে। রাষ্ট্র সংস্কার ও দেশকে পরিবর্তনের ধাপে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ মিলবে। বৃহস্পতিবার সমকালকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এমন আশা প্রকাশ করেন। 

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে মান্না বলেন, বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাইছে। নিশ্চয়ই এর পেছনে তাদের যুক্তি রয়েছে। আবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। লন্ডনে বৈঠকের মধ্য দিয়ে আলাপ-আলোচনায় এই টানাপোড়েনেরও একটা সমাধান আসবে নিশ্চয়ই। এই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করব। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার দেশকে সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে নেবে এটাই এখন গোটা জাতির প্রত্যাশা। 

সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, এক মাস ধরে সংস্কার নিয়ে আলোচনা চললো, এত  কাঠখড় পোড়ানো হলো। সেখানে লন্ডনে এক সকালের বৈঠকের মধ্য দিয়ে সব সংস্কার হয়ে যাবে এটা মনে করি না। এজন্য সকল রাজনৈতিক দলেন ঐক্যমতে একটা বৃহত্তর পদক্ষেপ নিতে হবে। জুলাই গণহত্যার বিচার প্রসঙ্গে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান মাহমুদুর রহমান মান্না। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড ইউন স ত র ক রহম ন রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ