ইউনূস সাহেব পথ হারাইয়া কথা বলতে তারেকের কাছে গেছেন: বিএনপি নেতা ফজলুর
Published: 12th, June 2025 GMT
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘ইউনূস সাহেব যখন বাংলাদেশে সমস্ত পথ হারাইয়া ফেলছেন, উনি পথ পাওয়ার জন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেবের কাছে ১২ ঘণ্টা প্লেন চালাইয়া লন্ডন পর্যন্ত গেছেন। বলছেন, আমাকে একটু কথা বলার সুযোগ দেন।’
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার বড়িবাড়ী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বড়িবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ফজলুর রহমান এ কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তারেক রহমানের সঙ্গে সেই বৈঠকটা হবে শুক্রবার। আশা করব, ইউনূস সাহেব সৎভাবে, সত্যভাবে কথা বলবেন। ইউনূস সাহেব, আপনি আমার চেয়ে ৯ বছরের বড়, আপনি আমার মুরব্বি। আপনি নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত। আমি আশা করব, তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে এ দেশকে আপনারা রক্ষা করবেন। আর আন্দোলন করতে চাই না। এখন বাংলাদেশের মানুষ একটা ভোট দিতে চায়।’
বড়িবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি উম্মে কুলসুম, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ইটনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল হোসেন, মিঠামইন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ এইচ এম জাহিদুল আলম প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন স স হ ব ব এনপ র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’