উইম্বলডনে প্রথম ম্যাচ হেরে বিদায় নিলেও কোটিপতি
Published: 12th, June 2025 GMT
উইম্বলনডন চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হবে ৩০ জুন। টেনিসের এই গ্র্যান্ড স্লাম সামনে রেখে প্রাইজমানির অঙ্ক গতবারের তুলনায় ৭ শতাংশ বাড়িয়েছেন আয়োজকেরা, যা এক দশক আগের প্রাইজমানির তুলনায় দ্বিগুণ। এবার চ্যাম্পিয়নশিপে মোট প্রাইজমানির অঙ্ক ৫ কোটি ৩৫ লাখ পাউন্ড (প্রায় ৮৮৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা)।
আরও পড়ুনবিশ্ব দাবায় দল পাঠাতে পারেনি বাংলাদেশ০৬ জুন ২০২৫একক ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রাইজমানি এবারই প্রথম ৩০ লাখ পাউন্ডের (প্রায় ৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা) সীমানা পেরিয়ে যাবে। উইম্বলডনের আয়োজক অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাব (এইএলটিসি) আজ এ খবর জানিয়েছে।
উইম্বলডনে একক ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন প্রাইজমানি হিসেবে পাবেন ৩০ লাখ পাউন্ড, যা সব কটি গ্র্যান্ড স্লামের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত বছর উইম্বলডনে একক ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রাইজমানির তুলনায় এবার ১১.
একক ইভেন্টের প্রথম রাউন্ডে হেরে বিদায় নিলেও প্রাইজমানি হিসেবে মিলবে ৬৬ হাজার পাউন্ড (প্রায় ১ কোটি ৯ লাখ টাকা)। গত বছরের তুলনায় যা ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে আর ১৯৮০ সালে বিয়ন বোর্গ উইম্বলডন জিতে যে প্রাইজমানি পেয়েছিলেন, সে তুলনায় এই অঙ্ক তিন গুণের বেশি।
আরও পড়ুনসঙ্গী দাবাড়ুকে ঢাকায় ফেরত পাঠাল দিল্লি ইমিগ্রেশন, রানী হামিদ এখন একা৭ ঘণ্টা আগেগত এক দশকে উইম্বলডনের মোট প্রাইজমানি দ্বিগুণ হয়েছে। তবে এবার প্রাইজমানির অঙ্ক ৭ শতাংশ বাড়ানো হলেও ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালে বাড়ানো হারের (১১.৯ শতাংশ) তুলনায় কম। দ্বৈত ইভেন্টে প্রাইজমানি বাড়ানো হয়েছে ৪.৪ শতাংশ, মিশ্র দ্বৈত ইভেন্টে ৪.৩ শতাংশ এবং হুইলচেয়ার ও কোয়াড হুইলচেয়ার ইভেন্টে প্রাইজমানির অঙ্ক ৫.৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন জানায়, প্যারিসে ৮ জুন শেষ হওয়া ফ্রেঞ্চ ওপেন চলাকালে একটি বৈঠকের পর উইম্বলডনের প্রাইজমানি বাড়ানো হয়। গ্র্যান্ড স্লামের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিরা ও শীর্ষ সারির খেলোয়াড়দের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উইম্বলডনের প্রধান নির্বাহী স্যালি বোল্টনও উপস্থিত ছিলেন। খেলোয়াড়েরা বেশ আগে থেকে চার গ্র্যান্ড স্লামেই (অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন, উইম্বলডন ও ইউএস ওপেন) প্রাইজমানির অঙ্ক বাড়ানোর দাবি তুলেছেন এবং বৈঠকটি ছিল এ নিয়েই।
এইএলটিসির চেয়ারম্যান ডেবি জিভান্স বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের কথা শুনেছি। আমরা তাদের সঙ্গেই আছি। তবে শুধু চারটি গ্র্যান্ড স্লামে প্রাইজমানি বাড়ানোয় মনোযোগী হলে সেটার মাধ্যমে টেনিসের মূল চ্যালেঞ্জে পৌঁছানো যায় না। টেনিসের মূল চ্যালেঞ্জ হলো খেলোয়াড়দের অফ সিজন বলে কিছু নেই, যেটা তারা চায়। চোটের পরিমাণ বাড়ছে এবং তারা এটা নিয়ে সোচ্চারও হয়েছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র প র ইজম ন প উন ড প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’