লালমোহনে এক দিনে পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
Published: 12th, June 2025 GMT
ভোলার লালমোহন উপজেলায় একদিনে পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার পৃথক পৃথক স্থানে এসব ঘটনা ঘটে।
এদিন বিকেলে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের মহেষখালি এলাকায় পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায় মো. বেল্লাল নামের আড়াই বছরের এক শিশু। সে ওই এলাকার মো. ছিদ্দিকের ছেলে। বিকেলে উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরলক্ষ্নী এলাকায় পানিতে ডুবে মারা যায় মো.
এর আগে সকালের দিকে একই ইউনিয়নে ২ নম্বর ওয়ার্ডের দালাল বাড়িতে মো. সাইমুন নামে দুই বছর বয়সী আরও এক শিশু ডোবার পানিতে ডুবে মারা যায়। সে ওই বাড়ির মো. আব্বাসের ছেলে।
জানা গেছে, এসব শিশুরা খেলার ছলে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বসতঘর সংলগ্ন পুকুর ও ডোবায় পড়ে যায়। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে স্বজনরা খুঁজতে গিয়ে শিশুদের পানিতে ভাসতে দেখেন। এরপর তাদের উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক এসব শিশুদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ মৃত ঘোষণা করেন।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। তবে এসব শিশুদের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’