রাইনার স্টাক [জন্ম–১৯৫১] সমসাময়িক জার্মান লেখক। কাফকার জীবন নিয়ে লেখা তাঁর উপন্যাসগুলো (কাফকা: দ্য ডিসিসিভ ইয়ার্স, কাফকা: দ্য ইয়ার্স অব ইনসাইট, কাফকা: দ্য আর্লি ইয়ার্স) ক্রমশ কাফকাবিষয়ক তথ্য ও ঘটনার আকর গ্রন্থে পরিণত হয়েছে। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল মুখোমুখি হয়েছিলেন– কে লারেভ্যু পত্রিকার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাংবাদিক রুথ জিলবারম্যান। অনুবাদ : তারেক মিনহাজ। 

রুথ জিলবারম্যান: কাফকার সঙ্গে প্রথম ‘পরিচয়’ নিয়ে বলুন আমাদের।
রাইনার স্টাক: আমার বয়স যখন তেরো-চৌদ্দ, কাফকার বই প্রথম পড়ি, উপন্যাস–দ্য ট্রায়াল। বয়সে বড় কিছু বন্ধু আমাকে ওটা পড়ার পরামর্শ দিয়েছিল। তারা জানত আমি পড়তে ভালোবাসি। বইটি একসঙ্গে পড়ি ও বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করি। কোনো শিক্ষকের সহায়তা ছাড়াই। তবে কতটা বুঝেছি তখন জানি না। তখন সবচেয়ে বেশি মনে দাগে কেটেছিল বইয়ের ট্র্যাজেডি নয়, কমেডি। হয়তো আমাদের বোঝাপড়ার সীমাবদ্ধতা ছিল। পরে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি, কাফকার আত্মজীবনীমূলক লেখাগুলো আমাকে গভীরভাবে নাড়া দিতে থাকে। আমি সেগুলো নিবিড় মনোযোগে পড়ি। তখনই গণিত ছেড়ে সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনার শুরু। কাফকাকে পড়া ছিল আমার অস্তিত্বের বাঁকবদলের কাল। আমার পেশাগত পথও সেদিন নির্ধারিত হয়ে যায়। 
দুই-তিন বছর আমি কাফকার একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলাম, নিঃশর্তে। পরে যখন গবেষণার সিদ্ধান্ত নিই, ভাবলাম– আবেগ থেকে দূরে দাঁড়িয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে পড়তে হবে। ভেবে দেখলাম এমন একটি বিষয় নির্বাচন করতে হবে যাতে আবেগ ও বিশ্লেষণ দুটোই একসঙ্গে যায়। ব্যাস। কাফকাকেন্দ্রিক নারীচরিত্রগুলো বেছে নিলাম।
রুথ জিলবারম্যান: কাফকাকে নিয়ে সাহিত্যবিশ্বেএত বই লেখা হয়েছে যে জড়ো করলে গ্রন্থাগার দাঁড়িয়ে যাবে। এরপরও নব্বইয়ের দশকে আপনি জীবনীমূলক লেখা লিখতে শুরু করলেন.

..
রাইনার স্টাক: আসলে কাফকার রচনাকে ব্যাখ্যা করে যত বই লেখা হয়েছে, জীবন নিয়ে সেই তুলনায় কিছুই লেখা হয়নি, এখনও নয়। তাঁকে নিয়ে কাজের নিরানব্বই শতাংশই একাডেমিক বিশ্লেষণমূলক। তাই আমার মনে একটা তাগাদা তৈরি হয়। সে সময়ে আমি অনেক কাফকা-পাঠকের সঙ্গে দেখা করতাম, আলাপ-সালাপ হতো। নিবিষ্ট পাঠক তারা। কাফকার জীবনী জানতে গিয়ে ওরা ত্রিশের দশকে ম্যাক্স ব্রডের লেখা কাফকা-জীবনী পড়ত। বললাম, “কিন্তু ব্রডের লেখাটা তো ষাট বছরের পুরোনো স্মৃতিকথা। ওটা কি আর জীবনী?” তখন পাঠক-বন্ধুরা বলল, “কিন্তু পড়ার আর কী আছে। তুমিই বলে দাও?”
তখন বিশ্বজুড়ে কাফকার রচনার ওপর লেখা বইগুলোতে তাঁর জীবন নিয়ে সংক্ষিপ্ত ভূমিকা ছিল, কিছু ছবিও কখনওসখনও। কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু দিতে শত শত গবেষণাপত্র ছিল। পরিবার, বাবা-মা, শিক্ষক, চাকরি এসব নিয়ে। এমন সব একাডেমিক জার্নালে ওগুলো ছাপা হতো সাধারণের সাধ্য ছিল না সেসব পড়ে। আমি গোথের জীবনীকার নিকোলাস বয়েলের সঙ্গে একমত। বয়েল বলতেন, “এতোএত তথ্য। এর কী মূল্য আছে যদি কেউ মালা না গাঁথে?” ওই কথাটাই আমার কাজের বৈধতা-সনদ দিয়ে দিল।
রুথ জিলবারম্যান: আপনি যে শুধু সব তথ্য এক করেছেন তা কিন্তু নয়।এত নিখুঁত ও বিস্তৃত গবেষণা করেছেন যে কাফকা জীবন্ত হয়ে উঠেছে। প্রথম খণ্ড ফরাসিতে প্রকাশিত হয়েছে আমরা জানি। তিন খণ্ডের এই কাজ শেষ করতে কত সময় লেগেছে?
রাইনার স্টাক: আঠারো বছর। আগেই কাফকার ওপর অনেক কাজ করেছিলাম। বিশেষ করে আমার অভিসন্দর্ভে। এস. ফিশারের সমালোচনামূলক গ্রন্থগুলোর প্রুফরিডার হিসেবে কাজ করার সময়ও অনেক জেনেছি। এটুকু এগিয়ে না থাকলে আরও বেশি সময় লাগত।
রুথ জিলবারম্যান: কাফকা নিজেও জীবনী পড়তে খুব ভালোবাসতেন, আপনি বলেছেন। সেখানে কী খুঁজতেন তিনি?
রাইনার স্টাক: কাফকার পাঠ্যসূচির দিকে তাকালে দেখি, নানান রকম জীবনী পড়েছেন। নেপোলিয়নের, এক কৃষকের– যে বেচারা দক্ষিণ আমেরিকায় গিয়ে সফল হয়েছিল, এক নারীবাদীর, কোনো মেরু অভিযাত্রীর। মনে হয়েছে এমন মানুষের গল্প খুঁজতেন কাফকা, যাদের একটা উদ্দেশ্য ছিল, এবং সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। কাফকা খুব করে ভাবতেন, এ জীবন নিয়ে কী করা যায়। একে সামলানো যায় কী করে।
কাফকার বেছে নেওয়া এই মানুষগুলোর প্রত্যেকেরই প্রথম জীবনের অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। যেমন লিলি ব্রাউন–নারীবাদী যিনি, এক রক্ষণশীল পরিবার থেকে এসেছিলেন। পরিবারকে পেছনে ফেলে নিজের পথ খুঁজে নিয়েছিলেন। এসব বিবরণীতে নিজেকে খুঁজতেন কাফকা। ভাবতেন, “আমারও তো একটা নাজুক ইচ্ছে আছে। আমি যে লেখক হতে চাই।”
অবশ্য দস্তয়েভস্কি, ফ্লবেয়ার, কিয়েরকেগার্ড, গ্রিলপার্জারের জীবনীও নিবিড়ভাবে পড়েছেন।
রুথ জিলবারম্যান: জীবনকে কী করে সামাল দেওয়া যায়, এ ধরনের একটা গূঢ় প্রশ্ন তো তাঁর রচনার মূল বিষয়ও, বলা যায়।
রাইনার স্টাক: ঠিক। কাফকা ভাবতেন, “এই মানুষগুলোএতএত বাধা পাওয়ার পরও কী কীরে এমন এগিয়ে গেল?” কাফকা তাঁর রচনায় এমন চরিত্র আঁকেন যারা লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়। দ্য ভারডিক্ট-এ একজন মানুষ বাবার মৃত্যুদণ্ডে মুখোমুখি হয়, দ্য ট্রায়াল-এ জোসেফ কে.-এর ব্যর্থতা আসে তার অপরাধবোধ থেকে; দ্য ক্যাসল-এ সমীক্ষক এক সমাজে প্রবেশ করতেই ব্যর্থ। কিন্তু জীবনীতে তিনি ঠিক উল্টো কিছু খুঁজতেন। জীবনীগুলোর একটি বিষয় তাঁর হৃদয়ে গভীরভাবে দাগ কেটেছিল। মানুষগুলো বাইরে বড় সাফল্য পেলেও ব্যক্তিগত জীবনে আশ্চর্যরকম ব্যর্থ। নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মিথ্যাচার করতেন কিয়ের্কেগার্দ। কাফকা ভাবতেন, “আরে ওরা তো আমার মতোই ব্যর্থ!” ব্যর্থতা বলতে সব সময় চোখে দেখা ব্যর্থতা বোঝাই না। অনেক সময় খুব সহজাত অনুভূতিও ব্যর্থতার মতো মনে হয়। গ্রিলপার্জারের জীবনীতে পড়ে খুব কষ্ট পেয়েছিলেন, যখন দেখলেন ডায়েরিতে লেখা, “আমি তেরেসাকে কোলে তুলে নিয়েছি ঠিকই, কিন্তু কোথায় সেই দোল?” সম্ভবত কাফকার তখন মনে পড়েছিল ফেলিস বাওয়ারের কথা। ফেলিসকে তিনি আদৌ কি চেয়েছিলেন?
রুথ জিলবারম্যান: ফেলিস বাওয়ারকে নিয়ে আপনার বইটি এক অসাধারণ আলোকপাত করেছে। এতদিন যাকে কাফকার ছায়ায় ঢাকা নির্বাক ভূতের মতো দেখাত, আপনি তাকে বাস্তব করে তুলেছেন।
রাইনার স্টাক: হ্যাঁ, ফেলিস বাওয়ার সম্পর্কে অনেক কিছু আবিষ্কার করেছি। আমাদের হাতে কিছু চিঠি ছিল। 

পাঁচশটি চিঠি কাফকার কাছ থেকে, মাত্র চারটি পোস্টকার্ড ফেলিসের কাছ থেকে। আমি আমেরিকায় গিয়ে ফেলিসের ছেলের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ দলিল দেন আমাকে। বাওয়ার-পরিবারে সম্পর্কের ধরন-পড়নগুলো তা থেকে বুঝতে পারি। রক্ষণশীল পরিবার। পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। কাফকা অনেক কিছু থেকে দূরে থাকলেও দ্বন্দ্বগুলো তাদের দুজনের সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছিল। ভালো আবিষ্কার ছিল ওগুলো আমি বলব। আমার চোখে ফেলিসই ছিলেন সেই স্ফুলিঙ্গ, কাফকার বুকে যে প্রশ্ন আর সিদ্ধান্তের নরককুণ্ড জ্বেলে দিয়েছিল। 
রুথ জিলবারম্যান: আপনার লেখায় গভীর বিশ্লেষণ, ঐতিহাসিক পটভূমি এবং রোমাঞ্চকর বর্ণনা–সব একসঙ্গে। কীভাবে এই ভারসাম্য বজায় রাখলেন?
রাইনার স্টাক: কাফকার ভেতর কিছু বিরোধ বারবার ফিরে এসেছে। যেমন পিতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক, যৌনতা নিয়ে ভাবনা-দুর্ভাবনা, ইহুদি পরিচয়–সব মিলিয়ে তাঁর নিজস্বতা। এই প্রশ্নও ছিল তাঁর, “আমি কি একজন আধুনিক মানুষ? নাকি এখনও উনিশ শতকের তাঁবেদারি করছি?” এ ছাড়া ছিল ভয়– যেমন, যৌনতার কাছে পরাজয়ের ভয়। কাফকা যখনই কোনো সিদ্ধান্তের মুখে পড়েন, এই সব বিষয় একসাথে জেগে উঠত। তাহলে প্রশ্ন হলো– আমি একজন জীবনীকার হিসেবে এটি কীভাবে উপস্থাপন করব? দুটি পথ ছিল। এক. আলাদা আলাদা বিশ্লেষণ। প্রথমে পিতা, তারপর যৌনতা, তারপর ধর্ম। কিন্তু এভাবে নিস্তেজ একাডেমিক হয়ে যায় সব। আরেকটি পথ হলো, উপন্যাসের ঢঙে লেখা। ধাপে ধাপে বর্ণনা করব কী ঘটছে, কে কী বলল, কখন-কেন-কী ভাবে, কী করল। এইভাবে বললে পাঠক নিজেই ধীরে ধীরে কাফকার জীবন-বাস্তবতা অনুভব করতে পারবে। প্রাকৃতিক সহমর্মিতা জন্মাবে তাদের মনে, অন্য কোনোভাবে যা সম্ভব নয়। আমার বিশ্বাস ছিল, এটিই পাঠকের পরিতৃপ্তির পথ। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ইন র স ট ক জ বন ন য় পর ব র র জ বন অন ক ক র রচন প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

তুলশীগঙ্গার তীরে সন্ন্যাসতলীর শতবর্ষী ঘুড়ির মেলা

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রাম ঘেঁষে তুলশীগঙ্গা নদীর অদূরে সন্ন্যাসতলীর বটতলা। জায়গাটিতে প্রায় একশ বছর আগে থেকে বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ শুক্রবার আয়োজন হয় ঘুড়ির মেলা। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। অন্তত ৫০ গ্রামের হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে শুক্রবার সন্ন্যাসতলী ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মেলার দিনক্ষণ মনে রেখে সময়মতো দোকানিদের পাশাপাশি দর্শনার্থীরা ভিড় জমান নিভৃত পল্লীতে। আগে মেলার দিন বৃষ্টি হওয়া যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে। প্রচণ্ড গরম ও তাপপ্রবাহের মধ্যেই চলে এ আয়োজন। বৈরী পরিবেশের কারণে উৎসবের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দারা বলছেন, সন্ন্যাসতলীর এ ঘুড়ি উৎসব শুরুর দিন বিকেলে বটতলায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় সন্ন্যাস পূজা পালন করেন। তাদের এ পূজা-অর্চনা ঘিরেই মূলত এ মেলার উৎপত্তি। তবে শুরুর কথা কেউ বলতে পারেননি। প্রবীণরা শুধু জানেন, একশ বছরের বেশি সময় ধরে তারা এ মেলার আয়োজন দেখে আসছেন।

মেলার নিজস্ব জায়গা না থাকলেও এর ব্যাপ্তি প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই এক দিনের এ মেলা ঘিরেই জেলার জামালগঞ্জ চারমাথা থেকে ঐতিহাসিক আছরাঙ্গাদীঘি পর্যন্ত রকমারি পণ্যের দোকান বসে। এখান থেকে সংসারের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আসবাব থেকে শুরু করে ছোট মাছ ধরার বাঁশের তৈরি পণ্য খলসানি, টোপা, ডালা, চালুন কিনে নেন অনেকে।

সুতার তৈরি তৌরা জাল, গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, বিভিন্ন ধরনের খেলনা, মিষ্টান্ন, প্রসাধনী, মাটির তৈজসপত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি হয়। শিশুদের বিনোদনের জন্য ছিল নাগরদোলার ব্যবস্থাও। আর মেলার বড় আকর্ষণ ঘুড়ি ওড়ানো ও বিক্রি। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এসেছিলেন ঘুড়ি বিক্রি করতে।

প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি তেমন হাওয়া-বাতাস না থাকায় এবার ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা সেভাবে জমে ওঠেনি। তবে ঘুড়ি বেচাকেনা ও শিশু-কিশোরদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। এ উপলক্ষে আসা হাজার হাজার দর্শনার্থীর নিরাপত্তার জন্য মেলায় সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল ছিল।

আদমদীঘির শিববাটি গ্রামের ঘুড়ি ব্যবসায়ী সালাম হোসেনের ভাষ্য, সন্ন্যাসতলীর মেলা বড় হওয়ায় তিনি এসেছেন ঘুড়ি বিক্রির জন্য। মেলায় প্রত্যাশা অনুযায়ী ঘুড়ি বিক্রি করতে পেরে তিনি খুশি। জয়পুরহাটের পার্বতীপুর এলাকার ঘুড়ি ব্যবসায়ী মফিজ উদ্দিন ও মজনু সরদার বলেন, পূর্বপুরুষের আমল থেকে এ মেলার কথা শুনে আসছেন তারা।

মেলা উদযাপন ও পূজা কমিটির সদস্য মহব্বতপুর গ্রামের মন্টু মণ্ডল বলেন, মেলাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের হলেও এটি আসলে সব ধর্মালম্বীর মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। 

মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মিলন হোসেনের ভাষ্য, এক দিনের আয়োজনে যে এত লোকের সমাগম হতে পারে, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। মেলায় যেন অনৈতিক কর্মকাণ্ড না হয়, সে ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ক্ষেতলাল থানার ওসি মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং মেলায় আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসন সতর্ক আছে। মেলায় অনৈতিক আচরণ লক্ষ্য করা গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ