উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে নিহত হয়েছেন গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি
Published: 13th, June 2025 GMT
ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হওয়া যুক্তরাজ্যের লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটিতে ছিলেন গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি (৬৯)। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এই নেতা নিহত হয়েছেন।
সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর নিহত হওয়ার তথ্য গতকাল বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেন ভারতের কেন্দ্রীয় জলশক্তিবিষয়ক মন্ত্রী সি আর পাতিল। তিনি বলেন, ‘এটা বিজেপি পরিবারের জন্য একটি গভীর শোকের বিষয়।’
আরও পড়ুনবিশ্বের ইতিহাসে ভয়াবহ ১০ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা৭ ঘণ্টা আগেজানা গেছে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে লন্ডন যাচ্ছিলেন বিজয়। তিনি ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিজয় ১৯৫৬ সালে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তিনি পরিবারসহ ভারতের গুজরাটের রাজকোটে চলে আসেন। তিনি সৌরাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন।
আরও পড়ুনবিধ্বস্ত উড়োজাহাজের এক যাত্রী বেঁচে গেছেন, হাসপাতালে ভর্তি৬ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে (এবিভিপি) যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে বিজয়ের রাজনৈতিক জীবনের শুরু। ১৯৭৬ সালে ভারতে জরুরি অবস্থা চলার সময় এর বিরোধীতা করায় বিজয়কে কারাগারে যেতে হয়।
বিজেপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিজয় দলের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত হন। রাজকোটে বিজেপির কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৯০ এর দশকে গুজরাট বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৬ সালে তিনি রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১২ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্বে ছিলেন।
আরও পড়ুনভারতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত কী কারণে, বিশেষজ্ঞরা যা ভাবছেন৪ ঘণ্টা আগে২০২২ সালে গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজয় নির্বাচনী রাজনীতি থেকে অবসর নেন। এরপর তাঁকে বিজেপির জাতীয় সহসভাপতি করা হয়। পাঞ্জাব ও চণ্ডীগড়ে দলকে সংগঠিত করার দায়িত্ব পান তিনি।
বিজয়ের মৃত্যু সংবাদে পাঞ্জাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুনীল জাখার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুনভারতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ২৪০ জনের বেশি১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম খ যমন ত র ব ধ বস ত কর ছ ন ব জয় র
এছাড়াও পড়ুন:
আয়কর রিটার্নে ভুল হলে কীভাবে ঠিক করবেন
বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমায় ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক, ভুল হতেই পারে। করের হিসাবেই বেশি ভুল হয়। কর রেয়াতের হিসাবেও ভুল করেন অনেক করদাতা। এ ছাড়া করদাতারা এমনিতেই আয়কর নিয়ে ভয় ও শঙ্কায় থাকেন।
যদি কোনো কারণে রিটার্ন ভুল হয়ে যায়, তাহলে আপনার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে না। আপনি রিটার্ন জমার পরও তা সংশোধন করতে পারবেন। দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
এবার দেখা যাক, কীভাবে রিটার্নের ভুল সংশোধন করবেন।
তিন ভুল সংশোধন করা যাবে
রিটার্নে তিন ধরনের ভুল সংশোধন করা যাবে। রিটার্ন দাখিলের পর যদি করদাতার কাছে প্রতীয়মান হয় যে তাঁর প্রদেয় কর সঠিকভাবে পরিগণিত হয়নি বা সঠিক অঙ্কে পরিশোধিত হয়নি, তাহলে তিনি সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। যেসব ভুল সংশোধন করা যাবে, তা হলো—১. প্রদর্শিত আয়, ২. দাবি করা কর অব্যাহতি বা ক্রেডিট ও ৩. অন্য যেকোনো যৌক্তিক কারণে ভুল।
যাঁরা ভুল সংশোধন করতে পারবেন না
রিটার্নে তিন ধরনের কারণে ভুল সংশোধন করা যাবে না। এগুলো হলো—১. রিটার্ন দাখিল করার তারিখ থেকে ১৮০ দিন শেষ হওয়ার পর, ২. সংশোধিত রিটার্ন প্রথমবার দাখিলের পর ও ৩. মূল রিটার্নটি নিরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর।
অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন
করদাতাদের জন্য অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন জমার সুবিধা চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সংশোধন অপশন ব্যবহার করতে হবে। সংশোধনী রিটার্নে যদি করের পরিমাণ বাড়ে, তাহলে নিয়ম অনুসারে বাড়তি করসহ জরিমানা দিতে হবে।
যেসব করদাতা অনলাইনে মূল আয়কর রিটার্ন দাখিলের পর ভুলত্রুটির কারণে অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে চান, তাঁদের জন্য অনলাইনে সংশোধিত আয়কর রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা চালু আছে। যাঁরা সংশোধন অপশন ব্যবহারের জন্য অনলাইনে প্রবেশ করবেন, তাঁদের অবশ্যই সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
আয়কর দিবস–পরবর্তী সময়েও বছরব্যাপী অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সুবিধাও চালু আছে।
সরাসরি রিটার্ন দাখিল
আয়কর আইনে কর কার্যালয়ে গিয়েও ভুল সংশোধনী রিটার্ন দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। সর্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে কোনো করদাতা রিটার্ন দেওয়ার পর যদি দেখেন যে অনিচ্ছাকৃত ভুলে রিটার্নে কম আয় দেখিয়েছেন, কম কর পরিশোধ করেছেন কিংবা বেশি কর রেয়াত, কর অব্যাহতি বা অন্য কোনো কারণে কম কর পরিশোধ করেছেন। হিসাবের ভুলেও এমন হতে পারে। তাহলে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের কাছে এই রিটার্ন জমা দিতে হয়।
আপনি ভুল সংশোধনী রিটার্ন জমার পর উপকর কমিশনার যদি সন্তুষ্ট হন যে সব শর্ত পূরণ করা হয়েছে, তাহলে তিনি রিটার্নটি গ্রহণ করবেন। প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ দেবেন।