ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হওয়া যুক্তরাজ্যের লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটিতে ছিলেন গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি (৬৯)। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এই নেতা নিহত হয়েছেন।

সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর নিহত হওয়ার তথ্য গতকাল বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেন ভারতের কেন্দ্রীয় জলশক্তিবিষয়ক মন্ত্রী সি আর পাতিল। তিনি বলেন, ‘এটা বিজেপি পরিবারের জন্য একটি গভীর শোকের বিষয়।’

আরও পড়ুনবিশ্বের ইতিহাসে ভয়াবহ ১০ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা৭ ঘণ্টা আগে

জানা গেছে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে লন্ডন যাচ্ছিলেন বিজয়। তিনি ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিজয় ১৯৫৬ সালে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তিনি পরিবারসহ ভারতের গুজরাটের রাজকোটে চলে আসেন। তিনি সৌরাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন।

আরও পড়ুনবিধ্বস্ত উড়োজাহাজের এক যাত্রী বেঁচে গেছেন, হাসপাতালে ভর্তি৬ ঘণ্টা আগে

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে (এবিভিপি) যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে বিজয়ের রাজনৈতিক জীবনের শুরু। ১৯৭৬ সালে ভারতে জরুরি অবস্থা চলার সময় এর বিরোধীতা করায় বিজয়কে কারাগারে যেতে হয়।

বিজেপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিজয় দলের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত হন। রাজকোটে বিজেপির কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৯০ এর দশকে গুজরাট বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৬ সালে তিনি রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১২ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্বে ছিলেন।

আরও পড়ুনভারতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত কী কারণে, বিশেষজ্ঞরা যা ভাবছেন৪ ঘণ্টা আগে

২০২২ সালে গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজয় নির্বাচনী রাজনীতি থেকে অবসর নেন। এরপর তাঁকে বিজেপির জাতীয় সহসভাপতি করা হয়। পাঞ্জাব ও চণ্ডীগড়ে দলকে সংগঠিত করার দায়িত্ব পান তিনি।

বিজয়ের মৃত্যু সংবাদে পাঞ্জাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুনীল জাখার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুনভারতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ২৪০ জনের বেশি১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম খ যমন ত র ব ধ বস ত কর ছ ন ব জয় র

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ