বৈদ্যুতিক মিটার বিস্ফোরণের পর ১১ বসতঘরে আগুন
Published: 13th, June 2025 GMT
একটি ঘরের বৈদ্যুতিক মিটার বিস্ফোরণের পর সূত্রপাত হয় আগুনের। এরপর তা ছড়িয়ে পড়লে পুড়ে যায় ১১টি বসতঘর। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের পশ্চিম মনকিচর ২ নম্বর ওয়ার্ডের কালু মাঝির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরগুলো আবুল কালাম, মরিয়ম বেগম, নুরুল আলম, রেহানা বেগম, মনির উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, মিনার বেগম, রোজিনা বেগম, রহিমা বেগম, মো.
শীলকূপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাশেদ নুরী প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রাথমিকভাবে ৫০ কেজি করে চাল ও ২টি করে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আগুনে ১১টি ঘরে অন্তত ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য সিদ্দিক আকবর।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বৈদ্যুতিক মিটার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত। এরপর ঘরগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়লে সেখানে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।