বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আজ শুক্রবার (১৩ জুন) দায়িত্ব পেয়ে প্রথবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন। সেখানে তিনি কীভাবে কাজ করবেন, নেতৃত্বে কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নিতে চান, তরুণদের কিভাবে কাজে লাগাবেন, কোন অভিজ্ঞতা তাকে পথ দেখাবে সেটা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে কথা বলেন নতুন এই অধিনায়ক।

নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা না থাকলেও দলের হয়ে দীর্ঘদিন খেলার অভিজ্ঞতা মিরাজকে তৈরি করেছে। তিনি জানান, “বাংলাদেশ দলে (ওয়ানডেতে) আমার অভিষেক হয়েছিল মাশরাফি ভাইয়ের অধীনে। আমি (খেলোয়াড় হিসেবে) অনেক অধিনায়ককে পেয়েছি। এটা আমার জন্য ভালো লাগার বিষয় যে তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। যেটা আমি হয়তো আমার এই অধিনায়কত্বের সময়ে কাজে লাগাতে পারব।”

তিনি আরও বলেন, “তারা যেভাবে সিদ্ধান্ত নিতেন, শক্তভাবে সিদ্ধান্ত নিতেন, সে জিনিসগুলো আমি অনুসরণ করেছি যে কীভাবে নিতেন। অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতিতে শক্তভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয় নিজের। অনেক সময় পক্ষে আসবে, অনেক সময় আসবে না। কিন্তু ওই সিদ্ধান্ত কীভাবে নিচ্ছি, সেটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ।”

আরো পড়ুন:

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশের লক্ষ্য ‘৪-৫-৬’

ওয়ানডের নতুন অধিনায়ক মিরাজ

নেতৃত্বে যেমন অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য তরুণদের প্রস্তুত করা। সেই দিকটাও ভেবেছেন মিরাজ, “যারা জুনিয়র আছে, তাদেরকে অবশ্যই পারফর্ম করতে হবে ওই পরামর্শগুলো দেব। আমরা যখন প্রথমে ঢুকেছিলাম, বড় ভাইয়েরা আমাদেরকে যেভাবে সাহায্য করেছে, চেষ্টা করব ওভাবে সাহায্য করার জন্য। ড্রেসিংরুমটাকে ওভাবে রাখার জন্য। যেন যেই ড্রেসিংরুমে থাকে না কেন, সে যেন অনুভব না করে আমি একা, আমার সঙ্গে সবাই আছে।”

নেতৃত্বের ভার গ্রহণ করে শুধু মাঠের দায়িত্ব নয়, ড্রেসিংরুমের পরিবেশ গঠন ও ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি তৈরির কথা বললেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এবার দেখার পালা, এই তরুণ নেতার হাতে ওয়ানডে দলে কতটা বদল আসে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানের জনগণকে বিদ্রোহ করার ডাক দিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

ইরানে ক্ষমতাসীন কট্টর ইসলামপন্থি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দেশটির সাধারণ জনগণকে বিদ্রোহ করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সূত্র: আরটি

ভিডিওবার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, গত কয়েক দশক ধরে যে অশুভ ও নিপীড়ক শাসকগোষ্ঠী আপনাদের ঘাড়ে চেপে বসে আছে, তাদেরকে নামানোর সময় এসেছে। আপনারা আপনাদের পতাকা এবং ঐতিহাসিক উত্তরাধিকারের ছায়াতলে আসুন। নিপীড়নবাদী শাসন থেকে মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হোন, আওয়াজ তুলুন। যে সুযোগ আপনাদের সামনে এসেছে, তাকে গ্রহণ করুন।

তিনি আরও বলেন, ইরানে আমরা যে সামরিক অভিযান শুরু করেছি, তা সেখানকার জনগণের বিরুদ্ধে নয়। আমাদের সামরিক অভিযান ইরানের পরমাণু হুমকি ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির বিরুদ্ধে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ অন্তত ৮টি শহরে বড় ধরনের বিমান হামলা করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী (আইএএফ)। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৮ জন এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০০।

ইরানের পরমাণু প্রকল্প ও সামরিক বাহিনীর স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছিল। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হামলায় ইরানের অন্তত ১০০টি স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এরপর শুক্রবার মধ্যরাতে ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবসহ অন্যান্য শহরে হামলা চালায় ইরান। এতে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত ইসরায়েলি। নিহত হয়েছেন ৩ ইসরায়েলি নারী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ