নতুন যাত্রায় পুরনো অভিজ্ঞতার আলোয় পথ চলতে চান মিরাজ
Published: 13th, June 2025 GMT
বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আজ শুক্রবার (১৩ জুন) দায়িত্ব পেয়ে প্রথবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন। সেখানে তিনি কীভাবে কাজ করবেন, নেতৃত্বে কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নিতে চান, তরুণদের কিভাবে কাজে লাগাবেন, কোন অভিজ্ঞতা তাকে পথ দেখাবে সেটা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে কথা বলেন নতুন এই অধিনায়ক।
নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা না থাকলেও দলের হয়ে দীর্ঘদিন খেলার অভিজ্ঞতা মিরাজকে তৈরি করেছে। তিনি জানান, “বাংলাদেশ দলে (ওয়ানডেতে) আমার অভিষেক হয়েছিল মাশরাফি ভাইয়ের অধীনে। আমি (খেলোয়াড় হিসেবে) অনেক অধিনায়ককে পেয়েছি। এটা আমার জন্য ভালো লাগার বিষয় যে তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। যেটা আমি হয়তো আমার এই অধিনায়কত্বের সময়ে কাজে লাগাতে পারব।”
তিনি আরও বলেন, “তারা যেভাবে সিদ্ধান্ত নিতেন, শক্তভাবে সিদ্ধান্ত নিতেন, সে জিনিসগুলো আমি অনুসরণ করেছি যে কীভাবে নিতেন। অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতিতে শক্তভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয় নিজের। অনেক সময় পক্ষে আসবে, অনেক সময় আসবে না। কিন্তু ওই সিদ্ধান্ত কীভাবে নিচ্ছি, সেটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ।”
আরো পড়ুন:
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশের লক্ষ্য ‘৪-৫-৬’
ওয়ানডের নতুন অধিনায়ক মিরাজ
নেতৃত্বে যেমন অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য তরুণদের প্রস্তুত করা। সেই দিকটাও ভেবেছেন মিরাজ, “যারা জুনিয়র আছে, তাদেরকে অবশ্যই পারফর্ম করতে হবে ওই পরামর্শগুলো দেব। আমরা যখন প্রথমে ঢুকেছিলাম, বড় ভাইয়েরা আমাদেরকে যেভাবে সাহায্য করেছে, চেষ্টা করব ওভাবে সাহায্য করার জন্য। ড্রেসিংরুমটাকে ওভাবে রাখার জন্য। যেন যেই ড্রেসিংরুমে থাকে না কেন, সে যেন অনুভব না করে আমি একা, আমার সঙ্গে সবাই আছে।”
নেতৃত্বের ভার গ্রহণ করে শুধু মাঠের দায়িত্ব নয়, ড্রেসিংরুমের পরিবেশ গঠন ও ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি তৈরির কথা বললেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এবার দেখার পালা, এই তরুণ নেতার হাতে ওয়ানডে দলে কতটা বদল আসে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
আরো পড়ুন:
গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।
বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক