প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে কতো টাকা পেলো দ. আফ্রিকা?
Published: 14th, June 2025 GMT
আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকেট পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়াকে আজ শনিবার (১৪ জুন) লর্ডসে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবার আইসিসির কোনো শিরোপা জিতে নেয়।
অবশ্য আইসিসি এই টুর্নামেন্টের প্রাইজমান অর্থের পরিমাণ আগেই প্রকাশ করেছিল। যেখানে অর্থের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হয়েছিল। এবারের আসরে মোট ৫.
চ্যাম্পিয়ন হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩.৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪৪ কোটি টাকা) পেয়েছে। আর রানার্সআপ দল অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে ২.১৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৬ কোটি টাকা)।
আরো পড়ুন:
চোকার্স দক্ষিণ আফ্রিকা এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
লর্ডসে ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে দ. আফ্রিকা
শুধু চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দলই নয়, প্রাইজমানি পেয়েছে তৃতীয় থেকে নবম হওয়া দলগুলোও। চলুন দেখে নেওয়া যাক তাদের অর্থের পরিমাণ।
অন্যান্য দলের প্রাইজমানির পরিমাণ:
ভারত (তৃতীয় স্থান): ১.৪ মিলিয়ন ডলার (প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি টাকা),
নিউ জিল্যান্ড (চতুর্থ স্থান): ১.২ মিলিয়ন ডলার (প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা),
ইংল্যান্ড (পঞ্চম স্থান): ৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার (প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা),
শ্রীলঙ্কা (ষষ্ঠ স্থান): ৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার (প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা),
বাংলাদেশ (সপ্তম স্থান): ৭ লাখ ২০ হাজার ডলার (প্রায় ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা),
ওয়েস্ট ইন্ডিজ (অষ্টম স্থান): ৬ লাখ ডলার (প্রায় ৭ কোটি টাকা),
পাকিস্তান (নবম স্থান): ৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার (প্রায় পৌনে ৬ কোটি টাকা)।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট স ট চ য ম প য়নশ প র পর ম ণ
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন