দেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে বাঁধন অভিনীত ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। ছবিতে অভিনয় করে নতুনভাবে এখন আলোচনায় রয়েছেন তিনি। দর্শক টানতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ছুটছেন এই অভিনয়শিল্পী। তেমনই এক প্রচারণায় গিয়ে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেন না বাঁধন। কাঁদলেন। এরপর আবার সামলে নিয়ে কথা বলেন।
খুনের রহস্য উদ্ঘাটনের গল্প নিয়েই সিনেমা ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। ঈদুল আজহায় সিনেমাটি ছয়টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। সিনেমার পরিচালক সানী সানোয়ার জানান, আগে থেকেই তাঁদের পরিকল্পনা ঢাকার মধ্যে থাকা। এরপর তাঁরা সিনেমাটি ঢাকার বাইরে মুক্তি দিতে চান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সিনেমাটি দর্শক দেখলেই বুঝতে পারবে, অন্য রকম একটি গল্প। সব শ্রেণির দর্শকের জন্য গল্পটি হলেও মাল্টিপ্লেক্সই আমাদের প্রথম টার্গেট। পরে আমরা পরিস্থিতি বুঝে ঢাকার বাইরে মুক্তি দেব।’
‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ ছবিটি ঢাকার বাইরে সিঙ্গেল স্ক্রিনে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানালেন অভিনয়শিল্পী বাঁধনও। ঈদের দিন থেকে সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে সিনেপ্লেক্সে। প্রতিদিন দর্শক প্রতিক্রিয়া জানতে বিভিন্ন হলে ছুটে যাচ্ছেন বাঁধন। দর্শকদের ইতিবাচক সাড়া দেখে সিঙ্গেল স্ক্রিন কর্তৃপক্ষকেও ছবিটি প্রদর্শনের ঝুঁকি নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বাঁধন।
বাঁধন। অভিনেত্রীর ফেসবুক থেকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক কৃষকের মরিচখেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তাঁর মরিচখেতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ওই গ্রেনেড পান। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। এরপর বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য ওই বস্তু দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।
সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময়ে সক্রিয় থাকে। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।