মানবিক সহায়তাকে অস্ত্রীকরণ করেছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ
Published: 14th, June 2025 GMT
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য গঠিত জাতিসংঘের সহায়তা সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ মনে করে, ‘গাজায় মানবিক সহায়তাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল। এতে ভয় ও দুর্দশা বাড়ছে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের। চলমান ত্রাণ ব্যবস্থায় অরাজকতা ও সম্পদের অপচয় হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ উঠিয়ে নিয়ে জাতিসংঘকে আবারও সম্পূর্ণরূপে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধও করেছে ইউএনআরডব্লিউএ। এর মধ্যেই আবারও গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে গুলি ও গোলাবর্ষণ শুরু করেছে ইসরায়েল। খাবার ও ওষুধ সংগ্রহ করতে আসা মানুষদের লক্ষ্য করে শনিবার চালানো হামলায় প্রাণ গেছে অন্তত ২৩ জনের। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) খাবার ও ওষুধ বিতরণ কেন্দ্রে জড়ো হওয়া মানুষের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয় সমন্বয় কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) মুখপাত্র জেনস লার্কে বলেন, ‘জিএইচএফ যা করার কথা ছিল, তা করতে পারছে না। কারণ, মানবিক কার্যক্রম মানে হচ্ছে, নিরাপদ পরিবেশে অভাবগ্রস্ত মানুষকে খাবার ও ওষুধ দেওয়া।’
এদিকে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ বলেছেন, ‘গাজায় যা হচ্ছে তা সম্পূর্ণরূপে গণহত্যার সমান। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল গাজার বেশির ভাগ অংশকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে এবং এটি ফিলিস্তিনি জনগণকে সম্পূর্ণরূপে উৎখাত করার পরিকল্পনার অংশ।’ তিনি আরও লেখেন, ‘প্রতি মুহূর্তে নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছে, যাদের বেশির ভাগই শিশু।’
আলবানিজ সমালোচনা করে বলেন, আন্তর্জাতিক মহল এই অভিযানকে ‘যুদ্ধ’ বলছে, যা সম্পূর্ণ ‘অগ্রহণযোগ্য’।
শুক্রবার ইরানের ওপর ইসরায়েল ব্যাপক হামলার পর জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়েডেফুলের মধ্যপ্রাচ্য সফরসূচিতে পরিবর্তন এসেছে। এ ছাড়া জাতিসংঘ ও সৌদি সরকারের উদ্যোগে প্যারিসে অনুষ্ঠেয় ফিলিস্তিনবিষয়ক সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। কারণ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিরতা ও নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের অগ্রগতিতে ফ্রান্সের অঙ্গীকার অটুট রয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাক্তন স্ত্রী দেবশ্রীর সঙ্গে প্রেমের সিনেমা করতে চান প্রসেনজিৎ
ভারতীয় বাংলা সিনেমার তারকা জুটি প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি ও দেবশ্রী রায়। পর্দায় এ জুটির রোমান্স দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অসংখ্য ভক্ত। রুপালি পর্দার রোমান্স ব্যক্তিগত জীবনেও গড়ায়। ভালোবেসে দেবশ্রী রায়কে বিয়ে করেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু কয়েক বছর পরই এ বিয়ে ভেঙে যায়। তারপর দুজনের পথ আলাদা হয়ে যায়।
সংসার ভাঙার পাশাপাশি দর্শক হারান রুপালি পর্দার জনপ্রিয় এই জুটিকে। এরপর আর কোনো সিনেমায় একসঙ্গে দেখা যায়নি তাদের। অবশেষে দূরত্ব কমিয়ে দেবশ্রীর সঙ্গে সিনেমা করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলেন প্রসেনজিৎ।
আরো পড়ুন:
নিজেকে তৈরি করে খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করব: স্বস্তিকা
ছেলের বন্ধুরা ‘দিদি’ বলে ডাকে: শ্রাবন্তী
কিছুদিন আগে ‘আমি যখন হেমা মালিনী’ সিনেমার প্রচারে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেছিলেন—“দেব-শুভশ্রী জুটির পর আমি চাই আবার প্রসেনজিৎ-দেবশ্রী জুটি ফিরুক, এই জুটিটা ফেরার অত্যন্ত প্রয়োজন।” ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার প্রচারে চিরঞ্জিতের এই বক্তব্য প্রসেনজিৎকে জানানো হয়।
এ বিষয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, “আমি তো চাই দীপকদা একটা স্ক্রিপ্ট লিখুক আমাদের জন্য, আমার বহুদিনের ইচ্ছা ছিল এবং আমি অনেকবার দীপকদাকে বলেছি যে, আমি তোমার পরিচালনায় একটা কাজ করতে চাই। দীপকদা, আমাদের জন্য যদি পরিচালনা করেন তাহলে অবশ্যই আমি সিনেমা করতে চাই। আর আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে দেবশ্রীর সঙ্গে আবারো একটা পরিণত প্রেমের সিনেমা করতে চাই।”
তাহলে কী পুরোনো তিক্ততা ভুলে গেছেন প্রসেনজিৎ? জবাবে এই নায়ক বলেন, “আমার কারো সঙ্গে কোনো তিক্ততা নেই। যে আমার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলবে, আমি সব সময় তাদের জন্য আছি। আর কোনো তিক্ততা নিয়ে বাঁচতে চাই না, যে কটা দিন আছি সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক নিয়েই থাকতে চাই।”
এক সময় দেবশ্রীকে নিয়ে কথা বলতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন না প্রসেনজিৎ। তবে অভিমান ভুলে কাজের ক্ষেত্রে আবার এক হওয়ার কথা বললেন তিনি। বর্তমানকে ভালোবেসে যেমন এগিয়ে যান, ঠিক তেমনই কি অতীতকেও আঁকড়ে বাঁচেন?
এ প্রশ্নের জবাবে প্রসেনজিৎ বলেন, “নিজের অতীতকে কখনো উপেক্ষা করা যায় না। মাঝেমাঝেই আমি আমার অতীতে ফিরে যাই; সেই সময়গুলোর জন্যই আজকের আমি। অতীত আমাকে অনেক ভালোবাসা, রাগ-দুঃখ-ক্ষোভ দিয়েছে। আমার ক্ষেত্রে যেটা অল্প কিন্তু তবু আছে সেটা হলো—ঘৃণা। সেটাও পেয়েছি, তবে অতীত যেমনই হোক না কেন, তাকে কখনো ফেলে দেওয়া যায় না। আমরা সবাই মাঝে মাঝে অতীতে ফিরে যাই।”
সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলে গেছে। বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতেও দ্বিধাবোধ করেন না প্রসেনজিৎ।তার ভাষায়—“এই বদলগুলোকে মেনে না নিলে আমাকে পিছিয়ে পড়তে হবে। আমি প্রচুর বদল দেখেছি, তবে যেই সময় যেটা এসেছে, তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছি, এটাই তো করা উচিত। না হলে বর্তমান প্রজন্ম থেকে দূরে সরে যেতে হবে।”
ঢাকা/শান্ত