ম্যাচের স্কোরলাইন আর যাকেই হোক, ফিফাকে সন্তুষ্ট করবে না। এই প্রথম ৩২ দল নিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ, যা নিয়ে নানা সমালোচনার পরও ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম ম্যাচে লিওনেল মেসি নামছেন বলে দুর্দান্ত একটা শুরুর আশাও নিশ্চয়ই ছিল ফিফার।

কিন্তু বর্ধিত কলেবরের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের ফলটা হলো নিতান্তই সাধারণ। মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ইন্টার মায়ামি বা আল আহলি কোনো দলই গোল করতে পারেনি।  ইন্টার মায়ামি ০, আল আহলি ০। শেষটা সমতায় হলেও ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচটি অবশ্য লড়াই, পাল্টা লড়াইয়ে ভালোই জমেছিল। যে লড়াইয়ে ম্যাচসেরার স্বীকৃতি উঠেছে এক আর্জেন্টাইনের হাতে।

ম্যাচে কোনো দল গোল করতে না পারলেও সম্ভাবনায় বেশি এগিয়ে ছিল আল আহলি। মিসরের ক্লাবটি প্রথমার্ধের শেষ দিকেই পেনাল্টি পেয়েছিল। তবে সেটি সেভ করে ফেলেন ইন্টার মায়ামি গোলকিপার অস্কার উসতারি। ৩৮ বছর বয়সী এই গোলকিপার শুধু ৪৩তম মিনিটের ওই পেনাল্টি সেভই নয়, পুরো ৯০ মিনিটের খেলায় সেভ করেছেন মোট ৮টি।

ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে থাকা উসতারিকে আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা ভালো করেই চেনার কথা। ২০০৫ সালে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলের গোলকিপার ছিলেন উসতারি, যা ছিল আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির প্রথম শিরোপা। এরপর দুজনে একসঙ্গে জিতেছেন ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকের সোনাও। পরবর্তী সময়ে লা লিগার দল হেতাফে ও আলমেরিয়ায় খেলা উসতারি অবশ্য আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজেতে থিতু করতে পারেননি। খেলতে পেরেছেন মোটে দুটি ম্যাচ।
চিলির দল অডাক্স ইতালিয়ানো থেকে তাঁকে গত বছর মায়ামিতে নিয়ে আসেন কোচ হাভিয়ের মাচেরানো।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

বাবা পটুয়া কামরুল হাসান স্মরণে মেয়ে শুমোনা হাসানের গান

ভালোবাসা, স্মৃতি ও উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে এক আবেগঘন পরিবেশে পটুয়া কামরুল হাসানের কন্যা শুমোনা হাসান তার বাবাকে উৎসর্গ করে একটি হৃদয়স্পর্শী গান প্রকাশ করেছেন।

বাবা দিবস উপলক্ষে আজ দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানে ‘কত দূর বাবা তোমার বাড়ি’ শিরোনামে গানটি প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুমোনার পরিবার, ঘনিষ্ঠজন, এবং সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মীরা।

গানটি শুমোনার নিজস্ব রচনা, সুর এবং কণ্ঠে পরিবেশিত। এতে ফুটে উঠেছে একজন কন্যার তার বাবার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো, তাদের ভালবাসা, সংগ্রাম এবং অনন্য সম্পর্কের গল্প। গানের প্রতিটি কথা ও সুর যেন এক আবেগের যাত্রাপথ।

অনুষ্ঠানে শুমোনা বলেন, ‘এই মুহূর্তটি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য এক বিজয়ী এবং আবেগময় সময়। বাবার আত্মা সবসময় আমাকে পথ দেখিয়েছে। এই গানটি তার প্রতি আমার ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার ছোট্ট বহিঃপ্রকাশ।’

শুমোনা জানান, ভবিষ্যতেও তিনি এই ধারা অব্যাহত রেখে তাঁর বাবার স্মৃতিকে সম্মান জানাতে চান সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ