প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লন্ডন সফরে রাজনৈতিকসহ সব আলোচনার বিস্তারিত দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার দাবি জানিয়েছে বামপন্থি দলগুলো। শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিপিবি কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার যৌথ সভায় এ দাবি জানানো হয়।

জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু, বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইকবাল কবির জাহিদ, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, মাসুদ রানা, মোশরেফা মিশু, হারুনার রশিদ ভূইয়া, শহিদুল ইসলাম, মাসুদ খান, শাহীন রহমান, আব্দুস সাত্তার, বেলাল চৌধুরী প্রমুখ।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশে দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, লন্ডনে সরকারপ্রধান ড.

ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের মধ্য দিয়ে নির্বাচনকেন্দ্রিক অচলাবস্থা, সন্দেহ এবং অবিশ্বাস অনেকখানি দূর হবে বলে আশা করা যায়। লন্ডন বৈঠকে দু’জনের আলোচনার বিষয় রাজনৈতিক দল ও দেশবাসীকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করার আহ্বান জানান তিনি। সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আহ্বায়ক শেখ আবদুর নূর, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান প্রমুখ। 

ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর এক বিবৃতিতে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সময় রেখে দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে জাতীয় নির্বাচনের সময় কখন নিশ্চিত হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। নির্বাচনের পরিপূর্ণ রোডম্যাপ ছাড়া লন্ডন বৈঠক অর্থ বহন করবে না।

এদিকে শনিবার এক আলোচনা সভায় নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এম শহীদুজ্জামান অভিযোগ করেছেন, লন্ডন সফরের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা একটি দলকে প্রাধান্য দিয়েছেন। জুলাই আন্দোলনে এদেশের শিক্ষার্থীরা জীবন দিল, এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হওয়া উচিত নয়।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র প্রস্তাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা আয়োজন করে অবসরে যাওয়া সেনা সদস্যদের প্ল্যাটফর্ম ‘নেক্সাস ডিফেন্স অ্যান্ড জাস্টিস–এনডিজে’।

এনডিজে সভাপতি মোহাম্মদ হাসান নাসিরের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন লে. কর্নেল (অব.) ফেরদৌস আজিজ, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মেজর (অব.) জামান হায়দার, জবান পত্রিকার সম্পাদক রেজাউল করিম রনি, এনসিপির উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাছের খান, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদী প্রমুখ।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত র জন ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী

বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন; পরে আবার হঠাৎই হারিয়ে গেছেন। কিমি কাতকার তেমনই একজন। ১৯৮০-এর দশকে বলিউডে তিনি ছিলেন আলোচিত ও সাহসী অভিনেত্রীদের একজন।

কিমির উত্থান
আশির দশকটি বলিউডে সৃজনশীল ও পরিবর্তনের সময় ছিল, যেখানে অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁদের ছাপ ফেলেছেন। কিমি ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম উদীয়মান নায়িকা। পর্দায় সাহসী দৃশ্যের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। যদিও তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত; কিন্তু এর মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন।

মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া কিমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে, পরে তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৮৫ সালে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’ দিয়ে আলোচিত হন তিনি। সিনেমার সাফল্য তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। হেমন্ত বীরজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দর্শকদের মন মাতিয়ে দেন। তবে এ ছবিতেই একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। দৃশ্যটি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমি জানতাম না এই দৃশ্য কতটা বিতর্কিত হবে। কিন্তু অভিনয় আমার জন্য সব সময় ছিল সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ।’ এরপর ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, গোবিন্দ ও আদিত্য পঞ্চোলির সঙ্গেও সিনেমা করেন তিনি। তাঁর নাচ ও অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তোলে।

‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এ কিমি কাতকার। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ