একসময় কোরবানির পশুর হাড়, শিং, নাড়িভুঁড়ি, চর্বি বা অণ্ডকোষ ছিল গৃহস্থের চোখে ময়লা যা পড়ে থাকত ডাস্টবিনের পাশে, কিংবা নালার গায়ে। অথচ এই ফেলনা জিনিসই আজ রপ্তানিযোগ্য পণ্যে পরিণত হয়ে দেশের অর্থনীতিতে যোগ করছে শত কোটি টাকা। 

তৈরি হচ্ছে সাবান, ক্যাপসুল, সিরামিক কাঁচামাল, মাছ ও পাখির খাদ্য, এমনকি বিদেশি রেস্তোরাঁয় জনপ্রিয় কিছু প্রিয় খাবার। এই অপ্রচলিত অথচ সম্ভাবনাময় খাতটি এখনো অনেকের অজানা থাকলেও বাস্তবতা বলছে সচেতনতার অভাবে আমরা আজও গরুর মাথার হাড় কিংবা অণ্ডকোষ নষ্ট করে ফেলছি, যেগুলোর কেজিপ্রতি মূল্য দাঁড়াতে পারে ২৫ টাকারও বেশি।

টোকাই থেকে ওষুধ কোম্পানির কারখানা পর্যন্ত

ঢাকার গাবতলী, ফার্মগেট, উত্তরা থেকে শুরু করে হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীরচর, যাত্রাবাড়ী কিংবা কেরানীগঞ্জের অলিগলিতে কোরবানির পরে শুরু হয় পশুর হাড়-শিং সংগ্রহের উৎসব। পথশিশু থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ী—সবাই ব্যস্ত থাকেন এই অস্থায়ী বাজারে। কেউ বিক্রি করছেন নাড়িভুঁড়ি, কেউ বা ব্যস্ত গরুর পাকস্থলী নিয়ে। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী পরিমল যেমন সিক্কাটুলি ডাস্টবিনে দাঁড়িয়ে গরুর শিং আর অণ্ডকোষ সংগ্রহ করছিলেন।

তিনি বলেন, ‘‘এগুলোকে আমরা বলি সাতপর্দা, পইক্যা বা গোল্লা। এগুলো প্রতি বছর সংগ্রহ করি, কেউ বিক্রি করলে কিনেও নিই।’’ 

কাপ্তান বাজারের মাংস ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘‘কোরবানির সময় হাড়, অণ্ডকোষ, নাড়ি, পাকস্থলী কেনা হয় ২৫-৪০ টাকা করে। মাথার হাড় কিনি ৭ থেকে ১০ টাকা কেজি। রান্না করা হাড়ের দাম আরও বেশি। পরে হাজারীবাগ বা কামরাঙ্গীরচরে বিক্রি করি।’’ 

ঢাকা থেকে বিশ্ববাজারে

হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীরচর, যাত্রাবাড়ী, চিটাগাং রোড ও কেরানীগঞ্জে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক হাড় ভাঙার কারখানা। এসব কারখানায় হাড় ধুয়ে, শুকিয়ে গুঁড়া করে পাঠানো হয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে, যারা এগুলো দিয়ে তৈরি করে ক্যাপসুলের কভার, কোলাজেন প্রোডাক্টস, ওষুধের কাঁচামাল। হাড়ের গুঁড়ো ‘নিটবন’ নামে পরিচিত যা পোলট্রি ফিড ও সার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

হাজারীবাগের ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, ‘‘প্রতি মাসে দেশে ৪০-৪৫ কোটি ক্যাপসুলের কভার লাগে। এ জন্য দরকার কয়েক শ’ টন পশুর হাড়। কেজি ১৫-২২ টাকায় হাড় কিনি, ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি করি। বড় কোম্পানিগুলো সারা বছর আমার কাছ থেকে হাড় নেয়।’’ 

তিনি আরও জানান, পশুর নাড়ি দিয়ে তৈরি হয় অপারেশনের সেলাইয়ের সুতা, রক্ত দিয়ে পাখির খাদ্য, চর্বি দিয়ে সাবান, খুরা দিয়ে ভিডিও ক্লিপ। অণ্ডকোষ দিয়ে জাপান, কোরিয়া, চীন, জার্মানিতে তৈরি হয় প্রিয় খাবার সুসেড রুল।

হাড়ের বোতাম যাচ্ছে জার্মানিতে

সৈয়দপুরের অ্যাগ্রো রিসোর্স কোম্পানি লিমিটেড গরু-মহিষের হাড়-শিং দিয়ে তৈরি করছে উন্নতমানের বোতাম। প্রতিষ্ঠানটি বছরে ১৮-২০ কোটি টাকার বোতাম রপ্তানি করছে জার্মানি, চীন ও স্পেনে। শার্ট, কোট, স্যুট-সবখানে এই বোতামের ব্যবহার বাড়ছে।

কোম্পানির জিএম সোহরাব জামান বলেন, ‘‘মাত্র ৩২ কোটি টাকার বিনিয়োগে আমরা বছরে ২০ কোটি টাকার রপ্তানি করছি। হাড়ের বোতাম দুনিয়াজুড়ে পরিবেশবান্ধব হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।’’ 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২৫ সালে দেশে ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু কোরবানি হয়েছে। এর মধ্যে গরু-মহিষ ছিল প্রায় ৪৭ লাখ ৫ হাজার। গড়ে ১৫ কেজি করে হাড় ধরা হলে পাওয়া যায় ৭ কোটি ২০ লাখ কেজির মতো হাড়। যার সম্ভাব্য বাজারমূল্য ৫৭ কোটি টাকার বেশি, যদি কেজিপ্রতি ৮ টাকা ধরা হয়। যদিও সব হাড়ই সংগ্রহ করা হয় না।


সম্ভাবনার সঙ্গে সঙ্গে সীমাবদ্ধতা

ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, ‘‘দেশে পশুর হাড়, শিং, ভুঁড়ি, চর্বি, অণ্ডকোষ সবই রপ্তানিযোগ্য। কিন্তু আমরা এখনো সচেতন না হওয়ায় অর্ধেকের বেশি বর্জ্য নষ্ট হয়ে যায়। একটা গোটা শৃঙ্খল দরকার, যেখানে এসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানি হবে।’’ 

জাতীয় চিড়িয়াখানার সাবেক কিউরেটর ড.

এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘রক্ত, নাড়ি, চর্বি—সবকিছুর ব্যবহার সম্ভব। শুধু রক্ত শুকিয়ে দিলেই তা মুরগির খাবারে রূপান্তর করা যায়।’’

বাপা নেতা ও স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘‘হাড়ের গুঁড়া শুধু হাঁস-মুরগির খাদ্যই নয়, এটি জমিতে সার হিসেবেও দারুণ কার্যকর। আর নাড়িভুঁড়ির বর্জ্য মাছের খাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এ খাতে নজর দিলে দেশ অর্থনীতিতে একটি নতুন দ্বার খুলতে পারে।’’

যাত্রাবাড়ীর ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন বলেন, ‘‘এতকাল যেগুলো আমরা বর্জ্য হিসেবে দেখেছি, সেগুলো থেকেই দেশের অর্থনীতিতে যোগ হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। প্রয়োজন শুধু সচেতনতা, সুসংগঠিত সংগ্রহব্যবস্থা এবং আধুনিক প্রক্রিয়াজাতকরণ। কোরবানির পশুর হাড়-শিং আর শুধুই জঞ্জাল নয়—এখন তা দেশের জন্য সম্ভাবনার এক নতুন খনি।’’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের‘কাসেম ব্রাদার্স রেন্ডারিং ফ্যাক্টরি’র ব্যবস্থাপক আমিনুল হক বলেন, ‘‘ঈদের সময়ের হাড় থেকেই বছরে আমাদের ৬০ শতাংশ কাঁচামাল আসে। এসব হাড় থেকে আমরা তৈরি করি বোন মিল, ট্যালো, কোলাজেন ও জেলাটিন।’’

আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়ছে

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) জানায়, দেশে বছরে প্রায় ৮০ হাজার টন হাড় পাওয়া যায়। যার অর্ধেকের বেশি এখন রপ্তানিযোগ্য। চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৭ হাজার টন বোন মিল ও হাড়জাত পণ্য রপ্তানি হয়। এর বড় অংশ যায় চীন ও ভিয়েতনামে। এসব দেশে হাড় থেকে তৈরি হয় প্রাণিখাদ্য, জৈব সার, এমনকি হাই-এন্ড কসমেটিকস পণ্য।

এক পশুর হাড় থেকে যা তৈরি হয়:

বোন মিল : পোলট্রি ও মাছের খাদ্য। ট্যালো: চর্বি থেকে তৈরি, সাবান ও প্রসাধনীতে ব্যবহার
জেলাটিন ও কোলাজেন: ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যালে বহুল ব্যবহৃত।
ফসফেট ও ক্যালসিয়াম: জৈব সার ও পশুখাদ্যে উপাদান


বাজার বড়, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ নেই

এত বড় বাজার থাকা সত্ত্বেও এই খাতে নেই কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা বা সরকারি তদারকি। হাড় সংগ্রহ, পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ সবই চলে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগত উদ্যোগে।

হাজারীবাগের  ব্যবসায়ী  সানি  বলেন, ‘‘আমরা দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ব্যবসা করি। ঢাকার বিভিন্ন জেলা থেকে মাল আসে। দিনদিন হাড়সহ পশুর বিভিন্ন অংশের পরিমান বেশি আসছে এবং ব্যবসাও ভাল।’’

পরিবেশকর্মী ও গবেষক ড. মোমতাজ হক বলেন, ‘‘এই রেন্ডারিং খাতটি ব্যবস্থাপনা ছাড়া চললে তা শুধু পরিবেশ নয়, জনস্বাস্থ্যের জন্যও হুমকি হতে পারে। হাড় ও চর্বি থেকে নির্গত গ্যাস, বর্জ্য পানি ও দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োজন।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা যদি আধুনিক রেন্ডারিং সিস্টেমে যাই, তাহলে এর মাধ্যমে জৈব সার ও খাদ্যপণ্য প্রস্তুত করে সারাবছর একটি টেকসই শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব।’’


ডিএনসিসির উদ্যোগ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) এক কর্মকর্তা জানান, গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে আমরা গাবতলীতে হাড়-চর্বি আলাদা সংগ্রহের একটি উদ্যোগ নিই, যা ভালো সাড়া পেয়েছে। এবার আরও কয়েকটি এলাকায় বর্জ্য আলাদা সংগ্রহকারী দল গঠন করেছি।

তিনি জানান, ভবিষ্যতে হাড় ও চর্বি সংগ্রহকে একটি সিটি করপোরেশন-নিয়ন্ত্রিত কাঠামোর মধ্যে আনা হবে এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।

কী করা প্রয়োজন

এই নীরব শিল্পকে সুসংগঠিত ও টেকসই করতে করণীয়: সরকারি নিবন্ধন ও লাইসেন্স: হাড় প্রক্রিয়াজাত ও পরিবহনের জন্য আলাদা নীতিমালা। 

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার: পরিবেশবান্ধব রেন্ডারিং প্লান্ট স্থাপন।

শ্রমিকদের সুরক্ষা ও ন্যায্য মজুরি: স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা কাভারেজ।

রপ্তানি উৎসাহ: হাড়জাত পণ্যের জন্য আলাদা এইচএস কোড এবং প্রণোদনা।

হাজারীবাগের ব্যবসায়ী কেফায়েত উল্লাহ বলেন, ‘‘ঈদের পর যে জিনিসগুলোকে অনেকে দেখেন আবর্জনা হিসেবে, সেটাই কারও কাছে জীবিকা, কারও কাছে শিল্পের কাঁচামাল। হাড়-চর্বির এই নীরব বাজার আজ কোটি টাকার রপ্তানি খাত। প্রয়োজন শুধু সরকারি স্বীকৃতি, নীতিমালা ও দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপনার। তাহলে এই শিল্প কেবল দুর্গন্ধ নয়, বরং দেশের কৃষি, রপ্তানি ও কর্মসংস্থানের এক উজ্জ্বল দিগন্ত হয়ে উঠতে পারে।’’

ঢাকা/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রক র য় জ ত ক রব ন র ব যবস য় ব যবহ র র ব যবস ব যবস থ ন বল ন পর ব শ র জন য বর জ য স গ রহ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

৪৪তম বিসিএসের ৪০০ রিপিট ক্যাডার বাদ দিচ্ছে সরকার, নতুন সিদ্ধান্ত আসছে

৪৪তম বিসিএসে পুনরাবৃত্তি হওয়া ৪০০ ক্যাডারকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তারা ৪৩তম বিসিএসে বা আগের বিসিএসে যে ক্যাডারে আছেন ৪৪তম বিসিএসেও একই ক্যাডার পেয়েছিলেন। এই ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা।

প্রথম আলোকে ওই কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে পিএসসির কিছু সুপারিশ আমরা পেয়েছি। এগুলো বাদ দিতে সরকার কাজ করছে। বাদ দিলে কি করা হবে তা নিয়েও কাজ করছে সরকার। এখন পিএসসিকে এ বিষয় নিয়ে একটি মতামত দিতে বলা হয়েছে। পেলেই তা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে প্রজ্জাপন দেওয়া হবে। এটি যাতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।

আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা৩০ জুলাই ২০২৫

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ৩০ জুন প্রকাশিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সাময়িকভাবে মনোনীত করেছে।

প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ হাজার ৬৯০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন প্রার্থী একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন (রিপিট ক্যাডার)। এই ৪০০ জনের তালিকা পেয়েছে পিএসসি। এই রিপিট ক্যাডার বন্ধে বিধি সংশোধন করা হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পিএসসি।

পিএসসি জনপ্রশাসনের চিঠিতে বলছে, এই রিপিট ক্যাডারের ফলে নতুন ও অপেক্ষমাণ মেধাবীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি প্রশাসনিক কাঠামো ও জনসম্পদের সদ্ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করছে। এখন এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪–এর বিধি-১৭ এর শেষে নিম্নোক্ত শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে পিএসসি।

আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫শর্তে কী আছে—

পিএসসির চিঠিতে শর্ত হিসেবে বলা আছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিবার প্রাক্কালে, কিংবা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুতকালে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে কিংবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে এই বিধির আওতাধীন মনোনয়নযোগ্য কিংবা মনোনীত কোনো প্রার্থী একই ক্যাডার পদ, সমপদ কিংবা প্রার্থীর আগ্রহ নেই এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হইবার কারণে মনোনীত সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে যোগদান করিতে অনিচ্ছুক, এইরূপ ক্ষেত্রে কমিশন অনাগ্রহ প্রকাশকারী প্রার্থীকে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিতে পারিবে; আরও শর্ত থাকে যে প্রথম শর্তাংশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিবার কারণে উদ্ধৃত শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রেরণ করিবার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থিগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচনপূর্বক কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ এবং সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে;আরও অধিকতর শর্ত থাকে যে দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত সম্পূরক ফলাফল দ্বারা বা উহার পরিণতিতে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর প্রতিকূলে কোনো পরিবর্তন ঘটানো কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না।’

আরও পড়ুনবস্ত্র অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের২৯ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ