গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে উপদেষ্টা নিয়োগ, আমিনুল বললেন ‘বেজড অন দ্য নিড’
Published: 19th, June 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম আজ তাঁর উপদেষ্টা হিসেবে তিন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তাঁরা হচ্ছেন সাখাওয়াত হোসেন, সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি ও শেখ মাহেদী। বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাখাওয়াতকে ক্রিকেট ট্যুরিজম, আবিদ ক্রিকেট ও মাহেদীকে লিগ্যাল বিষয়ে সভাপতির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন।
বিসিবির বিজ্ঞপ্তিতে সাখাওয়াতকে হসপিটালিটি বিশেষজ্ঞ, আবিদ হোসেনকে স্পোর্টস মিডিয়া অ্যানালিস্ট ও শেখ মাহেদীকে লিগ্যাল এক্সপার্ট হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে সভাপতি সর্বোচ্চ পাঁচ সদস্যের একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করতে পারেন। গঠনতন্ত্রের চতুর্থ অধ্যায়ের ১৮ নম্বর অনুচ্ছেদে কারা উপদেষ্টা হতে পারবেন, এ বিষয়ে বলা আছে। যেখানে উপদেষ্টা হওয়ার যোগ্যতা বিষয়ে ‘দেশের খ্যাতনামা ক্রিকেটার/প্রখ্যাত ক্রিকেট সংগঠকদের মধ্যে হইতে’ কথাটি লেখা আছে। বিসিবি সভাপতি এই উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের থেকে প্রয়োজনে উপদেশ ও পরামর্শ গ্রহণ করবেন বলে উল্লেখ আছে সেখানে।
বোর্ড সভায় আমিনুল ইসলাম.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
২৮ জুন বিকল্প স্থানে কাউন্সিলের আহ্বান শীর্ষ নেতাদের
হল বরাদ্দ বাতিলের অজুহাতে ২৮ জুন জাতীয় পার্টির কাউন্সিল স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক উল্লেখ করে দলীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
তারা দলীয় গঠনতন্ত্র ও প্রেসিডিয়ামের সিদ্ধান্ত মেনে ২৮ জুন বিকল্প স্থান হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই কাউন্সিল আয়োজন করতে চেয়ারম্যানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুই নেতা যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
আরো পড়ুন:
ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় জাপা চেয়ারম্যানের শোক
প্রস্তাবিত বাজেট নব্য ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দর্শনের প্রতিফলন: জিএম কাদের
তারা বলেন, “জাতীয় পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সঙ্গে কোনো পূর্ব আলোচনা ছাড়াই আগামী ২৮ জুন নির্ধারিত দলের দশম জাতীয় সম্মেলন স্থগিত করেছেন। এ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও অনভিপ্রেত।”
“আমরা মনে করি, ২৮ জুনের জাতীয় সম্মেলন দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলীয় গঠনতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং নির্বাচন কমিশনের গঠনতন্ত্র ও আরপিও অনুযায়ী বৈধতা নিশ্চিতের প্রেক্ষিতে এই সম্মেলনের গুরুত্ব অপরিসীম।এই সম্মেলনের মাধ্যমে চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে গণতান্ত্রিকভাবে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা দলীয় গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ,” বলেও মনে করেন তারা।
দুই নেতা বলেন, “গত ২০ মে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, কোনো কারণবশত বরাদ্দকৃত সম্মেলন স্থল না পাওয়া গেলে বিকল্পভাবে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের (৬৬ পাইওনিয়ার রোড, কাকরাইল, রমনা, ঢাকা-১০০০।) সামনে উন্মুক্ত স্থানে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেই সিদ্ধান্ত এখনো বহাল আছে।”
“এককভাবে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া দলীয় গঠনতন্ত্র, প্রেসিডিয়ামের সম্মান এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী। আমরা এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত ও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”
নেতারা আরো বলেন, “আমরা আশা করি, পার্টির চেয়ারম্যান গঠনতন্ত্র ও প্রেসিডিয়ামের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে ২৮ জুন বিকল্প স্থান হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই দশম জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন নিশ্চিত করবেন।”
জাতীয় পার্টি একটি গণতান্ত্রিক দল উল্লেখ করে তারা বলেন, “গঠনতন্ত্রের প্রতি সম্মান ও অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চাই হোক আমাদের এগিয়ে চলার প্রধান শক্তি।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ