সিকৃবিতে অন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু
Published: 21st, June 2025 GMT
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকদের সংগঠন সিলেটএগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (সাউডিএস) আয়োজিত অন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। দুই দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা ২০ ও ২১ জুন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, প্রতিযোগিতার জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে ১২টি দল। দুই দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতার প্রথম দিন রাউন্ড পর্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রযুক্তি ও প্রকৌশল অনুষদ এবং কৃষি অর্থনীতি অনুষদের গ্যালারি কক্ষে এবং প্রতিযোগিতার ফাইনাল ২১ জুন ভেটেরিনারি অনুষদ ভবনের-২ এর ৫ম তলার কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় পুরষ্কার হিসেবে থাকছে চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য ২০০০ টাকার প্রাইজমানি, রানারআপ দলের জন্য ১০০০ টাকা প্রাইজমানি। এছাড়া দেওয়া হবে টুর্নামেন্ট সেরা পুরষ্কার। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, লিডিং ইউনিভার্সিটি, এমসি কলেজ এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক ও বর্তমান অভিজ্ঞ বিতার্কিকরা।
আরো পড়ুন:
চবির মায়া লেকে প্রবেশে বাধা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
ইবির ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ভর্তি শুরু ২৯ জুন
ঢাকা/আইনুল/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’