মহাকাশ স্টেশনে পা রাখলো প্রথম ভারতীয়
Published: 26th, June 2025 GMT
প্রথম ভারতীয় হিসেবে মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পা রেখেছেন শুভাংশু শুক্লা। বৃহস্পতিবার ভারতীয় বিমান বাহিনীর এই পাইলট মহাকাশ স্টেশনে প্রবেশ করেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি অনলাইন।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১২টা এক মিনিটে মহাকাশে যাত্রা করে অ্যাক্সিয়ম-৪ নভোযান। শুক্লাসহ আরো তিন নভোচারী মহাকাশ স্টেশনে আগামী এক সপ্তাহ ধরে ৬০টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনা করবেন। এগুলোর মধ্যে সাতটি ভারত প্রস্তাব করেছিল। নাসা এবং ইসরোর যৌথ উদ্যোগে দলটি এই কাজ করবে।
আইএসএস থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, শুক্লা এবং ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলে থাকা অন্য তিনজন নভোচারীকে মহাকাশযান এবং আইএসএস-এর সংযোগকারী ভেস্টিবুলের মধ্য দিয়ে প্রবেশে সাহায্য করা হচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের মুখে ছিল বিশাল হাসি এবং আইএসএস-এ ইতিমধ্যেই থাকা সাতজন নভোচারী তাদের আলিঙ্গন করে স্বাগত জানিয়েছেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের ৪২৪ কিলোমিটার দূরে ২৮ ঘন্টার ফ্লাইট সম্পন্ন করে অ্যাক্সিয়ম-৪।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মহাকাশে পাঠানো হলো আইসক্রিম
স্পেসএক্সের ফ্যালকন–৯ রকেটে করে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে রওনা হয়েছে নর্থরপ গ্রুম্যান কোম্পানির কার্গো মহাকাশযান ‘সিগনাস এক্সএল’। ১৪ সেপ্টেম্বর ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই মিশনে মহাকাশযানে ৫ টনের বেশি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যন্ত্রাংশ, নাইট্রোজেন, অক্সিজেনসহ বিভিন্ন গবেষণাসামগ্রী। মহাকাশচারীদের জন্য বিশেষ খাবার হিসেবে ক্ল্যামস, ওয়েস্টার্স, স্মোকড স্যামন, রোস্টেড টার্কি ও আইসক্রিম পাঠানো হয়েছে।
এই মিশন সিগনাস এক্সএলের প্রথম যাত্রা। পুরোনো সংস্করণের সিগনাসের চেয়ে প্রায় ১.৬ মিটার লম্বা ও ২ হাজার ৬০০ পাউন্ড বেশি মালামাল বহন করতে সক্ষম। ১৭ সেপ্টেম্বর সিগনাস এক্সএল মহাকাশ স্টেশনের রোবটিক বাহুর কাছে পৌঁছাবে। কার্গো মহাকাশযানটিতে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, খাদ্য সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ রয়েছে। এর মধ্যে স্টেশনের ইউরিন প্রসেসর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমের প্রতিস্থাপন যন্ত্রাংশও অন্তর্ভুক্ত।
সিগনাস এক্সএল আগের রকেটের চেয়ে প্রায় ১.৬ মিটার লম্বা। নাসা ও নর্থরপ গ্রুম্যান এই অভিযানকে আইএসএসের সরবরাহ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। মহাকাশচারীদের দীর্ঘমেয়াদি মিশনে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ গবেষণার উপকরণ পাঠানোর ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে কাজের অংশ হিসেবে এই মিশন পরিচালনা করা হচ্ছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া