মাদক বিক্রি করতে না করায় হামলা, মা-মেয়ে গুলিবিদ্ধ
Published: 30th, June 2025 GMT
পাবনার ঈশ্বরদীতে মাদক বিক্রি করতে না করার জেরে বাড়িতে হামলা ও মা-মেয়েকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে দুই তরুণের বিরুদ্ধে। রোববার দিবাগত রাতে নগরীর পূর্ব নূর মহল্লা বস্তিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.স.ম. আব্দুন নূর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- আলেয়া খাতুন (৪০) ও তার মা বুলবুলি বেগম (৬৫)। তারা বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গুলিবিদ্ধ আলেয়া খাতুন ঘটনা সম্পর্কে জানান, ঈদের আগে থেকে এলাকায় দুই বাচ্চা ছেলে আসাদুল ও হেলাল মাদক বিক্রি করছিল। আমি তাদের নিষেধ করি এ কাজ না করার জন্য। দুজনকে কান ধরে ওঠবস করাই। এ নিয়ে বিরোধ চলছিল। রোববার রাতে দুইটি মোটরসাইকেলে করে আসাদুল ও হেলালসহ ৫ জন এসে বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা গুলিবর্ষণ করলে আমার ও আমার মায়ের গায়ে গুলি লাগে।
আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো.                
      
				
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
আরো পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা
একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধা দেখা দেবে না বলে আমরা আশা করি।”
তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর। এ জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
নিরাপত্তা ইস্যু—কার্গো অগ্নিকাণ্ড, অস্ত্র চুরির ঘটনা থেকে শুরু করে অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরোধী পক্ষ এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও উপদেষ্টা জানান, তদন্ত চলছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতীতের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কিছু বিতর্কিত ওসিদের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্বীকার করলেও জানান, সীমাবদ্ধতার কারণে সবাইকে একযোগে বদলি করা সম্ভব হচ্ছে না।
“যারা পরপর তিনটি নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন, তাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে,” বলেন তিনি।
আলোচনায় উস্কানিমূলক বক্তব্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচারণা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কেও প্রশ্ন ওঠে।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং কেউ আইনের বাইরে গেলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
ঢাকা/এএএম/ইভা