উইম্বলডনে জয়ে ছিল কোটিপতি হওয়ার সুযোগ, ছাত্র হওয়ায় লাখপতি হতে হচ্ছে
Published: 1st, July 2025 GMT
উইম্বলডনে ছেলেদের এককে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ খেলোয়াড় কে, তা হয়তো আপনার জানা। তিনটি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী ইতালিয়ান ইয়ানিক সিনার। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয় এবার উইম্বলডনের একক ইভেন্টের ড্রয়ে র্যাঙ্কিংয়ে সবার নিচে থাকা খেলোয়াড়টি কে?
আসলে শেষের খবর কেউ রাখেন না। তাই নামও হয়তো অনেকের জানা নেই। তিনি ৭৩৩তম র্যাঙ্কিংধারী ব্রিটিশ খেলোয়াড় অলিভার টারভেট। গতকাল উইম্বলডনে খেলতে নেমেছিলেন তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ম্যাচ। সুইস কোয়ালিফায়ার লেয়ান্দ্রো রেইদিকে ৬-৪, ৬-৪, ৬-৪ গেমে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডেও উঠেছেন টারভেট। সেখানে তাঁর জন্য অপেক্ষায় র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্প্যানিশ তারকা কার্লোস আলকারাজ।
আরও পড়ুনউইম্বলডন এখন ‘ডিজিটাল’, ১৪৮ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম যা নেই১৫ ঘণ্টা আগেটারভেটকে হয়তো দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হবে। তবে দুঃখ যা পাওয়ার তা হয়তো প্রথম রাউন্ডের জয়েই পেয়েছেন! প্রাইজমানি হিসেবে যে ৯৯ হাজার পাউন্ড পাওয়ার কথা ছিল, টারভেট যে তা পাচ্ছেন না! বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রাইজমানির অঙ্কটি ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকার কিছু বেশি।
মা–বাবা ও প্রেমিকা হেলায়েনা স্ট্যাবলারকে গ্যালারিতে সাক্ষী রেখে এই জয়ের পর টারভেটকে আসলে কিছুটা হতাশই হতে হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী এ খেলোয়াড় একে তো অপেশাদার খেলোয়াড়, এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কলেজে পড়ার নিয়মের কারণে প্রাইজমানির পুরো অর্থ তিনি পাবেন না। যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়েগো বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগের ওপর পড়াশোনা করছেন টারভেট।
উইম্বলডনে অভিষেক ম্যাচেই জিতেছেন টারভেট.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইম বলডন
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’