গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কারখানায় চুরির অপবাদ দিয়ে হৃদয় (১৯) নামের এক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির আরও তিন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তিন জেলায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে ওই প্রতিষ্ঠানের আরও তিন নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নতুন করে গ্রেপ্তার তিনজন হলেন কারখানার ফিডারম্যান মো.

কাউসার (২৮), তিনি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার হারিয়াক্রাউন গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে; নিরাপত্তাকর্মী শামিম আহমেদ (৩৪), তিনি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার হলুদিয়া গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে এবং ম্যাকানিক্যাল ইনচার্জ রাশেদুল হাসান (৩৩), তিনি সিরাগঞ্জের শাহজাদপুর থানার চরদুগালী গ্রামের সারোয়ার হোসেনের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোনাবাড়ী এলাকায় গ্রিনল্যান্ড লিমিটেড নামের কারখানার ভেতরে গত শনিবার ভোরে শ্রমিক হৃদয়কে চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তাঁকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই লিটন মিয়া বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে।

আজ সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা থেকে মো. কাউসার, শামিম আহমেদ ও রাশেদুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে কোনাবাড়ী ও আশপাশের এলাকা থেকে শফিকুল ইসলাম (৩০), বেলাল হোসেন (৪৫) ও হাসান মাহমুদ (৪০) নামের তিন নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে বেলাল হোসেনকে র‌্যাব সদস্যরা গ্রেপ্তার করে থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন।

কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। অভিযান চালিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনো যাঁরা পালিয়ে আছেন, তাঁদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।

কারখানা খোলার দাবি

হত্যাকাণ্ডের পর থেকে গ্রিনল্যান্ড লিমিটেডের কারখানা বন্ধ আছে। গত ছয় দিন কোনো কর্মকর্তা কারখানায় আসেননি। নিরাপত্তাকর্মীরা না থাকায় কারখানার ডাইং সেকশনের শ্রমিকেরা সেই দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল বুধবার বিকেলে ২০–২৫ জন শ্রমিক কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাঁরা কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানান।

সুলতান আহমেদ নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘কয়েক দিন পর আমাদের বেতন নেওয়ার সময় হবে। এখন যদি কারখানা খুলে না দেওয়া হয়, তাহলে বেতন নিয়ে গড়িমসি করা হবে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

কিং-এর গল্প থেকে নতুন সিনেমা

জীবন্ত কিংবদন্তি হরর ঔপন্যাসিক স্টিফেন কিংয়ের উপন্যাস সংকলন ‘ইফ ইট ব্লিডস’ ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়। বইটির চার উপন্যাসের একটি ‘দ্য লাইফ অব চাক’। এটি অস্বাভাবিক তিন অঙ্কের কাঠামোর গল্প, যা শেষ দিয়ে শুরু হয়। ধীরে ধীরে চার্লস ক্র্যান্টজ (চাক) নামে একজন ব্যক্তির জীবনের বর্ণনা উঠে আসে। 
‘ধন্যবাদ, চাক’ নামে প্রথম পর্বটি শুরু হয় রহস্যময়ভাবে পৃথিবী সমাপ্তির মাধ্যমে। ভবনগুলো ভেঙে পড়ে, অদৃশ্য হয়ে যায়, সমাজ ভেঙে পড়ে। বিশৃঙ্খলার মধ্যেও বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়, যেখানে চাক নামে একজনকে ৩৯টি দুর্দান্ত বছরের জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়। এর অর্থ পৃথিবী নিজেই চাকের মন বা জীবনের প্রকাশ হতে পারে।
‘বাস্কার্স’ অংশে চাক বোস্টনে রাস্তার শিল্পীদের (বাস্কার্স) সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নাচে এবং এটি তার জন্য বিশুদ্ধ আনন্দ ও মুক্তির মুহূর্ত। জানা যায়, চাক ব্রেন টিউমারে মারা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে জীবনকে আলিঙ্গন করতে এমন সহজ আনন্দে নিজেকে চাক বিলিয়ে দিয়েছে। 
‘আই কনটেইনটস মাল্টিটিউডস’ নামে শেষ অংশে (যদিও কালানুক্রমিকভাবে এটিই প্রথম) চাককে তার দাদা-দাদির ভূতুড়ে বাড়িতে বসবাসকারী একটি শিশু হিসেবে দেখানো হয়। সেই বাড়ির ওপরে গম্বুজে একটি রহস্যময় ঘর আবিষ্কার করে চাক। স্থানটি প্রতীকীভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যা তার মন বা আত্মার ইঙ্গিত দিতে পারে। এভাবেই গল্পটি শেষ থেকে শুরুতে আসে। v

সম্পর্কিত নিবন্ধ