দীর্ঘদিন ঢাকাই চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে অভিনয়ের পর নতুন ভূমিকায় হাজির হচ্ছেন জায়েদ খান। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে প্রচারিত বাংলা গণমাধ্যম ‘ঠিকানা’-এর আয়োজনে শুরু হতে যাচ্ছে বিশেষ টক শো ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’। এটি উপস্থাপনা করছেন এই ঢালিউড তারকা। 

এ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বেই অতিথি হিসেবে দেখা যাবে জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশাকে। শুক্রবার (৪ জুলাই), বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হবে ঠিকানা টিভির ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে। 

এ অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে আয়োজকরা জানান, ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’-এ থাকবে দেশ ও প্রবাসের তারকাদের একান্ত সাক্ষাৎকার, প্রবাসজীবনের চড়াই-উৎরাই, সংগ্রামের গল্প, সামাজিক বাস্তবতার প্রতিফলন এবং নতুন প্রজন্মের চিন্তা ও উদ্ভাবনের ঝলক। সঙ্গে থাকবে আড্ডা ও মানবিক কথোপকথন—যা ছুঁয়ে যাবে দর্শকের মন। 

আরো পড়ুন:

সহকারীর লাশ উত্তোলন নিয়ে যা বললেন তানজিন তিশা

তিশার স্ট্যাটাসে ফারহানের নাম নিয়ে ধোঁয়াশা

ঠিকানা গ্রুপের সিইও মুশরাত শাহীন বলেন, “এই শো আমাদের সংস্কৃতি, অভিজ্ঞতা ও আত্মপরিচয়কে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার সাহসী এক পদক্ষেপ। জায়েদ খানকে এই যাত্রায় পেয়ে আমরা গর্বিত।” 

নতুন এই ভূমিকায় উচ্ছ্বসিত জায়েদ খান নিজেও। তিনি বলেন, “এটা আমার জন্য এক নতুন যাত্রা। আমি এমন একটি অনুষ্ঠান উপহার দিতে চাই, যেখানে উঠে আসবে আমাদের না-বলা গল্পগুলো—বাস্তব, অনুপ্রেরণামূলক এবং হৃদয়ে নাড়া দেওয়ার মতো।” 

এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জীবনের জটিলতা, সংগ্রাম, সাফল্য এবং অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে চান তিনি। 

বর্তমানে নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন জায়েদ খান। তবে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে আয়োজিত শোয়ে অংশ নিচ্ছেন তিনি।  

জায়েদ খান অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সোনার চর’। এতে তার সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন মৌসুমী, ওমর সানী, শহীদুজ্জামান সেলিম, শবনম পারভীন ও পাপিয়া মাহি প্রমুখ। সিনেমাটি পরিচালনা করেন জাহিদ হোসেন।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ