সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারতের অভ্যন্তরে পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার আওয়াজ উঠলেও খেলার দুনিয়ায় সেটি কার্যকর হচ্ছে না।

এ বছর ছেলেদের হকি এশিয়া কাপ ও জুনিয়র হকি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারত। দুটি টুর্নামেন্টে খেলার জন্য পাকিস্তানের হকি দলকে ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত সরকার।

ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, একটি নির্দিষ্ট দলকে খেলার সুযোগ না দিলে বিশ্ব হকিতে নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকত ভারত। পাশাপাশি ভারত সরকার আগামী এক যুগের মধ্যে কমনওয়েলথ গেমস ও অলিম্পিক গেমস আয়োজনের যে পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, সেটির ক্ষেত্রেও নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি হতো।

গতকাল টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, আগস্টের হকি এশিয়া কাপ ও নভেম্বরের জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে অভ্যন্তরীণ অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার।

ভারতে যেতে পাকিস্তানের হকি খেলোয়াড়দের আর কোনো বাধা নেই.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধা দেখা দেবে না বলে আমরা আশা করি।” 

তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর। এ জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।” 

নিরাপত্তা ইস্যু—কার্গো অগ্নিকাণ্ড, অস্ত্র চুরির ঘটনা থেকে শুরু করে অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরোধী পক্ষ এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও উপদেষ্টা জানান, তদন্ত চলছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অতীতের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কিছু বিতর্কিত ওসিদের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্বীকার করলেও জানান, সীমাবদ্ধতার কারণে সবাইকে একযোগে বদলি করা সম্ভব হচ্ছে না। 

“যারা পরপর তিনটি নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন, তাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে,” বলেন তিনি।

আলোচনায় উস্কানিমূলক বক্তব্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচারণা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কেও প্রশ্ন ওঠে। 

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং কেউ আইনের বাইরে গেলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ