Prothomalo:
2025-11-03@00:24:51 GMT

খুনখারাবির ‘কানাগলি’

Published: 4th, July 2025 GMT

শহরজুড়ে আতঙ্ক। খুন হচ্ছেন একের পর এক নারী। ক্রমিক খুনির অস্ত্র কাঁচি, খুনিকে খুঁজতে গলদঘর্ম হয়ে যায় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত মামলার তদন্তভার নেন পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজ। তদন্তে নেমে ধন্দে পড়ে যান তিনি। ঘটনার কোনো কূলকিনারা করতে পারেন না। এটা প্রতিশোধ, নাকি কোনো খুনির উন্মাদনা? খুনগুলো করছে কে? বেছে বেছে নারীকেই কেন খুন করা হচ্ছে? শেষ পর্যন্ত কি খুনির হদিস মেলে? এসব নিয়েই ওয়েব সিরিজ কানাগলি। বঙ্গতে গতকাল বৃহস্পতিবার মুক্তি পাওয়া সিরিজটি পরিচালনা করেছেন আহমেদ জিহাদ। তরুণ এই নির্মাতার এটিই প্রথম ওয়েব সিরিজ। ঋদ্ধ শরিফের গল্পে সিরিজের চিত্রনাট্যও লিখেছেন জিহাদ।

কাজের সুবাদে বর্তমানে সৌদি আরবে রয়েছেন জিহাদ। গতকাল প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, কিশোরগঞ্জে ট্রেনে যাওয়ার পথে সিরিজের গল্পকার ঋদ্ধ শরিফের সঙ্গে পরিচয়। পরে ফেসবুকে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হন। জিহাদ বলেন, ‘কয়েক বছর পর উনি আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। গল্পটা আমাকে শোনান। গল্পের মূল অংশটুকু খুব ভালো লাগে। উনি বলছিলেন, এটা নিয়ে উপন্যাস লিখবেন। আমি বললাম, গল্পটা নিয়ে ওয়েব সিরিজ করি। গল্পটার পেছনে বছর দুয়েকের মতো সময় ব্যয় করেছি। পরে প্রডিউসারের সঙ্গে আলোচনা করি।’
প্রযোজক পাওয়ার পর ২০২৩ সালে শুটিংয়ে নেমে পড়েন আহমেদ জিহাদ। পুরান ঢাকা, উত্তরা, সাভার, মানিকগঞ্জসহ নানা প্রান্তে সিরিজের শুটিং হয়েছে। সিরিজের গল্প জানতে চাইলে পরিচালক জানান, শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নানাভাবে বুলিংয়ের শিকার হন। বেশির ভাগ সময় তাঁরা নীরবে সয়ে যান। সইতে সইতে যদি কখনো তাঁরা রেগে যান, তখন কী ঘটতে পারে? সেই গল্পই তুলে ধরা হয়েছে।

কানাগলির দৃশ্য.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ