অনেক দিন ধরে অভিনয়ে নিজেকে ভেঙে পর্দায় নতুন সব চরিত্র তুলে ধরছেন তানিয়া বৃষ্টি। সেই ভাবনা থেকে এবার অভিনয় করেছেন ডিজে শিল্পীর ভূমিকায়। তানিয়া বৃষ্টির নতুন এই চরিত্রে থাকছে ‘ডিজে বাহারুল’ নামে একক নাটকে। কাহিনি ও চিত্রনাট্য লেখার পাশাপাশি নাটকটি পরিচালনা করেছেন ইমরাউল রাফাত। নাটকের নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নিলয় আলমগীর।
এ ছাড়াও হাস্যরসাত্মক গল্পের বিভিন্ন চরিত্র পর্দায় তুলে ধরেছেন রেশমা আহমেদ, স্বপ্না নিজাম, জিল্লুর রহমান, জাবেদ গাজী, আহমেদ ইশতিয়াক, শারমিন ইমু, ফারুক আল ফারাবি, অবন্তিকা মায়াসহ আরও কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রী। আজ হাউজফুল এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি দর্শকের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টির কথায়, কিছু গল্প একদিকে যেমন দর্শককে আনন্দ দেয়, তেমনি চারপাশে ঘটে চলা ঘটনা নিয়েও ভাবতে শেখায়।
‘ডিজে বাহারুল’ এমনই এক গল্পের নাটক, যেখানে দর্শক নতুন এক চরিত্রে আমাকে আবিষ্কারের সুযোগ পাবেন। গল্প, চরিত্র, নির্মাণ সব মিলিয়ে নাটকটি অনেকের ভালো লাগবে বলেই আশা করছি।’
তানিয়া বৃষ্টি আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ভিন্ন ধাঁচের গল্প ও চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের ভালোবাসা কুড়িয়েছেন। যার সুবাদে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে, দর্শক প্রতিনিয়ত নতুন কিছু দেখতে চান। সে কারণেই প্রতিনিয়ত অভিনয়ে নিজেকে ভেঙে নতুন সব চরিত্র পর্দায় তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চর ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’