সিডনিতে মৈমনসিংহ গীতিকার মোহনীয় সন্ধ্যা
Published: 4th, July 2025 GMT
সিডনির ক্যাসুলা পাওয়ার হাউসে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো বাংলার লোকসংস্কৃতির এক অনবদ্য আয়োজন। ‘ভবের হাট’ সংগঠনের সিজন ৯-এর এই অনুষ্ঠানে মৈমনসিংহ গীতিকার গান ও নৃত্যে জমেছিল সিডনির সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল।
ফারিয়া আহমেদের পরিকল্পনায় ও নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় ‘সখী গো আমার মন ভালা না’। শাকিল চৌধুরীর প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় শুরুতেই দর্শকদের মোহিত করে রাখে রাজন নন্দীর আলোক নির্দেশনায় অর্পিতাসোম চৌধুরী ও তাঁর দলের মৈমনসিংহ গীতিকার গীতি-আলেখ্য।
সুরের আবেশে মাতেন শ্রোতারা। সংগীত পরিবেশন করেন বনফুল বড়ুয়া, লামিয়া আহমেদ, নিলাদ্রী চক্রবর্তী এবং ফারিয়া আহমেদ নিজে। যন্ত্রসংগীতে তবলায় বিজয় সাহা, গিটারে সোহেল খান, দোতারায় ফয়সাল সজীব ও মন্দিরায় লোকমান হাকিমের চমৎকার সংযোজন।
অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে ছিল গুণীজন সংবর্ধনা, ভবের হাট কর্তৃপক্ষ বিশেষ অবদানের জন্য সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্টজনদের সম্মাননা জানায়।
এক আবেগাপ্লুত দর্শক বলেন, ‘প্রবাসে থেকেও আজ মনে হলো আমি যেন নদীপাড়ে বসে বাউলগান শুনছি। এমন সন্ধ্যা কেবল হৃদয়ে গেথে রাখার মতো।’
ভবের হাটের পক্ষে জাকী খন্দকার জানান, আগামী সিজন ১০–এ তাঁরা বাংলার লোকসংস্কৃতিকে আরও বৃহৎ পরিসরে উপস্থাপন করতে চান। তাঁর ভাষ্যে, ‘আমাদের স্বপ্ন, বাংলা সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়া।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’