বন্দরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ
Published: 6th, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পারিবারিক কলহের জেরে বিজলী আক্তার আমেনা (৩০) এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন তার স্বামী ইমরান হোসেন।
শনিবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার এনায়েতনগর এলাকার জাহাঙ্গীর মিয়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত বিজলী আক্তার আমেনা কুমিল্লা জেলার কান্দাইল গ্রামের বাহার মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে ইমরান হোসেনের স্ত্রী।
নিহতের ছোট বোন বৃষ্টি আক্তার জানান, ৯ মাসে আগে আমেনার সঙ্গে ইমরানের বিয়ে হয়। এটি আমেনার দ্বিতীয় বিয়ে। তাদের মধ্যে প্রায় সময় পারিবারিক ও তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হতো।
তিনি আরো জানান, রাতে ইমরানের মোবাইল নিয়ে ভাগ্নের সঙ্গে কথা বলে আমেনা। এসময় ইন্টারনেটের (এমবি) নিয়ে দুইজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আমেনাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন ইমরান। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও আসামির ফাঁসি দাবি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, গৃহবধূ আমেনাকে কুপিয়ে হত্যার পর অভিযুক্ত স্বামী থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইমর ন এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে নেতাসহ ৬০ মাওবাদীর আত্মসমর্পণ
ভারতের এক মাওবাদী বিদ্রোহী নেতা ও প্রায় ৬০ জন যোদ্ধা আত্মসমর্পণ করেছেন। আজ মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র রাজ্যের গাদচিরোলি এলাকায় তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
ওই মাওবাদী নেতার নাম মাল্লোজুলা ভানুগোপাল রাও। তিনি ‘সোনু’ নামে পরিচিত। মাওবাদী গেরিলাদের সঙ্গে গত শতকের আশির দশক থেকে যুক্ত ছিলেন সোনু।
এমন সময় আত্মসমর্পণের ঘটনা ঘটল, যখন মাওবাদীদের বিদ্রোহীদের থামাতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে ভারত সরকার। আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে এই বিদ্রোহীদের দমন করতে চায় নয়াদিল্লি।
গাদচিরোলি নামের যে এলাকায় মাওবাদী সদস্যরা আত্মসমর্পণ করেছেন, তার কাছে ছত্তিশগড় রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা বলেন, ‘যাঁরা স্বাভাবিক জীবনধারায় ফিরে এসেছেন, তাঁদের স্বাগত জানাই। তবে যাঁরা ফিরে আসবেন না, তাঁদের যথাযথভাবে সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে মোকাবিলা করা হবে।’
এর আগে গত আগস্টে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মাও) এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, তারা তাদের সশস্ত্র সংগ্রাম স্থগিত করছে। ভারত সরকারের বারবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতে মাওবাদী সবচেয়ে শক্তিশালী হয়েছিল চলতি শতকের শুরুর দিকে। তখন তাদের ১৫ থেকে ২০ হাজার যোদ্ধা ছিল। ভারতের তিন ভাগের প্রায় এক ভাগ নিয়ন্ত্রণ করত তারা। তবে বিগত কয়েক বছরে ভারত সরকারের কঠোরতার কারণে মাওবাদীদের তৎপরতা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে।