নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পারিবারিক কলহের জেরে বিজলী আক্তার আমেনা (৩০) এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন তার স্বামী ইমরান হোসেন।

 

শনিবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার এনায়েতনগর এলাকার জাহাঙ্গীর মিয়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনাটি ঘটে। 

 

নিহত বিজলী আক্তার আমেনা কুমিল্লা জেলার কান্দাইল গ্রামের বাহার মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে ইমরান হোসেনের স্ত্রী।

 

নিহতের ছোট বোন বৃষ্টি আক্তার জানান, ৯ মাসে আগে আমেনার সঙ্গে ইমরানের বিয়ে হয়। এটি আমেনার দ্বিতীয় বিয়ে। তাদের মধ্যে প্রায় সময় পারিবারিক ও তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হতো। 

 

তিনি আরো জানান, রাতে ইমরানের মোবাইল নিয়ে ভাগ্নের সঙ্গে কথা বলে আমেনা। এসময় ইন্টারনেটের (এমবি) নিয়ে দুইজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আমেনাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন ইমরান। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও আসামির ফাঁসি দাবি করেন।

 

 বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, গৃহবধূ আমেনাকে কুপিয়ে হত্যার পর অভিযুক্ত স্বামী থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইমর ন এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে ‘মোবাইল ডেটা’ নিয়ে ঝগড়ার জেরে নারীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামীর আত্মসমর্পণ

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামী থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার এনায়েতনগর এলাকা এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম বিজলী আক্তার (৩০)। কুমিল্লার কান্দাইল গ্রামের বাহার মিয়ার মেয়ে। তিনি হোসিয়ারি কারখানার শ্রমিক ছিলেন। তাঁর স্বামী ইমরান হোসেন (৩৫) একই ধরনের কারখানায় কাজ করেন।

নিহতের ছোট বোন বৃষ্টি আক্তার বলেন, প্রায় ৯ মাস আগে বিজলী আক্তার ইমরান হোসেনকে বিয়ে করেন। এটি ছিল বিজলীর দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। শনিবার রাতে ইমরানের মুঠোফোন দিয়ে ভাগনের সঙ্গে কথা বলেন বিজলী। মোবাইল ডেটা নিয়ে তাঁদের দুজনের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে বিজলীকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ইমরান হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই দম্পতি এনায়েতনগরের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। শনিবার রাতে পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে ঘরে থাকা বঁটি দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করেন ইমরান। পরে তাঁকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর ইমরান হোসেন বন্দর মডেল থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। পরে তিনি থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জে ‘মোবাইল ডেটা’ নিয়ে ঝগড়ার জেরে নারীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামীর আত্মসমর্পণ
  • নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ 
  • পবিত্র আশুরা আজ
  • জঙ্গি, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তসহ ৭০০ বন্দী এখনো পলাতক, উদ্ধার হয়নি ২০ আগ্নেয়াস্ত্র