পবিত্র আশুরা: জাতীয় পার্টির আলোচনা ও দোয়া
Published: 6th, July 2025 GMT
পবিত্র আশুরা ১৪৪৭ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে কারবালা স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয় পার্টি।
আলোচনা সভা শেষে দেশ, জাতি মুসলমানদের জন্য বিশেষ দোয়া মোনাজাত করেন জাপা নেতা ক্বারী ইছারুহুল্লাহ আসিফ।
রবিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির কাকরাইল কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁঞা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা খলিলুর রহমান খলিল, নুরুজ্জামান জামান, ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সুলতান আহমেদ সেলিম, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন, এম এ সোবহান, আক্তার হোসেন দেওয়ান, যুগ্ম মহাসচিব সামসুল হক, লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, হেলাল উদ্দিন, জুবের আলম খান রবিন।
আরো পড়ুন:
অন্যায়ের বিরুদ্ধে জীবনবাজী রেখে লড়াই করতে শেখায় আশুরা: জিএম কাদের
২৮ জুন বিকল্প স্থানে কাউন্সিলের আহ্বান শীর্ষ নেতাদের
এ সময় নেতারা বলেন, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দৌহিত্র ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদত সব ধরনের লোভ লালসা ও প্রতিকূলতা সত্ত্বেও জীবন দিয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ইমাম হোসাইনের শাহাদাতের আদর্শ অনুসরণ করে আমাদের ব্যক্তি জীবন উদ্ভাসিত করতে হবে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠন করতে এভাবেই নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাপা নেতা আবু নাসের বাদল, শেখ সারওয়ার, শেখ মোহাম্মদ শান্ত, মো.
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’