কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে গোসল করতে নেমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুই শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা মিরপুরের পল্লবী দক্ষিণের বাসিন্দা কে এম আনিসুর রহমানের ছেলে সাদমান রহমান সাবাব (২১)।

নিখোঁজ বাকি দুজন হলেন, বগুড়ার দক্ষিণ সনসনিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে অরিত্র হাসান ও বগুড়া সদরের নারুলি দক্ষিণের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে আসিফ আহমেদ।

সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ৫ বন্ধু মিলে কক্সবাজার ঘুরতে আসেন তারা। সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩-২৪ সেশনের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের বিভাগের শিক্ষার্থী। তারা সকালে হিমছড়ি সৈকতে যান। তাদের মধ্যে দুজন বাঁধের উপরে বসে ছিলেন আর বাকি ৩ জন বাঁধের নিচে নেমে গোসল করতে নামেন। এ সময় ঢেউয়ের তোড়ে সাগরে ভেসে যান। যার মধ্যে সাদমান রহমান সাবাবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাকি দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।

ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বৃষ্টি আর আবহাওয়ার কারণে সমুদ্র উত্তাল। ফায়ার সার্ভিস, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফ গার্ড কর্মীরা উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, সাবাব নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স গর ড ব ম ত য

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ