বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। সালমান আগাকে অধিনায়ক করে ঘোষণা করা এ দলে জায়গা পাননি বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।

পেসার নাসিম শাহকেও স্কোয়াডে রাখা হয়নি। এ ছাড়া চোটের কারণে বাংলাদেশ এই টি–টোয়েন্টি সিরিজে নেই অলরাউন্ডার শাদাব খান ও পেসার হারিস রউফ।

দীর্ঘদিন ধরে কাঁধের সমস্যায় ভুগছিলেন শাদাব খান। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে সফল অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভি জানিয়েছে, তাঁর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ লাগবে।

যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগ ক্রিকেটে সান ফ্রান্সিসকো ইউনিকর্নসের হয়ে খেলা ফাস্ট বোলার হারিস রউফ গ্রেড-১ হ্যামস্ট্রিং চোটে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন। সে কারণে বাংলাদেশ সিরিজেও খেলা হচ্ছে না হারিসের।

পাকিস্তানের স্কোয়াডে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন উদীয়মান পেসার সালমান মির্জা ও ব্যাটসম্যান আহমেদ দানিয়াল। পিএসএলের নবম আসরে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে নির্বাচকদের নজর কাড়েন তিনি।

৪ ম্যাচে ৯ উইকেট নেওয়া এই ডানহাতি পেসারের গড় ছিল ১৫.

০০ এবং ইকোনমি রেট ৯.৬৪।

পাকিস্তান দলের ১৬ জুলাই বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২০, ২২ ও ২৪ জুলাই তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে চলতি বছরের মে মাসে ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে টি–টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল পাকিস্তান।

পাকিস্তান স্কোয়াড: সালমান আগা (অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, ফাহিম আশরাফ, আহমেদ দানিয়াল, ফখর জামান, হাসান নওয়াজ, হুসাইন তালাত, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হারিস, মোহাম্মদ আব্বাস, সাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ নওয়াজ, সুফিয়ান মুকিম ও সালমান মির্জা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ ম মদ

এছাড়াও পড়ুন:

রাউজানে প্রকৌশলী বকুল হত্যা: মা ও ২ ভাই গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের রাউজান থানার এয়াছিননগর এলাকার আলোচিত প্রকৌশলী নুরুল আলম বকুল হত্যা মামলায় নিহতের মা ও দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭। গ্রেপ্তাররা হলেন, নিহতের মা শহিদা বেগম (৬০), তার দুই ছেলে মো. নাজিম উদ্দিন (৩৫) ও দিদারুল আলম (৩৩)।

আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন জানান, নিহত নুরুল আলম বকুলের তার নিজের নামে কেনা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাইদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করলে ভাই নাজিম উদ্দিনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে তাকে হত্যার হুমকি দেন। সর্বশেষ গত ৩১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের দিন বকুল নিজ বাড়িতে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বড় ভাই নাজিম উদ্দিন ও অন্যান্যরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে পালিয়ে যায়।

আরো পড়ুন:

খুলনা শহরে ১০ মাসে ২৬ হত্যা: পুলিশ

ময়মনসিংহে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

বকুলের চিৎকারে ছোট ভাই মোহাম্মদ রাজু আহাম্মদ, তার স্ত্রী ও স্থানীয়রা এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই রাজু আহাম্মদ বাদী হয়ে রাউজান থানায় মাসহ ৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (৭ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে হাটহাজারী থানার চৌধুরীহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই থানার বড়দিঘীরপাড় বাজার এলাকা থেকে দিদারুল আলম এবং সন্ধ্যা ৬টার দিকে লালিয়ারহাট এলাকা থেকে মা শহিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রাউজান থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

ঢাকা/রেজাউল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ