ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিতে ফ্লুমিনেন্স যখন যুক্তরাষ্ট্রে আসে, তখন কেউ পাত্তা দেয়নি তাদের। গ্রুপ পর্ব থেকেই দলটির বিদায়ও দেখে ফেলেছিলেন অনেকে। ফুটবলের পরিসংখ্যানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অপ্টা জানিয়েছিল, ফ্লুমিনেন্সের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা মাত্র ০.০৫ শতাংশ। এটুকু সম্ভাবনা থাকা আর না থাকা তো একই কথা!

সেই ফ্লুমিনেন্স অবশ্য বদলে দিয়েছে সব হিসাব–নিকাশ ও ভবিষ্যদ্বাণী। যাদের গ্রুপ পর্ব থেকে আগাম বিদায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তারাই এখন ক্লাব বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে। এখন স্বপ্ন দেখছে শিরোপা জয়েরও। মাত্র দুটি ম্যাচ জিতলেই সেই স্বপ্ন পূরণ হবে তাদের।

সেমিফাইনালে আসার পথে গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ফ্লুমিনেন্স। শেষ ষোলোয় তাদের প্রতিপক্ষ ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালিস্ট ইন্টার মিলান।

সে ম্যাচে ইন্টার ফেবারিট হলেও সবাইকে চমকে দেয় ফ্লুমিনেন্স এবং ইতিহাস গড়া ২–০ গোলের জয়ে নিশ্চিত করে কোয়ার্টার ফাইনাল। আর শেষ আটে ফ্লুমিনেন্স ধরাশায়ী করে সৌদি প্রো লিগের দল আল হিলালকে। আর এখন সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ চেলসি।

আরও পড়ুনকান্নাভেজা ম্যাচে আল হিলালকে বিদায় করে সেমিফাইনালে ব্রাজিলিয়ান চমক ফ্লুমিনেন্স০৫ জুলাই ২০২৫

ফ্লুমিনেন্সের এই নাটকীয় উত্থান অবশ্য আকস্মিক কিছু নয়। এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন কোচ রেনাতো গাউচো। অবনমন ঠেকানোর লড়াই করা দলটিকে এখন তিনি ‘জায়ান্ট–কিলার’—এ রূপান্তরিত করেছেন। সেমিফাইনালেও তিনি অব্যাহত রাখতে চান সে ধারা। পাশপাশি বড় ক্লাবগুলোর সঙ্গে নিজেদের পার্থক্যের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

ফ্লুমিনেন্স কি পারবে ফাইনালে যেতে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানের রাস্তায় রাস্তায়  ‘হিটেড বেঞ্চ’

জাপানের টোকিও, সাপোরো এবং ওসাকার মতো বড় বড় শহরগুলোর রাস্তায় হিটেড বেঞ্চ বসানো হয়েছে। তীব্র শীতের রাতে গৃহহীন মানুষদের উষ্ণতা এবং স্বস্তি দেওয়াই এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।এই বেঞ্চগুলো সৌরশক্তি চালিত হয়ে থাকে।

হিটেড বেঞ্জগুলো দিনের বেলায় সূর্যের আলো থেকে তাপ সংগ্রহ করে বিশেষ "ফেজ-চেঞ্জ মেটেরিয়াল" ব্যবহার করে তা সংরক্ষণ করে।  এরপর সংরক্ষিত তাপ রাতে ধীরে ধীরে নির্গত হয় এবং প্রায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত উষ্ণতা সরবরাহ করতে পারে। এটি পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী। 

আরো পড়ুন:

কারা বেশি কাঁদেন? 

যেসব কারণে মানুষ স্বর্ণ জমায়

হিটেড বেঞ্চের জন্য কোনো অতিরিক্ত জ্বালানী বা বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না। এই মানবিক উদ্যোগটি জাপান সরকারের একটি সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ, যা নগর পরিকল্পনায় উদ্ভাবন এবং সামাজিক কল্যাণের এক চমৎকার উদাহরণ বলছেন দেশটির নাগরিকেরা। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ