০.০৫ শতাংশ সম্ভাবনা নিয়ে এসে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের সামনে এখন ফাইনালের হাতছানি
Published: 8th, July 2025 GMT
ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিতে ফ্লুমিনেন্স যখন যুক্তরাষ্ট্রে আসে, তখন কেউ পাত্তা দেয়নি তাদের। গ্রুপ পর্ব থেকেই দলটির বিদায়ও দেখে ফেলেছিলেন অনেকে। ফুটবলের পরিসংখ্যানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অপ্টা জানিয়েছিল, ফ্লুমিনেন্সের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা মাত্র ০.০৫ শতাংশ। এটুকু সম্ভাবনা থাকা আর না থাকা তো একই কথা!
সেই ফ্লুমিনেন্স অবশ্য বদলে দিয়েছে সব হিসাব–নিকাশ ও ভবিষ্যদ্বাণী। যাদের গ্রুপ পর্ব থেকে আগাম বিদায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তারাই এখন ক্লাব বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে। এখন স্বপ্ন দেখছে শিরোপা জয়েরও। মাত্র দুটি ম্যাচ জিতলেই সেই স্বপ্ন পূরণ হবে তাদের।
সেমিফাইনালে আসার পথে গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ফ্লুমিনেন্স। শেষ ষোলোয় তাদের প্রতিপক্ষ ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালিস্ট ইন্টার মিলান।
সে ম্যাচে ইন্টার ফেবারিট হলেও সবাইকে চমকে দেয় ফ্লুমিনেন্স এবং ইতিহাস গড়া ২–০ গোলের জয়ে নিশ্চিত করে কোয়ার্টার ফাইনাল। আর শেষ আটে ফ্লুমিনেন্স ধরাশায়ী করে সৌদি প্রো লিগের দল আল হিলালকে। আর এখন সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ চেলসি।
আরও পড়ুনকান্নাভেজা ম্যাচে আল হিলালকে বিদায় করে সেমিফাইনালে ব্রাজিলিয়ান চমক ফ্লুমিনেন্স০৫ জুলাই ২০২৫ফ্লুমিনেন্সের এই নাটকীয় উত্থান অবশ্য আকস্মিক কিছু নয়। এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন কোচ রেনাতো গাউচো। অবনমন ঠেকানোর লড়াই করা দলটিকে এখন তিনি ‘জায়ান্ট–কিলার’—এ রূপান্তরিত করেছেন। সেমিফাইনালেও তিনি অব্যাহত রাখতে চান সে ধারা। পাশপাশি বড় ক্লাবগুলোর সঙ্গে নিজেদের পার্থক্যের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ফ্লুমিনেন্স কি পারবে ফাইনালে যেতে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’
ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।
আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।
রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।
রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।
কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?
কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।
রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।
রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।
এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।
রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।