‘অস্ত্রের মুখে’ স্কুলছাত্রকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ
Published: 8th, July 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্কুল ছুটির পর অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে ‘অস্ত্রের মুখে’ তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এক ঘণ্টা পর স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করেন। অভিযুক্তের বাড়ি থেকে একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার একটি স্কুলের সামনে থেকে স্কুলছাত্রকে তুলে নেওয়ার এই ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে গেছেন স্বজনেরা। ওই স্কুলছাত্রকে তুলে নেওয়ার একটি ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
স্কুলছাত্রকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত মো.
স্কুলছাত্রকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ২২ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, স্কুলের পোশাক পরা ওই ছাত্রকে জোর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে একজনের হাতে পিস্তলসদৃশ একটি বস্তু। সেটি ওই ছাত্রের পিঠের দিকে ধরে রাখা হয়েছে। তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা এগিয়ে গেলে তাঁদের দিকেও পিস্তলসদৃশ বস্তুটি তাক করে ভয় দেখান ওই ব্যক্তি। ভিডিওতে পিস্তলসদৃশ বস্তু হাতে ওই ব্যক্তিকে মো. কাউসার আহমেদ হিসেবে শনাক্ত করেন স্থানীয় লোকজন।
শিক্ষার্থীর মামা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, স্কুলের অষ্টম শ্রেণির অপর এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কাউসার আহমেদের দ্বন্দ্ব ছিল বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাঁর ভাগনের বন্ধুত্ব ছিল। মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীকে খুঁজতে আসেন কাউসার ও তাঁর লোকজন। কিন্তু তাকে না পেয়ে তার ভাগনেকে তুলে নিয়ে মারধর করেন তাঁরা। তিনি বলেন, খবর পেয়ে তিনি ও তাঁর বোন তাকে ছাড়িয়ে আনতে যান। সেখানে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। পরে এলাকার লোকজনকে নিয়ে তাঁর ভাগনেকে উদ্ধার করা হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক প্রথম আলোকে বলেন, এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি থেকে একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রক
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’