গাজীপুরের শ্রীপুরে স্কুল ছুটির পর অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে ‘অস্ত্রের মুখে’ তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এক ঘণ্টা পর স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করেন। অভিযুক্তের বাড়ি থেকে একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার একটি স্কুলের সামনে থেকে স্কুলছাত্রকে তুলে নেওয়ার এই ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে গেছেন স্বজনেরা। ওই স্কুলছাত্রকে তুলে নেওয়ার একটি ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

স্কুলছাত্রকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত মো.

কাউসার আহমেদের (৩৮) বাড়ি উপজেলার ধনুয়া গ্রামে। ঘটনার সময় তাঁর সঙ্গে আরও ৫ থেকে ৬ জন ছিলেন বলে শিক্ষার্থীর স্বজনেরা জানিয়েছেন।

স্কুলছাত্রকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ২২ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, স্কুলের পোশাক পরা ওই ছাত্রকে জোর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে একজনের হাতে পিস্তলসদৃশ একটি বস্তু। সেটি ওই ছাত্রের পিঠের দিকে ধরে রাখা হয়েছে। তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা এগিয়ে গেলে তাঁদের দিকেও পিস্তলসদৃশ বস্তুটি তাক করে ভয় দেখান ওই ব্যক্তি। ভিডিওতে পিস্তলসদৃশ বস্তু হাতে ওই ব্যক্তিকে মো. কাউসার আহমেদ হিসেবে শনাক্ত করেন স্থানীয় লোকজন।

শিক্ষার্থীর মামা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, স্কুলের অষ্টম শ্রেণির অপর এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কাউসার আহমেদের দ্বন্দ্ব ছিল বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাঁর ভাগনের বন্ধুত্ব ছিল। মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীকে খুঁজতে আসেন কাউসার ও তাঁর লোকজন। কিন্তু তাকে না পেয়ে তার ভাগনেকে তুলে নিয়ে মারধর করেন তাঁরা। তিনি বলেন, খবর পেয়ে তিনি ও তাঁর বোন তাকে ছাড়িয়ে আনতে যান। সেখানে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। পরে এলাকার লোকজনকে নিয়ে তাঁর ভাগনেকে উদ্ধার করা হয়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক প্রথম আলোকে বলেন, এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি থেকে একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রক

এছাড়াও পড়ুন:

‘অস্ত্রের মুখে’ স্কুলছাত্রকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ

গাজীপুরের শ্রীপুরে স্কুল ছুটির পর অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে ‘অস্ত্রের মুখে’ তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এক ঘণ্টা পর স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করেন। অভিযুক্তের বাড়ি থেকে একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার একটি স্কুলের সামনে থেকে স্কুলছাত্রকে তুলে নেওয়ার এই ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে গেছেন স্বজনেরা। ওই স্কুলছাত্রকে তুলে নেওয়ার একটি ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

স্কুলছাত্রকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত মো. কাউসার আহমেদের (৩৮) বাড়ি উপজেলার ধনুয়া গ্রামে। ঘটনার সময় তাঁর সঙ্গে আরও ৫ থেকে ৬ জন ছিলেন বলে শিক্ষার্থীর স্বজনেরা জানিয়েছেন।

স্কুলছাত্রকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ২২ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, স্কুলের পোশাক পরা ওই ছাত্রকে জোর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে একজনের হাতে পিস্তলসদৃশ একটি বস্তু। সেটি ওই ছাত্রের পিঠের দিকে ধরে রাখা হয়েছে। তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা এগিয়ে গেলে তাঁদের দিকেও পিস্তলসদৃশ বস্তুটি তাক করে ভয় দেখান ওই ব্যক্তি। ভিডিওতে পিস্তলসদৃশ বস্তু হাতে ওই ব্যক্তিকে মো. কাউসার আহমেদ হিসেবে শনাক্ত করেন স্থানীয় লোকজন।

শিক্ষার্থীর মামা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, স্কুলের অষ্টম শ্রেণির অপর এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কাউসার আহমেদের দ্বন্দ্ব ছিল বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাঁর ভাগনের বন্ধুত্ব ছিল। মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীকে খুঁজতে আসেন কাউসার ও তাঁর লোকজন। কিন্তু তাকে না পেয়ে তার ভাগনেকে তুলে নিয়ে মারধর করেন তাঁরা। তিনি বলেন, খবর পেয়ে তিনি ও তাঁর বোন তাকে ছাড়িয়ে আনতে যান। সেখানে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। পরে এলাকার লোকজনকে নিয়ে তাঁর ভাগনেকে উদ্ধার করা হয়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক প্রথম আলোকে বলেন, এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি থেকে একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ