ইমোতে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ-প্রতারণা, আটক ১২
Published: 9th, July 2025 GMT
নাটোরের লালপুরে ইমো অ্যাপ ব্যবহার করে দেশি ও প্রবাসীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও প্রতারণার অভিযোগে ১২ সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এসময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিমকার্ড, দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। পরে তাদের লালপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আজ বুধবার ভোর ৫টার সময় লালপুরের বিলমাড়িয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে সেনাবাহিনী।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- বিলমাড়িয়া এলাকার রাসেল আহমেদ, আবির হোসেন, রিয়াজ হোসেন, রাব্বি হোসেন, মুরাদ হোসেন, মো.
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিলমাড়িয়া এলাকায় একটি চক্র ইমো অ্যাপের মাধ্যমে দেশি ও প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিত। এ ঘটনায় আজ ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টহল দল অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ এ চক্রের ১২ সদস্যকে আটক করে। এ সময় তল্লাশি করে ১৬টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, ১২টি বাটন ফোন, ৩০টি সিমকার্ড, ১টি দেশী অস্ত্র, ৫ পিস ইয়াবা ও গাঁজা জব্দ করে। পরে তাদের লালপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
লালপুর থানার ওসি মো. মমিনুজ্জামান বলেন, প্রতারক চক্রের ১২ জনের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ও ৮ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’