সাবেক এমপি রেজাউলের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ ঝুলালো দুদক
Published: 9th, July 2025 GMT
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী এবং তার ছোট ভাই দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বুলবুল আহামেদ টোকেন চৌধুরীর ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব চেয়ে দুটি নোটিশ জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়।
বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে উপজেলার সোনাইকুন্ডি গ্রামের সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতে এ নোটিশ ঝুলানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদ গোপনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। নির্ধারিত ফরমে সম্পদের বিবরণী ২১ কার্যদিবসে মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।
সাবেক এমপি রেজাউল হক চৌধুরী কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার ছোট ভাই বুলবুল আহামেদ টোকেন চৌধুরী ছিলেন দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এবং দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
দুদকের নোটিশ জারির পর থেকে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ জুলাইয়ের পর থেকে তারা উভয়ে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। বর্তমানে তাদের কেউ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন না।
এ বিষয়ে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, তারা বাড়ি না থাকায় তাদের বাড়িতে নোটিশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্য সম্পদের বিবরণী জমা না দিলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ লতপ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’