গ্র্যামি একাডেমির ভোটিং সদস্য হলেন শামস আহমেদ
Published: 10th, July 2025 GMT
বাংলাদেশি-আমেরিকান শামস আহমেদ গ্র্যামি পুরস্কারের আয়োজক প্রতিষ্ঠান দ্য রেকর্ডিং একাডেমির ভোটিং সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এমি অ্যাওয়ার্ডজয়ী সংগীত পরিচালক এটিকে তাঁর পেশাগত জীবনের বড় মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। ভোটিং সদস্য হিসেবে শামস আহমেদ এখন গ্র্যামি মনোনয়ন এবং পুরস্কার বিজয়ী নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে তিনি বলেন, ‘এই সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছাতে হলে প্রথমে দুজন প্রতিষ্ঠিত সদস্যের সুপারিশ লাগত এবং এরপর একাডেমির প্রেসিডেন্ট হার্ভে ম্যাসন জুনিয়রসহ শীর্ষ নেতৃত্ব কর্তৃক একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে যেতে হতো। এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আমি প্রান্তিক শিল্পীদের কণ্ঠকে জোরালোভাবে তুলে ধরতে এবং শিল্পজগতে আরও বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে চাই।’
২০২৩ সালে শামস আহমেদ ৪৪তম স্পোর্টস এমি অ্যাওয়ার্ডসে প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান হিসেবে বিজয়ী হন। সেই মুহূর্তটিকে তিনি বর্ণনা করেছিলেন ‘অবিশ্বাস্য’বলে।
শামস আহমেদ নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। তিনি বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত পরিবারের সন্তান এবং নিউজার্সির বাসিন্দা। তাঁর মা রাজিয়া আহমেদ এবং পিতা ইঞ্জিনিয়ার সালাহ উদ্দিন আহমেদ তারেক একজন প্রখ্যাত গায়ক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক। তিনি প্রতিবছর মুক্তধারা বইমেলায় ‘শৌখিন’ গানের দলের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুনগ্র্যামি মনোনয়নপ্রাপ্ত শিল্পীর সঙ্গে গাইলেন ঢাকার গায়ক জুয়েল১৮ মে ২০২৪শামস আহমেদ প্রয়াত শহীদ ডা.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’