আবদুল কুদ্দুস শিকদারের বয়স ৭৩ ছুঁই ছুঁই। এখনো বাড়িতে ভাজা চিড়া, বাদাম আর বুট নিজেই বাইসাইকেল চালিয়ে দোকানে দোকানে বিক্রি করেন। সামান্য আয়ে সংসার চালিয়ে প্রতি মাসে কিছু টাকা বাঁচান, যা দিয়ে সাহিত্যের মোটা মোটা বই কেনেন। এভাবে তিনি সংগ্রহ করেছেন বিভিন্ন কবি-সাহিত্যিকের হাজারখানেক বই। যদিও তিনি নিরক্ষর। পুত্রবধূকে দিয়ে বই পড়িয়ে পাশে বসে শুনে সাহিত্যের রস আস্বাদন করেন তিনি।

শুধু সাহিত্যের বই নয়, আধ্যাত্মিক বা গভীর অনুভূতির প্রকাশ ঘটানো সংগীত বা ভাবসংগীতের সংগ্রাহকও তিনি। তাঁর বাড়ির একটি টিনের ঘরে আড়াই হাজার অডিও রেকর্ডিংয়ের সংগ্রহ বা ক্যাসেট রয়েছে। এতে ধারণ করা আছে অন্তত ১০ হাজার ভাবসংগীত। ক্যাসেট বাজানোর জন্য ১৪টি ক্যাসেট প্লেয়ার সেটও রয়েছে। প্রায় প্রতি রাতে তিনি গান শুনতে শুনতে ঘুমাতে যান। মাঝেমধ্যে ঘরেই বসান ভাবসংগীতের আসর। সাধুসঙ্গে গানের পাশাপাশি গানের কথা ও ভাব নিয়ে আলোচনাও হয়।

গল্পে গল্পে আবদুল কুদ্দুস জানান, জীবনে এক দিনের জন্যও স্কুলে যাওয়া হয়নি তাঁর। পরে অবশ্য নিজের চেষ্টায় কিছুটা অক্ষর চিনেছেন। তবে গড়গড়িয়ে পড়ার মতো শিখতে পারেননি। লিখতেও পারেন না। বইয়ে লেখকের ছবি দেখে তিনি মূলত বই চিনতে পারেন।

যশোর শহরের পালবাড়ি রায়পাড়া এলাকায় আবদুল কুদ্দুসের বাড়ি। ১৩ শতক জমির বাড়িতে স্ত্রী, চার ছেলেমেয়ে ও নাতি-নাতনি নিয়ে তাঁর বসবাস। নিজে সাহিত্য পড়তে বা গান গাইতে না পারলেও তিনি সাহিত্য ও ভাবসংগীতের অনুরাগী। গানে তাল লয় সুর তোলার জন্য একতারা, দোতারা ও মন্দিরা রয়েছে তাঁর ঘরে।

গত ২৯ মে কুদ্দুস শিকদারের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, টিনের চালার একটি ঘরে তাঁর বসবাস। অন্য আরও ঘর রয়েছে। স্ত্রী-সন্তানেরা সেগুলোতে থাকেন। কুদ্দুসের ঘরের এক প্রান্তে একটি চৌকির মতো খাট। খাটে সব সময় মশারি টাঙানো থাকে। মশারির মধ্যে বালিশের দুই পাশে দুটি ক্যাসেট প্লেয়ার ও অসংখ্য ক্যাসেট। সেগুলো এখনো সচল। পাশবালিশের মতো করে একটি দোতারা রাখা আছে মশারির ভেতরে।

আবদুল কুদ্দুস বলেন, দানা গুড়ের ঠিলেয় ঝোল রাখা হয় কেন জানেন? দানা বাঁচিয়ে রাখার জন্য। আমি হলাম সেই ঝোল। নিজে দানা হতে না পারলেও দানা বাঁচিয়ে রাখার কাজটা ঝোল হিসেবে করে যাচ্ছি।

ঘরের অন্য প্রান্তে রাখা দুটি আলমারি। যেগুলো মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, ড.

লুৎফর রহমান, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, জসীমউদ্​দীনের মতো অসংখ্য কবি-লেখকের বইয়ে ঠাসা। ঘরটি কাঁচা। বৃষ্টিতে ভিজে যেতে পারে কিংবা ইঁদুরে কেটে ফেলতে পারে—এ আশঙ্কায় প্রতিটি বই পলিথিনের মলাটে মুড়িয়ে রাখা। দুই আলমারির মধ্যে বসার জন্য একটি চৌকির মতো বেঞ্চ। টেবিল-চেয়ারও রয়েছে একটা। টেবিলের ওপরে অনেকগুলো কাগজের কার্টন সাজানো রয়েছে। ওই কার্টনের ভেতরে পুরোনো দিনের গানের ক্যাসেট রাখা।

তাঁর বাড়ির একটি টিনের ঘরে আড়াই হাজার অডিও রেকর্ডিংয়ের সংগ্রহ বা ক্যাসেট রয়েছে। এতে ধারণ করা আছে অন্তত ১০ হাজার ভাবসংগীত। ক্যাসেট বাজানোর জন্য ১৪টি ক্যাসেট প্লেয়ার সেটও রয়েছে। প্রায় প্রতি রাতে তিনি গান শুনতে শুনতে ঘুমাতে যান।

গল্পে গল্পে আবদুল কুদ্দুস জানান, জীবনে এক দিনের জন্যও স্কুলে যাওয়া হয়নি তাঁর। পরে অবশ্য নিজের চেষ্টায় কিছুটা অক্ষর চিনেছেন। তবে গড়গড়িয়ে পড়ার মতো শিখতে পারেননি। লিখতেও পারেন না। বইয়ে লেখকের ছবি দেখে তিনি মূলত বই চিনতে পারেন। সাহিত্যের প্রতি তাঁর প্রবল অনুরাগ। প্রতি মাসে তিনি দু-একখানা করে লেখকের রচনাসমগ্র কেনেন। বই কেনার এমন নেশা যে সুদে টাকা নিয়েও তিনি বই কিনেছেন। কাউকে পেলেই তাঁকে দিয়ে বই পড়িয়ে নিজে বসে বসে শুনেছেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, এখন অবসর সময়ে পুত্রবধূ সাবিহা খাতুনকে ডেকে বই পড়তে বলেন আবদুল কুদ্দুস। সাবিহা বই পড়ার সময় প্রবল আগ্রহ নিয়ে পাশে বসে তা শোনেন তিনি। সাহিত্যের প্রতি শ্বশুরের এমন আগ্রহ সাবিহা খাতুনও উপভোগ করেন। পড়াশোনা বিদ্যালয়ের গণ্ডি পর্যন্ত পড়াশোনা করা সাবিহা বলেন, ‘আমার শ্বশুর অন্যদের চেয়ে একদমই আলাদা। শিশুর মতো তাঁর মন। সাহিত্য আর বাউলগানের প্রতি তাঁর বেশি আগ্রহ। প্রায়ই আমাকে ডেকে সাহিত্যের বই পড়তে বলেন। আমি পড়ে শোনাই। এতে আমারও বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। আমার স্বামীও এতে উৎসাহ দেন।’

সাহিত্যের প্রতি এমন আগ্রহ কীভাবে এল—জবাবে আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘আমার ঠাকুর দাদা করম আলী ফকিরের বাউলগান ও সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ ছিল। তাঁকে দেখেছি। দাদার বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায়। পরে অভাবের কারণে বাবা আনিসুর রহমান আমাদের নিয়ে যশোরে চলে আসেন। বাবা রিকশা চালাতেন। আমাকে লেখাপড়া শেখানোর কেউ ছিল না। আমি বুট ভেজে বিক্রির কাজে নেমে পড়লাম। কিন্তু দাদার কাছ থেকে বিভিন্ন কবি–সাহিত্যিকের কথা শুনেছি।’

প্রতি মাসে তিনি দু-একখানা করে লেখকের রচনাসমগ্র কেনেন। বই কেনার এমন নেশা যে সুদে টাকা নিয়েও তিনি বই কিনেছেন। কাউকে পেলেই তাঁকে দিয়ে বই পড়িয়ে নিজে বসে বসে শুনেছেন।

আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘কোনো বিষয়ে কিছু জানতে চাইলে একেকজন একেক রকম করে বলত। তাই আমি নিজেই তখন বইপুস্তক কিনে নিজে খোঁজার চেষ্টা করতাম। আশির দশকে বাণী চিরন্তনী নামের বইটি প্রথম কিনেছিলাম। তারপর ভাবগানের বিভিন্ন আসরে গিয়ে সাহিত্য ও গানের প্রতি আগ্রহ বাড়ে।’

আবদুল কুদ্দুসের ওই টিনের ছাপরা ঘুরে গেছেন লোকসংস্কৃতি-গবেষক সাইমন জাকারিয়া। পরে ২০১৩ সালে প্রকাশিত সাইমন জাকারিয়ার বাংলাদেশের লোকসংগীত গ্রন্থের ১৬০ পৃষ্ঠায় যশোর অঞ্চলের ভাবসংগীতের সংগ্রাহক হিসেবে আবদুল কুদ্দুসের ছবি ছাপানো হয়।

আবদুল কুদ্দুসকে আমরা কুদু ভাই নামেই চিনি। তাঁর মধ্যে প্রখর জীবনবোধ ও জীবনদর্শন রয়েছে। একজন নিরক্ষর মানুষের মধ্যে এতটা সাহিত্যানুরাগ আমি আর কারও মধ্যে দেখিনি।চিত্রশিল্পী ও লেখক অধ্যাপক মফিজুর রহমান

যশোরের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ও লেখক অধ্যাপক মফিজুর রহমানের (রুননু) একক প্রদর্শনীতে জায়গা পেয়েছিল আবদুল কুদ্দুসকে নিয়ে তাঁর আঁকা একটি ছবিও। মফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আবদুল কুদ্দুসকে আমরা কুদু ভাই নামেই চিনি। তাঁর মধ্যে প্রখর জীবনবোধ ও জীবনদর্শন রয়েছে। একজন নিরক্ষর মানুষের মধ্যে এতটা সাহিত্যানুরাগ আমি আর কারও মধ্যে দেখিনি। তিনি একজন সুচিন্তক মানুষ।’ ৭৩ বছর বয়সেও নিজে ভাজা বুট দোকানে দোকানে বিক্রি করে বেড়ালেও আবদুল কুদ্দুস কারও মুখাপেক্ষী হতে চান না বলে জানান তিনি।

সাহিত্যচর্চা তাঁকে নানা খারাপ বাসনা থেকে দূরে রেখেছে বলে মনে করেন আবদুল কুদ্দুস। তিনি তেমন বেশি মানুষের সঙ্গে মেশেন না। তাঁর সঙ্গীসাথি সব বাউল সাধকেরা। তাঁর গুরু ছিলেন কুষ্টিয়ার প্রয়াত বাউল সাধক করিম শাহ। তাঁর কাছে জীবনে তিনি গুনে গুনে ৫৬ বার গেছেন। নিজের কাজের বিষয়ে আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘দানা গুড়ের ঠিলেয় ঝোল রাখা হয় কেন জানেন? দানা বাঁচিয়ে রাখার জন্য। আমি হলাম সেই ঝোল। নিজে দানা হতে না পারলেও দানা বাঁচিয়ে রাখার কাজটা ঝোল হিসেবে করে যাচ্ছি।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ বস গ ত র ন র জন য র রহম ন বই ক ন গ রহ ব

এছাড়াও পড়ুন:

বরিশাল বোর্ডের ১৬ বিদ্যালয়ে শতভাগ ফেল

বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় ১৭টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। এছাড়া ১৬টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শতভাগ ফেল করেছে। গত বছর ২২২টি বিদ্যালয়ে শতভাগ পাস করেছিল।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম‌্যান অধ্যাপক মে. ইউনুস আলী সি‌দ্দিকী।

এ সময় উপ‌স্থিত ছিলেন শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক জিএম শহীদুল ইসলাম।

আরো পড়ুন:

বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৫৬.৩৮ শতাংশ

নারায়ণগঞ্জে অপহরণের ৭ দিনেরও স্কুলছাত্রী উদ্ধার হয়নি   

বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মে. ইউনুস আলী সি‌দ্দিকী জানান, বোর্ডের আওতাধীন ১ হাজার ৫০২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৭টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। এর মধ্যে রয়েছে পিরোজপুর জেলায় সর্বোচ্চ সাতটি, বরিশাল জেলায় ছয়টি, পটুয়াখালীতে তিনটি ও ভোলায় একটি বিদ্যালয়।

তিনি আরো জানান, বোর্ডের আওতায় ৭৩২টি বিদ্যালয়ে পাসের হার ৫০ শতাংশের ওপরে। আর ৫০ শতাংশের নিচে পাস করেছে ৭৩৭টি বিদ্যালয়। এছাড়া বোর্ডের আওতায় ছয় জেলায় ১৬টি বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি। এর মধ্যে রয়েছে পটুয়াখালীতে চারটি, ঝালকাঠিতে চটি, ভোলায় তিনটি, বরগুনায় দুইটি, পিরোজপুরে দুইটি, বরিশালে একটি বিদ্যালয়।

বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পটুয়াখালী জেলা সদরের মিয়াবাড়ি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একজন, মির্জাগঞ্জের কিসমতপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে দুইজন, দশমিনার পূর্ব আলিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আটজন, দুমকির জালিশা সেকেন্ডারি গার্লস স্কুল থেকে একজন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

ঝালকাঠি জেলার নলছিটির ভেরণবাড়িয়া সিএসইউ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সাতজন, মাটিভাঙ্গা সেকেন্ডারি স্কুল থেকে ১৭ জন,  জুরাকাঠি সেকেন্ডারি গার্লস স্কুল থেকে ১১ জন ও দিলদুয়ার গার্লস সেকেন্ডারি স্কুল থেকে ১৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

ভোলা জেলার তজুমদ্দিনের নিশ্চিন্তপুর সিকদার বাজার সেসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৯ জন, চরফ্যাশনের ফরিদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৪ জন ও শামিম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ছয়জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

বরগুনা জেলা সদরের পুরাকাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৭ জন, বেতাগীর কাজিরাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

পিরোজপুর জেলা সদরের জুজখোলা সম্মিলিত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে পাঁচজন ও ভান্ডারিয়ার মধ্য চড়াইল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পাঁচজন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।  এছাড়া বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা নাজমুল আলম সিদ্দিকী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে নয়জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৭৩ হাজার ৬১৬ জন এবং ছাত্র ৬৫ হাজার ৪১৬ জন।

এ বছর গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫। গত বছর এ হার ছিল ৮৩ দশমিক ৪। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার কমেছে ১৪ দশমিক ৯৫।

নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ৩৭ হাজার ৬৮ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫ হাজার ২১৮ জন শিক্ষার্থীই বিজ্ঞান বিভাগের। এছাড়া, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ২২ হাজার ৩২৭ জনের মধ্যে ২১ হাজার ৪৯৭ জন, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের ১৫ হাজার ৬২ জনের মধ্যে ১৪ হাজার ৮৩১ জন, যশোর শিক্ষা বোর্ডের ১৫ হাজার ৪১০ জনের মধ্যে ১৩ হাজার ৩৭৯ জন, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের ৩ হাজার ৬১৪ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৪১১ জন, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ১১ হাজার ৮৪৩ জনের মধ্যে ১০ হাজার ৪৫৮ জন, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের ৩ হাজার ১১৪ জনের মধ্যে ২ হাজার ৯২০ জন, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের ৬ হাজার ৬৭৮ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৪৪৩ জন, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ৯ হাজার ৯০২ জনের মধ্যে ৯ হাজার ৪৬৩ জন এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ৯ হাজার ৬৬ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৬৯১ জন শিক্ষার্থীই বিজ্ঞান বিভাগের।

এ বছর গত ১০ এপ্রিল শুরু হওয়া এই পরীক্ষায় মোট ৩০ হাজার ৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।

এর আগে ২০২৪ সালে শতভাগ পাস করেছিল ২ হাজার ৯৬৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সে হিসাবে শতভাগ পাশ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৯৮৪টি।

একইভাবে ২০২৪ সালে একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি। যা এবার ৮৩টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৪টিতে।

ঢাকা/পলাশ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে দুই প্রস্তাব
  • বৃষ্টির প্রেমে তিশা ও কিছু ছবি
  • ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুই কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি মাহমুদ খালিলের
  • কে এই সারা অর্জুন
  • একজন বিবাগি
  • জবিতে দুই শিক্ষক ও বাগছাসের নেতাদের উপর ছাত্রদলের হামলা
  • সিনেটে ট্রাম্পের পছন্দের ব্যক্তিকে নাকানি-চুবানি
  • ‘ভোট দিলাম সন্দ্বীপে, এমপি পেলাম মালদ্বীপে’ বনাম ‘যার যত ভোট, তার তত আসন’
  • বরিশাল বোর্ডের ১৬ বিদ্যালয়ে শতভাগ ফেল