Samakal:
2025-07-11@18:55:32 GMT

বই পড়ে ‘সেরা’ নির্বাচিত করেছি

Published: 10th, July 2025 GMT

বই পড়ে ‘সেরা’ নির্বাচিত করেছি

ধন্যবাদ সবাইকে। একটু পরেই আমরা রাতের খাবারে মিলিত হবো। সুতরাং কম কথা বলাই ভালো। তবু একটু বলি, ২০১৫ সালে নভেরা আহমেদ মারা গেলেন ফ্রান্সে। তখন তাঁর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আমার কথা হচ্ছিল যে নভেরা আহমেদকে নিয়ে একটা এক্সিবিশন বা বই প্রকাশ অথবা অন্য কী করা যায়, তার পরিকল্পনা করছিলাম। তখনই একদিন হাসনাত আবদুল হাই স্যার আমার রুমে এসেছিলেন। 
একটু আগে দেখানো তথ্যচিত্রে হাসনাত আবদুল হাই বলেছিলেন, নভেরা আহমেদকে নিয়ে আমি কী লিখব। তাঁকে তো আমি চিনি না। আমি এই কথার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি। কেননা, তিনি সেদিন আমার রুমে এসে আমাকে স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, আমিই তো তাঁর প্রেমে পড়েছিলাম। নভেরা আহমেদ পঞ্চাশের দশকে এত স্মার্ট একজন নারী ছিলেন যে হাসনাত আবদুল হাই তাঁর প্রেমে না পড়ে থাকতে পারেননি। তেমনি রেহমান সোবহানসহ অনেকেই তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন। এই তালিকা অনেক দীর্ঘ। তো আমরা হাসনাত আবদুল হাইকে আজ সম্মাননা জানাতে পেরে আনন্দিত এবং গর্বিত।
আসলে জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে আমাদের কাছে বেশকিছু বই এসেছিল। এক মাসের মধ্যে এই বইগুলো পড়া সত্যিই কঠিন। আবার কিছুটা সহজ এজন্য যে, আমরা তাদের অনেককে চিনি। আমরা জানি, তাদের কে কেমন লেখেন। এতে আমাদের বিচারকাজ কিছুটা সহজ হয়ে যায়। আজ আমরা প্রবন্ধ এবং গদ্য রচনা শাখায় পুরস্কার দিয়েছি আমিনুল ইসলাম ভুইয়ার অনবদ্য একটি বই– ‘প্লেটো প্রবেশিকা’কে। এই অনবদ্য বই তাঁর অনবদ্যতার জন্য আগেও একবার পুরস্কার পেয়েছিল। তো আমার প্রশ্ন হচ্ছে– কেন আমরা নতুন বই তেমন পাচ্ছি না। ভালো বই কি আমরা লিখতে পারছি না? নাকি প্রকাশকরা ভালো বই জমা দিচ্ছেন না? 
দ্বিতীয়ত উম্মে ফারহানা ‘টক টু মি’ লিখেছেন। খুব স্মার্ট ভাষা। এর মধ্যেও তিনি ময়মনসিংহের খাইছুন-যাইছুন লিখে আমাদের আমুদায়িত করেছেন।
আমি তাঁর জন্য শুভকামনা জানাই। তাঁর কেপাবিলিটি আছে। যেটা একজন ম্যাচিউরড লেখকের জন্য খুব দরকার, তা আছে তাঁর। আমি চাইব, তিনি তাঁর লেখালেখি অব্যাহত রাখবেন।   
আর ধ্রুব এষকে তো আমরা চিনি। তিনি প্রায় ৩০ হাজার বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন। ৩৫ বা ৩৭ বছর ধরে তিনি সাহিত্যের সঙ্গে আছেন। তিনি কবিতা দিয়ে শুরু করেছিলেন। লাজুক মানুষ। ঘরে থাকেন। তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে লেখেন। আমরা তাঁর লেখার মধ্যে ভাষার একটা নতুন গাঁথুনি লক্ষ্য করি। তাঁর নিজস্বতা খুঁজে পাই। তিনি থাকেন তাঁর চিন্তার জগতে। যে জীবন যাপনের মধ্যে তিনি থাকেন তাই তাঁর রচনার রসদ।
তো এই হচ্ছে জুরি বোর্ডের পক্ষ থেকে আমাদের নিবেদন। আমরা যথাযথ বিবেচনা করে, সব বই পড়ে, শিক্ষার্থীদের যেভাবে নাম্বার দিই, সেভাবে নাম্বারিং করে সেরা বই নির্বাচিত করেছি। সবাইকে আবারও ধন্যবাদ। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রস ক র আম দ র আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

বরিশাল বোর্ডের ১৬ বিদ্যালয়ে শতভাগ ফেল

বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় ১৭টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। এছাড়া ১৬টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শতভাগ ফেল করেছে। গত বছর ২২২টি বিদ্যালয়ে শতভাগ পাস করেছিল।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম‌্যান অধ্যাপক মে. ইউনুস আলী সি‌দ্দিকী।

এ সময় উপ‌স্থিত ছিলেন শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক জিএম শহীদুল ইসলাম।

আরো পড়ুন:

বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৫৬.৩৮ শতাংশ

নারায়ণগঞ্জে অপহরণের ৭ দিনেরও স্কুলছাত্রী উদ্ধার হয়নি   

বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মে. ইউনুস আলী সি‌দ্দিকী জানান, বোর্ডের আওতাধীন ১ হাজার ৫০২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৭টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। এর মধ্যে রয়েছে পিরোজপুর জেলায় সর্বোচ্চ সাতটি, বরিশাল জেলায় ছয়টি, পটুয়াখালীতে তিনটি ও ভোলায় একটি বিদ্যালয়।

তিনি আরো জানান, বোর্ডের আওতায় ৭৩২টি বিদ্যালয়ে পাসের হার ৫০ শতাংশের ওপরে। আর ৫০ শতাংশের নিচে পাস করেছে ৭৩৭টি বিদ্যালয়। এছাড়া বোর্ডের আওতায় ছয় জেলায় ১৬টি বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি। এর মধ্যে রয়েছে পটুয়াখালীতে চারটি, ঝালকাঠিতে চটি, ভোলায় তিনটি, বরগুনায় দুইটি, পিরোজপুরে দুইটি, বরিশালে একটি বিদ্যালয়।

বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পটুয়াখালী জেলা সদরের মিয়াবাড়ি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একজন, মির্জাগঞ্জের কিসমতপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে দুইজন, দশমিনার পূর্ব আলিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আটজন, দুমকির জালিশা সেকেন্ডারি গার্লস স্কুল থেকে একজন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

ঝালকাঠি জেলার নলছিটির ভেরণবাড়িয়া সিএসইউ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সাতজন, মাটিভাঙ্গা সেকেন্ডারি স্কুল থেকে ১৭ জন,  জুরাকাঠি সেকেন্ডারি গার্লস স্কুল থেকে ১১ জন ও দিলদুয়ার গার্লস সেকেন্ডারি স্কুল থেকে ১৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

ভোলা জেলার তজুমদ্দিনের নিশ্চিন্তপুর সিকদার বাজার সেসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৯ জন, চরফ্যাশনের ফরিদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৪ জন ও শামিম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ছয়জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

বরগুনা জেলা সদরের পুরাকাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৭ জন, বেতাগীর কাজিরাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

পিরোজপুর জেলা সদরের জুজখোলা সম্মিলিত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে পাঁচজন ও ভান্ডারিয়ার মধ্য চড়াইল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পাঁচজন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।  এছাড়া বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা নাজমুল আলম সিদ্দিকী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে নয়জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৭৩ হাজার ৬১৬ জন এবং ছাত্র ৬৫ হাজার ৪১৬ জন।

এ বছর গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫। গত বছর এ হার ছিল ৮৩ দশমিক ৪। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার কমেছে ১৪ দশমিক ৯৫।

নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ৩৭ হাজার ৬৮ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫ হাজার ২১৮ জন শিক্ষার্থীই বিজ্ঞান বিভাগের। এছাড়া, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ২২ হাজার ৩২৭ জনের মধ্যে ২১ হাজার ৪৯৭ জন, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের ১৫ হাজার ৬২ জনের মধ্যে ১৪ হাজার ৮৩১ জন, যশোর শিক্ষা বোর্ডের ১৫ হাজার ৪১০ জনের মধ্যে ১৩ হাজার ৩৭৯ জন, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের ৩ হাজার ৬১৪ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৪১১ জন, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ১১ হাজার ৮৪৩ জনের মধ্যে ১০ হাজার ৪৫৮ জন, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের ৩ হাজার ১১৪ জনের মধ্যে ২ হাজার ৯২০ জন, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের ৬ হাজার ৬৭৮ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৪৪৩ জন, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ৯ হাজার ৯০২ জনের মধ্যে ৯ হাজার ৪৬৩ জন এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ৯ হাজার ৬৬ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৬৯১ জন শিক্ষার্থীই বিজ্ঞান বিভাগের।

এ বছর গত ১০ এপ্রিল শুরু হওয়া এই পরীক্ষায় মোট ৩০ হাজার ৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।

এর আগে ২০২৪ সালে শতভাগ পাস করেছিল ২ হাজার ৯৬৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সে হিসাবে শতভাগ পাশ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৯৮৪টি।

একইভাবে ২০২৪ সালে একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি। যা এবার ৮৩টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৪টিতে।

ঢাকা/পলাশ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৃষ্টির প্রেমে তিশা ও কিছু ছবি
  • ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুই কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি মাহমুদ খালিলের
  • কে এই সারা অর্জুন
  • একজন বিবাগি
  • চিড়া–বাদাম বেচেন কুদ্দুস, বাড়িতে হাজারো বই আর অডিও
  • জবিতে দুই শিক্ষক ও বাগছাসের নেতাদের উপর ছাত্রদলের হামলা
  • সিনেটে ট্রাম্পের পছন্দের ব্যক্তিকে নাকানি-চুবানি
  • ‘ভোট দিলাম সন্দ্বীপে, এমপি পেলাম মালদ্বীপে’ বনাম ‘যার যত ভোট, তার তত আসন’
  • বরিশাল বোর্ডের ১৬ বিদ্যালয়ে শতভাগ ফেল