Samakal:
2025-11-02@07:00:23 GMT

বই পড়ে ‘সেরা’ নির্বাচিত করেছি

Published: 10th, July 2025 GMT

বই পড়ে ‘সেরা’ নির্বাচিত করেছি

ধন্যবাদ সবাইকে। একটু পরেই আমরা রাতের খাবারে মিলিত হবো। সুতরাং কম কথা বলাই ভালো। তবু একটু বলি, ২০১৫ সালে নভেরা আহমেদ মারা গেলেন ফ্রান্সে। তখন তাঁর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আমার কথা হচ্ছিল যে নভেরা আহমেদকে নিয়ে একটা এক্সিবিশন বা বই প্রকাশ অথবা অন্য কী করা যায়, তার পরিকল্পনা করছিলাম। তখনই একদিন হাসনাত আবদুল হাই স্যার আমার রুমে এসেছিলেন। 
একটু আগে দেখানো তথ্যচিত্রে হাসনাত আবদুল হাই বলেছিলেন, নভেরা আহমেদকে নিয়ে আমি কী লিখব। তাঁকে তো আমি চিনি না। আমি এই কথার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি। কেননা, তিনি সেদিন আমার রুমে এসে আমাকে স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, আমিই তো তাঁর প্রেমে পড়েছিলাম। নভেরা আহমেদ পঞ্চাশের দশকে এত স্মার্ট একজন নারী ছিলেন যে হাসনাত আবদুল হাই তাঁর প্রেমে না পড়ে থাকতে পারেননি। তেমনি রেহমান সোবহানসহ অনেকেই তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন। এই তালিকা অনেক দীর্ঘ। তো আমরা হাসনাত আবদুল হাইকে আজ সম্মাননা জানাতে পেরে আনন্দিত এবং গর্বিত।
আসলে জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে আমাদের কাছে বেশকিছু বই এসেছিল। এক মাসের মধ্যে এই বইগুলো পড়া সত্যিই কঠিন। আবার কিছুটা সহজ এজন্য যে, আমরা তাদের অনেককে চিনি। আমরা জানি, তাদের কে কেমন লেখেন। এতে আমাদের বিচারকাজ কিছুটা সহজ হয়ে যায়। আজ আমরা প্রবন্ধ এবং গদ্য রচনা শাখায় পুরস্কার দিয়েছি আমিনুল ইসলাম ভুইয়ার অনবদ্য একটি বই– ‘প্লেটো প্রবেশিকা’কে। এই অনবদ্য বই তাঁর অনবদ্যতার জন্য আগেও একবার পুরস্কার পেয়েছিল। তো আমার প্রশ্ন হচ্ছে– কেন আমরা নতুন বই তেমন পাচ্ছি না। ভালো বই কি আমরা লিখতে পারছি না? নাকি প্রকাশকরা ভালো বই জমা দিচ্ছেন না? 
দ্বিতীয়ত উম্মে ফারহানা ‘টক টু মি’ লিখেছেন। খুব স্মার্ট ভাষা। এর মধ্যেও তিনি ময়মনসিংহের খাইছুন-যাইছুন লিখে আমাদের আমুদায়িত করেছেন।
আমি তাঁর জন্য শুভকামনা জানাই। তাঁর কেপাবিলিটি আছে। যেটা একজন ম্যাচিউরড লেখকের জন্য খুব দরকার, তা আছে তাঁর। আমি চাইব, তিনি তাঁর লেখালেখি অব্যাহত রাখবেন।   
আর ধ্রুব এষকে তো আমরা চিনি। তিনি প্রায় ৩০ হাজার বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন। ৩৫ বা ৩৭ বছর ধরে তিনি সাহিত্যের সঙ্গে আছেন। তিনি কবিতা দিয়ে শুরু করেছিলেন। লাজুক মানুষ। ঘরে থাকেন। তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে লেখেন। আমরা তাঁর লেখার মধ্যে ভাষার একটা নতুন গাঁথুনি লক্ষ্য করি। তাঁর নিজস্বতা খুঁজে পাই। তিনি থাকেন তাঁর চিন্তার জগতে। যে জীবন যাপনের মধ্যে তিনি থাকেন তাই তাঁর রচনার রসদ।
তো এই হচ্ছে জুরি বোর্ডের পক্ষ থেকে আমাদের নিবেদন। আমরা যথাযথ বিবেচনা করে, সব বই পড়ে, শিক্ষার্থীদের যেভাবে নাম্বার দিই, সেভাবে নাম্বারিং করে সেরা বই নির্বাচিত করেছি। সবাইকে আবারও ধন্যবাদ। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রস ক র আম দ র আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে নতুন অধ্যাদেশ অনুমোদন

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আরো শক্তিশালী ও কার্যকর করার লক্ষ্যে নতুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

আরো পড়ুন:

নির্বাচন বানচালের যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

আইন উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের আগে একটা মানবাধিকার কমিশন ছিল, কিন্তু সেটি কার্যত দন্তহীন একটি প্রতিষ্ঠান ছিল। নিয়োগ পদ্ধতিতে ত্রুটি, এখতিয়ারে ঘাটতি এবং নেতৃত্বের দুর্বলতায় প্রতিষ্ঠানটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। এবার সেটিকে সত্যিকারের এখতিয়ারসম্পন্ন, ক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্রতিষ্ঠানে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।”

তিনি জানান, নতুন অধ্যাদেশে মানবাধিকার কমিশনের কাঠামো, এখতিয়ার ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। কমিশন একজন চেয়ারম্যান ও চারজন সার্বক্ষণিক সদস্য নিয়ে গঠিত হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও যোগ্যতা নিশ্চিত করতে আপিল বিভাগের একজন বিচারকের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবেদন আহ্বান করা হবে এবং প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বাছাই কমিটি সুপারিশ করবে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, “আমরা নিয়োগ পদ্ধতিটা এমনভাবে করেছি যাতে অভিজ্ঞ, যোগ্য ও মানবাধিকার রক্ষায় সক্রিয় মানুষরা কমিশনে জায়গা পান।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ কর্তৃক অনুসমর্থিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি এবং প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত মানবাধিকারগুলোকেও এই কমিশনের এখতিয়ারে আনা হয়েছে। এর ফলে কমিশন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুযায়ী কাজ করতে পারবে।”

অধ্যাদেশে কমিশনের এখতিয়ার বহুলাংশে বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে শৃঙ্খলা বাহিনীসহ রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাতেও কমিশন তদন্ত করতে পারবে। আইন উপদেষ্টা বলেন, “আগের কমিশনের এখতিয়ারে গুরুতর সীমাবদ্ধতা ছিল, বিশেষ করে শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগের ক্ষেত্রে। এবার সেই সীমাবদ্ধতা দূর করা হয়েছে।”

এছাড়া, গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা আইনসহ মানবাধিকার সংরক্ষণমূলক যেকোনো আইনের বাস্তবায়নের দায়িত্ব মানবাধিকার কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। আলাদা করে ‘গুম কমিশন’ গঠনের প্রয়োজন হবে না বলে তিনি জানান।

অধ্যাদেশে কমিশনের আদেশ প্রতিপালনকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা বলেন, “এখন থেকে কমিশনের সুপারিশ বা নির্দেশ উপেক্ষা করা যাবে না। এর বাধ্যবাধকতা আইনি কাঠামোয় যুক্ত করা হয়েছে।”

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসসের।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • অভ্যুত্থানের অনবদ্য দলিল
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
  • নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ৩১ বিভাগকে প্রস্তুতির নির্দেশ ইসির
  • কর্মদিবসের শেষ দিনে প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু
  • প্রশিক্ষকদের দায়িত্বে উদাসীনতাসহ যেসব অসংগতি উঠে এল প্রাথমিক তদন্তে
  • চবি ছাত্রদলের ৪২০ জনের কমিটিতে নারী মাত্র ১১
  • চলন্ত গাড়ির নিচে পড়েও অক্ষত অবস্থায় ফিরল ৩ বছরের শিশুটি
  • মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে নতুন অধ্যাদেশ অনুমোদন