বিসিএমএর নতুন সভাপতি প্রিমিয়ার সিমেন্টের এমডি আমিরুল হক
Published: 11th, July 2025 GMT
দেশের সিমেন্টশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আমিরুল হক।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিসিএমএর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে তাঁকে দুই বছরের জন্য সংগঠনটির সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। বিসিএমএর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এ ছাড়া সংগঠনের প্রথম সহসভাপতি হয়েছে কনফিডেন্স সিমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান মো.
বিসিএমএ জানায়, নবনির্বাচিত সভাপতি আমিরুল হক বিসিএমএর পাশাপাশি এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলওএবি) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। চার দশক ধরে তিনি দেশে ব্যবসা–বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত। পেট্রোকেমিক্যাল, শিপিং, বীজ প্রক্রিয়াকরণ ও ভোজ্যতেল শোধনাগার, আটার কল, চিংড়ি হ্যাচারি, ব্যাগ, স্যাক উৎপাদন, আবাসন খাতসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম চেম্বার ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন আমিরুল হক। দেশের শিল্প খাতে অবদানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তিনি একাধিকবার সিআইপিও নির্বাচিত হন।
সভাপতি, প্রথম সহসভাপতি ও সহসভাপতি ছাড়াও বিসিএমএর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন সেভেন রিং সিমেন্টের তাহমিনা আহমেদ।
এ ছাড়া নির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন হাইডেলবার্গ সিমেন্টের ট্যারেন্স ওএনজি, মীর সিমেন্টের শামা-ই-জহির, ডায়মন্ড সিমেন্টের আবদুল্লাহ ইফতেখার, এনজিএস সিমেন্টের অভিমুন্য সাহা ও আকিজ সিমেন্টের মো. মশিউর রহমান।
আমিরুল হকের আগে বিসিএমএর সভাপতি ছিলেন ক্রাউন সিমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলমগীর কবির। তিন দফায় দায়িত্ব পালনের পর নিয়ম অনুযায়ী নতুন সভাপতির হাতে সংগঠনের নেতৃত্ব তুলে দেন বিদায়ী সভাপতি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব স এমএর হয় ছ ন স গঠন ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে আবার ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা যাতে তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সবাই একমত: আলী রীয়াজ
দেশে আবার কোনোভাবে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা যাতে তৈরি হতে না পারে, সে ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একমত। এ কথা বলেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ১১তম দিনের আলোচনার শুরুতে আলী রীয়াজ এ কথা বলেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘আমাদের সবার লক্ষ্য এক। আমরা একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের কথা বলছি, যাতে করে ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণ করা না হয়, সেটার কথা বলছি। নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষার কথা বলছি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলছি। এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যেন এমন ব্যবস্থা তৈরি করা যায়, যাতে এ দেশে আবার কোনোভাবে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা তৈরি না হয়, সেটি নিশ্চিত করা—এই লক্ষ্যগুলোর ব্যাপারে, উদ্দেশ্যগুলোর ব্যাপারে আমরা সবাই একমত।’
আজকের আলোচনায় প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা, জরুরি অবস্থা ঘোষণা বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছিল, তবে ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি।
আজকের আলোচনায় অংশ নিয়েছে বিএনপি, এনসিপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।
আলী রীয়াজ বলেন, এই আলোচনা তাঁদের জাতীয় সনদ তৈরির ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। অনেকগুলো বিষয়ে একমত হওয়া গেছে। পাশাপাশি দরকার হলো, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য মৌলিক বিষয়গুলোতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা। কারণ, এখানে যাঁরা আছেন, তাঁদের সবারই লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এক। সেগুলো বাস্তবায়ন করাই হচ্ছে তাঁদের সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে যতটুকু সম্ভব, ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা প্রধান লক্ষ্য বলে জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জুলাই মাসের মধ্যেই যেন আমরা এ কাজ সম্পন্ন করতে পারি।’
যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি, সেগুলো নিয়ে আবার আলোচনার মাধ্যমে একটা মীমাংসার জায়গায় যাওয়ার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘এটাই আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এর বাইরে আমাদের কারও কোনো উদ্দেশ্য নেই।’
যে বিষয়গুলোতে আগে আলোচনায় অনেক দূর পর্যন্ত অগ্রসর হওয়া গেছে, সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চান বলে জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি।