ভোলায় মুঠোফোন দেওয়ার নামে ২ কোটি টাকা নিয়ে উধাও বিক্রয় প্রতিনিধি, ব্যবসায়ীদের জিডি
Published: 11th, July 2025 GMT
ভোলায় মুঠোফোন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক বিক্রয় প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। তিন ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ব্যাংকের মাধ্যমে এসব টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন বিক্রয় প্রতিনিধিরা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা আজ শুক্রবার ভোলা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
আজ সকাল নয়টার দিকে ভোলার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। তাঁরা হলেন ভোলা সদরের ওবায়েদুর রহমান, বোরহানউদ্দিনের শাহজাদা আখন্দ ও মোসলেহ উদ্দিন। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম এহসান কবির। তিনি ভোলা সদরের বাসিন্দা। তিন বছরের বেশি সময় ধরে তিনি রিয়েলমি কোম্পানির হয়ে কাজ করছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাঁকে রিয়েলমির ব্যবস্থাপক হিসেবে চেনেন।
লিখিত বক্তব্যে ওই ব্যবসায়ীরা বলেন, মুঠোফোন কোম্পানি রিয়েলমির নতুন প্যাকেজে তাঁদের মুঠোফোন দেওয়ার আশ্বাসে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা নিয়েছেন বিক্রয় প্রতিনিধি এহসান কবীর। এরপর তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। ৫ জুলাই বেলা ১১টার পর থেকে এহসানের সব মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছে অর্থ দেওয়ার সব প্রমাণ সংরক্ষিত আছে। তাঁদের ধারণা, ওই বিক্রয় প্রতিনিধি ভোলার সাত উপজেলার অসংখ্য মুঠোফোন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে জানিয়ে ওই ব্যবসায়ীরা আরও জানান, রিয়েলমি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে তেমন সহযোগিতা করছেন না।
জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে ভোলার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাত হাচনাইন পারভেজ বলেন, অভিযুক্ত এহসানের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাস্তা করল উত্তর সিটি, উদ্বোধনে বিএনপি নেতা!
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আওতাধীন বাড্ডা থানার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাঞ্চলের সড়কের সংস্কার কাজ শেষের পথে। এর পর সড়কটি আনুষ্ঠানিকভাবে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেবে সিটি করপোরেশন। তবে এর আগেই সড়কটি স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী উদ্বোধনের আয়োজন করেছে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করা হয়েছে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা-১১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ড. এম এ কাইয়ুমকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এলাকায় টানানো হয়েছে ব্যানার। আর এতেই স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া বিএনপি নেতা এ সড়ক উদ্বোধন করতে পারেন কিনা?
জানা যায়, বাড্ডা থানার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাঞ্চলের রাস্তার সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাস্তার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্নের উদ্যোগ নেয় উত্তর সিটি করপোরেশন। এখন অল্প কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তবে এই সড়কটি ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকাবাসীর ব্যানারে উদ্বোধনের আয়োজন করেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এ ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে ব্যানার টানানো নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা-১১ আসনের জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান তাঁর ফেসবুক পেজে সড়কটি উদ্বোধনে প্রধান অতিথি ড. এম এ কাইয়ুম সংবলিত একটি ব্যানার শেয়ার করেছেন।
এই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আবারও ক্রেডিটের রাজনীতির শুভসূচনা। ঢাকা-১১ আসনের বাড্ডা থানার ৩৮ নং ওয়ার্ডের পূর্বাঞ্চলের রাস্তার সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয় ২০২৩ সালে। ফ্যাসিবাদের পতনের পর রাস্তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে শেষ হওয়া রাস্তার কাজ উদ্বোধনের উদ্যোগ নিচ্ছেন রাজনৈতিক নেতা। এলাকায় ঝুলিয়েছেন ব্যানার। ক্ষমতা পাওয়ার আগে ক্ষমতা দেখানোর রাজনীতি!’
ডিএনসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী ইশতিয়াক মাহমুদ সমকালকে বলেন, এখানে উদ্বোধনের কিছু নেই। এলাকাবাসী ও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কেউ কেউ উদ্বোধনের আয়োজন করেছেন। এর সঙ্গে করপোরেশনের কোনো সংযোগ নেই।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা ড. এম এ কাইয়ুম সমকালকে বলেন, সড়কটি আগের সরকারের সময়ে তৈরি। এটি উদ্বোধন করার প্রশ্নই আসে না। আমাকে বিতর্কিত করতে কে বা কারা ব্যানারটি টানিয়েছে। তা জানার পরে নামাতে বলেছি, নামানো হয়েছে।