ভোলায় মুঠোফোন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক বিক্রয় প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। তিন ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ব্যাংকের মাধ্যমে এসব টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন বিক্রয় প্রতিনিধিরা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা আজ শুক্রবার ভোলা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

আজ সকাল নয়টার দিকে ভোলার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। তাঁরা হলেন ভোলা সদরের ওবায়েদুর রহমান, বোরহানউদ্দিনের শাহজাদা আখন্দ ও মোসলেহ উদ্দিন। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম এহসান কবির। তিনি ভোলা সদরের বাসিন্দা। তিন বছরের বেশি সময় ধরে তিনি রিয়েলমি কোম্পানির হয়ে কাজ করছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাঁকে রিয়েলমির ব্যবস্থাপক হিসেবে চেনেন।

লিখিত বক্তব্যে ওই ব্যবসায়ীরা বলেন, মুঠোফোন কোম্পানি রিয়েলমির নতুন প্যাকেজে তাঁদের মুঠোফোন দেওয়ার আশ্বাসে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা নিয়েছেন বিক্রয় প্রতিনিধি এহসান কবীর। এরপর তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। ৫ জুলাই বেলা ১১টার পর থেকে এহসানের সব মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছে অর্থ দেওয়ার সব প্রমাণ সংরক্ষিত আছে। তাঁদের ধারণা, ওই বিক্রয় প্রতিনিধি ভোলার সাত উপজেলার অসংখ্য মুঠোফোন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ বিষয়ে মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে জানিয়ে ওই ব্যবসায়ীরা আরও জানান, রিয়েলমি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে তেমন সহযোগিতা করছেন না।

জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে ভোলার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাত হাচনাইন পারভেজ বলেন, অভিযুক্ত এহসানের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস য় র এহস ন

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ