স্বার্থান্বেষী মহল সেনাবাহিনী ও পুলিশের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝি ও অনাস্থা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে: আইএসপিআর
Published: 12th, July 2025 GMT
একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝি ও অনাস্থা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে বলে শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সেনা সদরের একটি প্রশাসনিক চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে সংঘটিত ঘটনাসমূহে সেনাসদস্যদের হেনস্তার শিকার হওয়ার কিছু অভিযোগ সংবলিত একটি তালিকা আহ্বানের কথা উল্লেখ ছিল। এ বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে জানানো যাচ্ছে যে, উক্ত চিঠিটি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সংঘটিত বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে গঠিত ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন’–এর চাহিদার প্রেক্ষিতেই তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে কেবলমাত্র প্রেরণ করা হয়েছিল। পরে যেকোনো রকম ভুল ব্যাখ্যা বা অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া পরিহারের স্বার্থে উক্ত চিঠির কার্যক্রম সেনা সদর কর্তৃক তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করা হয়।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই বিষয়টিকে অপব্যাখ্যা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝি ও অনাস্থা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ উভয়ই দেশের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমন্বয় ও পেশাগত সৌহার্দ্যের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে একযোগে কাজ করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা গণমাধ্যমে এ–বিষয়ক বিভ্রান্তিকর বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেছে আইএসপিআর।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।