চট্টগ্রামে এক দিনে ২৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত
Published: 12th, July 2025 GMT
চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৩ জনের শরীরের ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এক দিনে ২৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্তের ঘটনা চলতি মৌসুমে এটিই প্রথম।
জেলা সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম ২৩ জনের ডেঙ্গু পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখন বর্ষা মৌসুম। তাই ডেঙ্গুর ঝুঁকি বেশি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন আক্রান্ত ২৩ জনের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১০ জন নারী। এ নিয়ে জুলাই মাসে মোট ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হলো ১৪১ জন। এ বছর মোট আক্রান্ত ৫৮৬ জন। তাঁদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন।
তবে প্রতিটি হাসপাতাল ও রোগনির্ণয় কেন্দ্র থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের প্রতিবেদন নিয়মিত সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যায় না। এ জন্য ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সঠিক চিত্র এর চেয়ে বেশি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ভ ল স র জন ২৩ জন র
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’