ভেড়ামারায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বাড়িতে হামলা, আগুন
Published: 12th, July 2025 GMT
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। এ সময় তার ছোট ভাইয়ের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।
শনিবার রাত ১টার দিকে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব লাল চাঁদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুর্বৃত্তরা অস্ত্র নিয়ে লাল চাঁদের বাড়িতে হামলা চালায়। তার ছোট ভাই ও যুবদলের কর্মী সুবেল আহম্মেদের বসতঘরেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া দেয়। এর পর তারা বাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সুবেল আহম্মেদ বলেন, ‘রাজনীতি কেন্দ্রিক প্রতিপক্ষের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে। তারা আমার বড় ভাইয়ের ঘরে ভাঙচুর করেছে এবং আমার ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। গুলিও ছোড়ে, বোমাও ফাটায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে সম্ভবত এটাই একমাত্র ইউনিয়ন, যেখানে ৫ আগস্টের পরও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। তাদের সঙ্গে বিএনপির কিছু লোক মিলে হামলা চালিয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবন, কুঁচিয়ামোড়া এলাকার রতন হাজি ও আলমগীরের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটেছে।’
এ বিষয়ে জানতে বাহাদুরপুরের ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
কুঁচিয়ামোড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন বলেন, ‘একটি ঘরে আগুন দেওয়া হয়। ঘরটি আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তদন্ত চলছে। তবে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার ওসি আব্দুল রব তালুকদার, হামলার ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’