অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লার উত্তরের শহর সিনজিলে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় দুই ফিলিস্তিনি যুবক নিহত হয়েছেন। তাদের একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইফোল্লাহ মুসাল্লাত (২৩) ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ট্যাম্পা শহরের বাসিন্দা ছিলেন। ছুটি কাটাতে গত ৪ জুন তিনি পশ্চিম তীরে আসেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই সাইফোল্লাহর পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা। মূলত এ বিষয়েই পশ্চিম তীরে এসেছিলেন তিনি।
শুক্রবার ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা তাঁর জমি দখল করতে এলে তিনি বাধা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইসরায়েলিরা নির্মমভাবে মারধর করে তাঁকে। এরপর গুরুতর জখম সাইফোল্লাহকে হাসপাতালে নিতে বাধা দেওয়ার জন্য তিন ঘণ্টা ঘিরে রাখে তারা। ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছালেও তাঁকে উদ্ধার করতে দেয়নি সেটেলাররা। পরে তাঁর ভাই কাঁধে করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাইফ মারা যান। এ ঘটনায় নিহত আরেক যুবক মোহাম্মদ আল-শালাবি (২৩) পাশের আল-মাজরাআ আল-শারকিয়া শহরের বাসিন্দা।
তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। স্থানীয়রা জানান, তিনিও দীর্ঘ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। কাউকে তাঁর কাছে যেতে দেয়নি ইসরায়েলিরা। ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, একই ঘটনায় আরও অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। বসতি স্থাপনকারীরা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি ফসলি জমি জ্বালিয়ে দেয় তারা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ওই এলাকায় ইসরায়েলিদের লক্ষ্য করে ফিলিস্তিনিরা পাথর ছোড়ার পর সংঘর্ষ বাধে। এতে দু’জন ইসরায়েলি সামান্য আহত হন। এরপর সেখানে ভাঙচুর, মারধর ও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনার খোঁজ রাখছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল স থ পনক র ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে গুহা থেকে দুই সন্তানসহ রুশ নারীকে উদ্ধার
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের গোকর্ণের রামতীর্থ পাহাড়ের একটি গুহা থেকে দুই সন্তানসহ এক রুশ নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ‘আত্মিক প্রশান্তি ও ধ্যানের’ জন্য তিনি রাজ্যের উত্তর কান্নাডা জেলায় অবস্থিত ওই গুহায় ছিলেন। আজ শনিবার স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
রুশ ওই নারীর নাম নিনা কুতিনা ওরফে মোহি। তাঁর বয়স ৪০ বছর। ব্যবসায়িক ভিসায় তিনি রাশিয়া থেকে ভারতে এসেছিলেন। এরপর গোয়া হয়ে কর্ণাটকের গোকর্ণ শহরে বসবাস শুরু করেন। এ সময় হিন্দু ধর্ম ও ভারতের আধ্যাত্মিক রীতিনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন নিনা।
নিনা কুতিনার দুই সন্তানের নাম প্রেয়া (৬) ও অমা (৪)। পুলিশ জানিয়েছে, দুই সপ্তাহ ধরে ওই গুহায় ‘পূজা’ ও ধ্যান করে দিন কাটাচ্ছিলেন নিনা। প্রকৃতির মধ্যে আত্মিক শান্তি খুঁজছিলেন তিনি। এরই মধ্যে গতকাল শুক্রবার নিয়মিত টহলের সময় ওই গুহার বাইরে পোশাক ঝোলানো অবস্থায় দেখতে পান পুলিশ সদস্যরা। এরপর সেখানে গিয়ে নিনা ও তাঁর দুই সন্তানের খোঁজ পাওয়া যায়।
উত্তর কান্নাডার পুলিশ সুপার এম নারায়ণ আজ পিটিআইকে বলেন, ‘এই নারী ও তাঁর সন্তানেরা কীভাবে জঙ্গলের মধ্যে ছিলেন এবং কী খেয়েছিলেন, তা বেশ বিস্ময়কর। সৌভাগ্যক্রমে জঙ্গলে থাকার সময় তাঁর বা শিশুদের কারও সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটেনি।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ২০১৭ সালে রাশিয়ার ওই নারীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তিনি কত দিন ধরে ভারতে আছেন, তা জানা যায়নি। উদ্ধারের পর তাঁকে একটি আশ্রমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতে রুশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে রাশিয়ায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।