বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের আয়োজনে থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে কবিতা ও আবৃত্তি নিয়ে অনুষ্ঠান ‘কবিতার কবি, কবিতার ছবি’। শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছিল কবি টোকন ঠাকুর, কবি মালেক মুস্তাকিম ও কবি রিমঝিম আহমেদের সৃষ্টি নিয়ে।
প্রথমেই ছিল কবি মালেক মুস্তাকিম পর্ব। তাঁর ‘একুশ ফিরে আসে’ কবিতার বৃন্দ আবৃত্তি দিয়ে অনুষ্ঠানের সূত্রপাত ঘটে। তিন পর্বে কবিদের পরিচিতি পাঠ করেন প্রণিতা দেব চৈতী, মমি ভট্টাচার্য্য ও অরিত্র রোদ্দুর ধর। আলোচনা করেন কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, কবি জ্যোতির্ময় নন্দী ও কবি ওমর কায়সার। আলোচকরা বলেন, ‘এই আয়োজন শুধু আবৃত্তির প্রদর্শনী নয়, কবিতা ও কাব্যচিন্তার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।’
মঞ্চে কবিতার পঙক্তিমালা উচ্চারণ করেন আবৃত্তিশিল্পী শিমুল নন্দী, জাভেদ হোসেন, পিউ সরকার, রনি চৌধুরী, শারমিন মৃত্তিকা, লাভলী আক্তার নিশাথ, রীমা দাশ, অসীম দাশ, ফজিলাতুন নেছা শাওন, সন্দিপন সেন একা, অর্পিতা দাশ, জিকো সরকার, সুতপা মজুমদার, জয়শ্রী মজুমদার জয়া, মোহিনী সংগীতা সিংহ, হোসনে আরা নাজু, পৃথুলা চৌধুরী, হিমানী মজুমদার, সত্যজিৎ চক্রবর্তী, অনিমেশ পালিত, অর্চি দত্ত, ঋতুপর্ণা চৌধুরী শ্রাবণ, পাতা দে বৃষ্টি।
অনুষ্ঠানে রিমঝিম আহমেদের ‘মানুষের সমীপে’ ও টোকন ঠাকুরের ‘হাসিকান্না ২০২১’ কবিতার বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশিত হয়। বৃন্দ আবৃত্তি তিনটির নির্দেশনা দেন আবৃত্তিশিল্পী মাঈনুল আজম চৌধুরী। কবিদের উত্তরীয় ও স্মারক তুলে দেন বোধন সভাপতি আবদুল হালিম দোভাষ, সহসভাপতি নারায়ণ প্রসাদ বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক প্রণব চৌধুরী। সঞ্চালনায় ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী তৈয়বা জহির আরশি।
অনুষ্ঠানের নেপথ্যে দায়িত্ব পালন করেন কাজী মামুন, রমিজ বাবু, সৌরভ দে, কিফায়াৎ কবীর উৎস, মোহাম্মদ তাহসিন, প্রিয়ন্তী বড়ুয়া, অভিষেক রুদ্র রাজ, লাবণ্য দেব শ্রেয়া।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’