যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে নিহত রজনীর দৌলতপুরে দাফন
Published: 22nd, July 2025 GMT
ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত উম্মে হাবীবা রজনীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাদীপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে, আজ ভোরে সাদিপুর গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে রজনীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় সেখানে শোকের ছায়া নেমে আসে।
আরো পড়ুন:
‘ব্যাগটা ওর সঙ্গে সবসময় থাকতো, এখন এটাই একমাত্র সান্ত্বনা’
যশোরে শিক্ষা বোর্ড ও ডিসি অফিসের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
মারা যাওয়া রজনীর তিন সন্তানের মধ্যে ছোট মেয়ে ঝুমঝুম ইসলাম পঞ্চম শ্রেণিতে ও মেজ ছেলে রোহান ইসলাম ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। বড় ছেলে রুবাই ইসলাম এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।
রজনীর স্বামী জহুরুল ইসলাম জানান, গতকাল সোমবার (২১ জুলাই) রজনী তার মেয়েকে আনতে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যান। এসময় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হলে গুরুতর আহত হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান। তার মেয়ে ঝুমঝুম স্কুল ছুটি হওয়ার পরপরই ক্যাম্পাস থেকে বের বের হয়ে যাওয়ায় সে প্রাণে বেঁচে গেছে।
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
কুমিল্লার মুরাদনগর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসিফ মাহমুদের পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন। সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হন, তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে বিএনপির অভিযোগ বক্স, যা পাওয়া গেল
সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান
মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। আমাদের অনেক সমর্থক আহত হন।”
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “তারা হামলা করার পর আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে।”
কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, আজ মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থান করা কিছু লোক বিনা উসকানিতে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে।
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ