এক মিনিট নিরাবতা পালন করে শুরু বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ
Published: 22nd, July 2025 GMT
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় শোকে মুহ্যমান পুরো বাংলাদেশে। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হৃদয় পুড়ছে সবার। যা ছুঁয়ে গেছে ক্রীড়াঙ্গনেও।
শ্রদ্ধার সঙ্গে নিহতদের স্মরণ করে মাঠে নেমেছেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যা ৬টায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।
ম্যাচ শুরুর আগে স্টেডিয়ামে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। দুই দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও ম্যাচ অফিসিয়ালরা কালো আর্মব্যান্ড ধারণ করেছেন। এছাড়া বিসিবির উদ্যোগে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
এবার ফিরলেন লিটন
ভরসার হাত এখন ছড়ানো
ম্যাচ চলাকালীন কোনো গান বাজানো হচ্ছে না স্টেডিয়ামে। পুরো ম্যাচ জুড়েই পরিবেশ রাখা হবে মর্যাদাপূর্ণ। এর আগে বিসিবি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে নিজেদের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে পাকিস্তান। প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে বাংলাদেশ সিরিজে এগিয়ে। আজ জিতলেই বাংলাদেশ জিতে যাবে সিরিজ।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’