Prothomalo:
2025-09-18@00:43:50 GMT

একজন বিয়োগান্ত নায়ক

Published: 23rd, July 2025 GMT

১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই যে শিশুটির জন্ম হয়েছিল, আজ তিনি শতবর্ষ পেরোলেন। অবশ্য এ জগৎ থেকে তিনি বিদায় নিয়েছেন অর্ধশত বছর আগে। তিনি জড়িয়ে আছেন এ দেশের জন্মের সঙ্গে। বিস্মরণের ভেতর থেকে তাঁর স্মৃতি জেগে ওঠে মাঝেমধ্যে। তিনি তাজউদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ ছয় দফা কর্মসূচি নিয়ে এগোচ্ছিল। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ অপ্রত্যাশিতভাবে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করা হলে এ দেশে অভূতপূর্ব গণবিদ্রোহ হয়। ৩ মার্চ রাতে ধানমন্ডিতে সে সময়ে বাঙালির প্রধান নেতা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে এলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের প্রতিনিধি মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। মুজিব খুব ক্ষুব্ধ। বললেন, এত কিছু ঘটে যাওয়ার পরও তাঁরা আলোচনা করতে ইচ্ছুক।

বাদ সাধলেন মুজিবের সহকর্মী তাজউদ্দীন আহমদ। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, এই নৃশংসতার পর ভুট্টোর সঙ্গে এক ছাদের নিচে আর বসা যায় না। জাতীয় পরিষদ দুই ভাগ হয়ে যাক। একটি পূর্ব আর একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। প্রত্যেক পরিষদ নিজ অংশের জন্য সংবিধান তৈরি করুক। পরে দুই পরিষদ একসঙ্গে বসে পাকিস্তানের জন্য একটি সংবিধান লিখতে পারে।

তাজউদ্দীন স্পষ্টতই পাকিস্তান ভেঙে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তারপরও ২৪ মার্চ পর্যন্ত আলোচনার নামে কালক্ষেপণ হয়। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালির ওপর প্রচণ্ড আঘাত হানে। শুরু হয়ে যায় প্রতিরোধযুদ্ধ।

২৫ মার্চ রাতে দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গিয়েছিল। আমাদের সামনে কী কী বিকল্প ছিল? আমরা একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারতাম। শেখ মুজিবের হিসাব ছিল ভিন্ন। সশস্ত্র স্বাধীনতার লড়াইয়ের যে অনিশ্চিত, কষ্টকর, কণ্টকাকীর্ণ পথ, সে পথে তিনি যাননি। তাহলে লড়াইটা হবে কীভাবে?

প্রতিবেশী ভারত সীমান্ত খুলে দিল। দলের অন্য নেতারা ও তরুণদের একটা অংশ ছুটল সীমান্তের দিকে। ভারত তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও সামরিক সহযোগিতা দিল। এই কালবেলায় তাজউদ্দীন এককভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে চলে যান নয়াদিল্লি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পরামর্শে ১০ এপ্রিল গঠন করেন বাংলাদেশ সরকার। এই সরকারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের আমবাগানে। সরকারের ঠাঁই হয় কলকাতার থিয়েটার রোডের একটি দোতলা বাড়িতে।

ভারতে আশ্রয় নেওয়া এবং তাদের সাহায্য নিয়ে সরকার গঠন করার মধ্যেই ছিল একধরনের সমীকরণ ও সংকট। বাংলাদেশের যুদ্ধ একই সঙ্গে হয়ে যায় ভারতের যুদ্ধ। প্রবাসী সরকারের নিউক্লিয়াস ছিলেন তাজউদ্দীন। ভারতের আশ্রয়ে থাকার কারণেই তাঁকে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যা এড়ানো যেত না। কেউ পারতেন না। ফলে যুদ্ধে একপর্যায়ে চালকের আসনে বসে যায় ভারত। তাজউদ্দীনের কপালে কেউ কেউ যুক্ত করে দেয় ‘ভারতের দালাল’ তকমা। চার বছর পর তাঁকে জীবন হারাতে হয় এই ‘কলঙ্ক’ নিয়ে।

মুজিবের অনুপস্থিতিতে ভারতে গিয়ে সরকার গঠনের বিকল্প ছিল না। দলের অন্যান্য নেতার প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও তাজউদ্দীন এ কাজটা করেছিলেন। দলের মধ্যে তিনি কোন্দলের শিকার হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। ইন্দিরা গান্ধীর প্রবল সমর্থন নিয়েই তিনি ও তাঁর সরকার টিকে ছিল। যুদ্ধ শেষে চালচিত্র বদলে যায়। তাঁকে বাদ দিয়েই দেশটা এভাবে স্বাধীন হয়ে যাবে, এটা মুজিবের মর্মপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাজউদ্দীন ধীরে ধীরে ব্রাত্য হয়ে পড়েন। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল শেখ মুজিবের নামে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত নেতা ছিলেন তাজউদ্দীন। আর তিনিই হলেন এর প্রথম শিকার।

প্রশ্ন হলো, ইতিহাস তাজউদ্দীনকে কীভাবে মূল্যায়ন করবে? আমাদের মতো দেশে রাজনৈতিক দলে যৌথ নেতৃত্ব একটি কল্পনাবিলাস মাত্র। আওয়ামী লীগে নেতা ছিলেন একজনই—শেখ মুজিব। দলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাঁর ‘কাল্ট’। তাঁর ছায়ায় ঢাকা পড়েছিলেন তাজউদ্দীন। একাত্তরের ওই ক্রান্তিলগ্নে মুজিবের অনুপস্থিতিতে তিনি এমন একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেই স্বাধীন বাংলার সরকার গঠন সম্ভব হয়েছিল। তা না হলে বাংলাদেশ হয়তো আরও অনেক দিন থেকে যেত পূর্ব পাকিস্তান হিসেবে। কে জানে, আমাদের অবস্থা হয়তো হতো মিজোরাম কিংবা বেলুচিস্তানের মতো। জাতিসংঘের একটি পূর্ণ সদস্যরাষ্ট্র ভেঙে আরেকটি রাষ্ট্র তৈরি হওয়া তো একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। সেটিই ঘটে গেল একাত্তরে। তাজউদ্দীন ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন।

দেশ মুক্ত হলো। শেখ মুজিব পাকিস্তান থেকে ফিরে এলেন, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন। তাজউদ্দীন হলেন অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী। একই সঙ্গে হলেন পরিকল্পনা কমিশনের চেয়ারম্যান। কিছুদিন পর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কেড়ে নেওয়া হলো তাঁর কাছ থেকে। দুই বছর পর তিনি বরখাস্ত হলেন সেখান থেকেও। মুজিব অবশ্য শিষ্টাচার মেনে কাজটা করেননি। তিনি একটা পদত্যাগপত্র লিখে প্রতিস্বাক্ষর করে পাঠিয়ে দেন তাজউদ্দীনের কাছে। তাজউদ্দীন তাতে সই দিয়ে দেন।

একটা ভবন তৈরি করতে অনেকগুলো স্তম্ভ লাগে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাজউদ্দীন যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ ছিলেন, তা অস্বীকার করা যায় না। অথচ বিনিময়ে তিনি পেয়েছেন উপেক্ষা। ১৯৭৪ সালের অক্টোবরে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার পর তাঁকে নিয়ে সরকারি পত্রিকা বিচিত্রায় যে প্রচ্ছদকাহিনি ছাপা হয়েছিল, তাতে তাঁর চরিত্র হনন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের নায়কের এই অপমান প্রাপ্য ছিল না।

অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি সফল ছিলেন না বলে একটা প্রচার আছে। অথচ পুরো সরকারই ব্যর্থ বলে সমালোচিত হয়েছিল। সরকারপ্রধানের ইচ্ছার বাইরে গিয়ে কি তাঁর কিছু করার উপায় ছিল?

তাজউদ্দীন ছিলেন উচ্চশিক্ষিত, মার্জিত, রুচিবান। রাজনীতি করতে হলে যে আগ্রাসী মেজাজ লাগে, এটি তাঁর ছিল না। নানা ফন্দিফিকির তিনি বুঝতেন না। একসময় রাজনীতির দাবা খেলায় তিনি হয়ে যান অচল ঘুঁটি। দলের মধ্যে থেকে দলের সমালোচনা করেছেন। বাকশালের বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু সংসদ থেকে পদত্যাগ করেননি। মোসাহেব হননি। বিদ্রোহ করে বিকল্প পথের সন্ধান করেননি। সেই ইচ্ছা কিংবা সাহস তাঁর ছিল না।

তাজউদ্দীন নামে একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নামে তাঁকে নিয়ে লেখা আমার একটি বই আছে। সত্যিই তাজউদ্দীন নামে যে এ দেশে একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, এটা আমরা ভুলতে বসেছি। রাজনীতি ও জীবন উভয় ক্ষেত্রেই তাঁর প্রস্থান বিয়োগান্ত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ত জউদ দ ন মন ত র আম দ র র জন ত হয় ছ ল র একট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে

বান্দরবানের থানচি উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসার জায়গা ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকটে এই হাসপাতাল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে পুরো হাসপাতাল চালাচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। গত পাঁচবছরে চিকিৎসাধীন ও রেফার্ড করা ২৪ জন রোগী মারা গেছেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১৯৯৫ সালে ৩১ শয্যার থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যাত্রা শুরু করে। পরে এটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র দুইজন। তাদের মধ্যে একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন। এ কারণে রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। ১৮ জন নার্স পদে রয়েছেন মাত্র চারজন। চারজন মিডওয়াইফ থাকার কথা, নেই একজনও।

আরো পড়ুন:

ফরিদপুরে পাগলা ঘোড়ার কামড়ে আহত ২০

বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লেন কাদের সিদ্দিকী

প্রাথমিক থেকে শুরু করে জরুরি চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে ছুটে যান পাহাড়ি ও বাঙালিরা। তাদের অভিযোগ, হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা যোগ হয়নি। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন। 

দুর্গম এলাকার রোগীরা অনেক সময় নদীপথ কিংবা পাহাড়ি রাস্তা পাড়ি দিয়ে হাসপাতালে এলেও কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা পান না। বরং তাদের বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। অনেক সময় বান্দরবানে যাওয়ার পথে রোগীরা মারা যান। এ কারণে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন তারা।

হাসপাতালের পরিসংখ্যানবীদ পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, ২০২০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এখানে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ১৯৮ জন রোগী। এর মধ্যে ৪৫৬ জনকে রেফার্ড করা হয় বান্দরবান সদর হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৭ জন রোগী। 

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক মংক্যসিং মারমা বলেন, “২০১৯ সালে চাকরিতে যোগদান করার পর থেকে অন্তত সাতজন রেফার্ড করা রোগী মাঝপথে আমার গাড়িতেই মারা গেছেন।”

 

শৈসাই মং মারমা তিন বছর আগে বিনা চিকিৎসায় তার মাকে মারা যেতে দেখেছেন। তিনি জানান, তার মা শৈমেপ্রু মারমা (৩৪) অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর হঠাৎ তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। রেমাক্রী বাজার থেকে নদীপথে থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান মাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ভাড়া গাড়িতে জেলা হাসপাতালে যাওয়ার সময় চিম্বুক বারো মাইল এলাকায় তার মা মারা যান।

লেংরু ম্রো নামে চার সন্তানের মা হারিয়েছেন স্বামীকে। তিনি জানান, তার স্বামী রেং য়ুং ম্রো (৪৫) কিডনি জটিলতা নিয়ে থানচি হাসপাতালে যান। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। থানচি থেকে বান্দরবান যাওয়ার মাঝপথে মারা যান তার স্বামী।

স্থানীয় বাসিন্দা মংমে মারমা বলেন, ‍“হাসপাতালে চিকিৎসক, ওষুধ ও যন্ত্রপাতির সংকট দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বদলি হলেও অনেকেই থানচিতে যোগ দেন না, ডিপুটেশনে থেকে যান সদর হাসপাতালে। ফলে এ অঞ্চলের পাহাড়ি ও বাঙালি প্রায় ৩০ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”

রিয়েং ম্রো নামে অপর বাসিন্দা বলেন, “পাহাড়ে বসবাসকারীদের অধিকাংশ গরিব। জেলা সদর হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া ব্যয়বহুল ও কষ্টকর। রেমাক্রি, বড় মোদক, তিন্দু থেকে থানচি সদরে রোগী আনতেই অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। এরপর আবার বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করলে সাধারণ মানুষ কীভাবে চিকিৎসা করাবে?” 

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, “বর্তমানে হাসপাতালে আমিসহ দুইজন চিকিৎসক রয়েছেন। একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন। তিন রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। ফলে পুরো হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব আমাকে একাই সামলাতে হচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, “জনবল ও সরঞ্জাম সংকটের কারণে গুরুতর রোগীদের রেফার্ড করা ছাড়া উপায় থাকে না। দীর্ঘ পথের কারণে অনেকেই জীবিত অবস্থায় সদর হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেন না।”

বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, “শুধু বান্দরবান নয়, পুরো তিন পার্বত্য জেলাতেই চিকিৎসক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। নতুন করে ৪৮তম বিসিএসের ডাক্তার পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই সংকট পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও বিভাগীয় প্রধানকে বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের আট-দশজন চিকিৎসককে বান্দরবানে বদলি করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

ঢাকা/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ
  • গ্রাহকের কাছে পেয়ারা খেতে চায় জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা
  • গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ
  • রাশিয়ায় এক বাঙালি বিপ্লবীর খোঁজে
  • আপনার এত সাহস হয় কী করে, সাংবাদিককে নায়িকা
  • দুবাইয়ে বিকৃত যৌন ব্যবসা চক্রের প্রধানকে চিহ্নিত করল বিবিসির এক অনুসন্ধান
  • মহানবী (সা.)–এর ইন্তেকালের পরে শাসন নিয়ে যা ঘটেছে
  • কুবিতে নতুন ১৮ বিভাগ ও ৪ ইনস্টিটিউট চালুর সুপারিশ
  • সংগীতশিল্পী দীপ মারা গেছেন
  • ৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে