দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন চিকিৎসাধীন ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের হাসপাতালে, আর একজন ছিলেন চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে। এ নিয়ে জুলাই মাসে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হলো। আর চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৬৯ জনের মৃত্যু হলো।

আজ বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩১৯ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসে মৃত্যু হয় যথাক্রমে ১০, ৩, ৭ ও ৩ জনের। মৃত্যু বেড়ে যায় গত জুন মাসে। জুন মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় ১৯ জনের। তবে চলতি জুলাই মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর প্রবণতা বেশি। ২৩ দিনেই ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিভাগ ওয়ারি তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। ঢাকা বিভাগে মৃতের সংখ্যা ৪০। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে তাঁদের ঢাকা বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ঢাকার পর সবচেয়ে বেশি মারা গেছে বরিশাল বিভাগে। দক্ষিণাঞ্চলের এই বিভাগে এ পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জন র ম ত য

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ