কাঠের চশমা পরা কর্তৃপক্ষের দুর্ঘটনা ছাড়া চোখ খোলে না
Published: 23rd, July 2025 GMT
সাত বছর আগে ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী আবদুল করিম রাজীব ও দিয়া খানম মীম নিহত হন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে সেদিন থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলন দেশবাসীর সমর্থন পেয়েছিল। টানা ৯ দিন রাজপথে আন্দোলনের পর সরকারের আশ্বাসের ভিত্তিতে শ্রেণিকক্ষে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা।
ওই সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি সংস্থাগুলো বলেছিল, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তাদের চোখ খুলে দিয়েছে। তবে খুলে যাওয়া সেই চোখ বন্ধ হতেও সময় লাগেনি। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত হয়নি, সড়কে বিশৃঙ্খলাও বন্ধ হয়নি।
শুধু সড়ক খাত নয়, দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতা দৃশ্যমান। চোখের সামনে দিনের পর দিন ধরে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা চলছে। কোনো দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটার পরে জানা যায় নানা গাফিলতি ও অনুমোদন না থাকার কথা। ঘটনার পর কিছুদিন মিডিয়ায় শোরগোল চলে, প্রেসক্লাব-রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন, কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি করে, মন্ত্রী-উপদেষ্টারা হুমকি দেন অনিয়মে জড়িতদের দেখে নেওয়ার।
তারপরের অবস্থা তথৈবচ। গোল্ডফিশ মেমোরির এই শহরে সবাই দ্রুতই ঘটনা ভুলে যায়। কিছুদিন না পেরোতে দৃশ্যপটে চলে আসে আগের চেয়েও ভয়ানক কোনো দুর্ঘটনা। নতুন ঘটনাও একই চক্রে ঘুরে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলে দ্রুত। জীবন্ত কিছু মানুষ অবহেলা-অব্যবস্থাপনার বলি হয়ে লাশের সংখ্যায় পরিণত হয়। নিহতদের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে সবাই ছুটতে থাকে। জাতি অপেক্ষায় থাকে নতুন কোনো দুর্ঘটনার।
সর্বশেষ গতকাল ২১ জুলাই বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এতে এখন পর্যন্ত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ওই স্কুলভবনে আছড়ে পড়ে। এ ঘটনার পর কেউ কেউ বলছেন, স্কুলটি নির্মাণের জায়গা নির্বাচন সঠিক ছিল না। বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো বিমান বাতিল করে আধুনিক ও নিরাপদ বিমান চালুসহ বিভিন্ন দাবিও ওঠেছে।
এ ঘটনার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হবে। অভিভাবকেরা সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়েও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় থাকবেন। তবে এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কোনো কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেবে কি—সেটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অগ্নিনিরাপত্তার ক্ষেত্রে হোক কিংবা বহু বছরের পুরোনো প্রশিক্ষণ বিমান অপসারণ করে হোক।
গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। কোনো ভবন ব্যবহার করার আগে রাজউকের কাছ থেকে ‘অকুপেন্সি সার্টিফিকেট’ নেওয়া বাধ্যতামূলক। এর কারণ, রাজউকের অনুমোদন নিয়ে নির্মাণের পরও ব্যবহারবিধি সঠিকভাবে না মানলে একটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। আগুনে পুড়ে যাওয়া আটতলা গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট বা ব্যবহার সনদ ছিল না। ব্যবহার সনদ ছাড়াই ১১ বছর ধরে ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছিল।
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে গত বছরের ৯ মার্চ ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে যৌথভাবে মতবিনিময় সভা করেছিল এএলআরডি, আসক, বেলা, ব্লাস্ট, বিলসসহ ১০টি বেসরকারি সংগঠন। সেখানে উঠে আসে, অগ্নিকাণ্ডের মতো বড় দুর্ঘটনার পর তদারকির দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থাগুলো পারস্পরিক দোষারোপের মাধ্যমে নিজেদের দায়িত্ব থেকে দায়মুক্তি নেওয়ার চেষ্টা করে।গ্রিন কোজি ভবনে আগুনের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে করা মামলার এজাহারে বলা হয়, রাজউকের দোকান পরিদর্শকদের ‘ম্যানেজ’ করে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ ব্যবসা চলছিল। অন্যদিকে রাজউকের তদন্ত কমিটি এ ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতি পায়।
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে গত বছরের ৯ মার্চ ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে যৌথভাবে মতবিনিময় সভা করেছিল এএলআরডি, আসক, বেলা, ব্লাস্ট, বিলসসহ ১০টি বেসরকারি সংগঠন। সেখানে উঠে আসে, অগ্নিকাণ্ডের মতো বড় দুর্ঘটনার পর তদারকির দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থাগুলো পারস্পরিক দোষারোপের মাধ্যমে নিজেদের দায়িত্ব থেকে দায়মুক্তি নেওয়ার চেষ্টা করে।
নগরবিদদের মতে, ঢাকায় মাত্র ৭ থেকে ৮ শতাংশ ভবনের ক্ষেত্রে ব্যবহার সনদ নেওয়া নিশ্চিত করা গেছে। এ ক্ষেত্রে রাজউকের প্রচেষ্টার অভাব যেমন দেখা যায়, তেমনি তাদের অবহেলাও রয়েছে। আবার ব্যবহার সনদ না থাকা সত্ত্বেও ভবনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা করার অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) দিচ্ছে দুই সিটি করপোরেশন। অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরও এসব ভবন থেকে রেস্তোরাঁকে অগ্নিনিরাপত্তা-সংক্রান্ত সনদ দিচ্ছে। এ ধরনের অনুমতি দেওয়ার আগে রাজউক অনুমোদিত নকশা ও ব্যবহার সনদ বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন।
বেইলি রোডের আগুনের ঘটনার পর ঢাকার বহু ভবনে গড়ে ওঠা অজস্র রেস্তোরাঁ ও এগুলোর অনুমোদন নিয়ে হইচই পড়ে যায়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় অভিযান। সিলগালা করে দেওয়া হয় একাধিক ভবন। তবে বছর না পেরোতেই বন্ধ করা এসব ভবন আবার খুলে গেছে, চালু হয়ে গেছে ভবনে থাকা রেস্তোরাঁগুলোও। অভিযোগ আছে, এসব ভবন বন্ধ ও অভিযান একেবারেই লোকদেখানো। এগুলোর মধ্য দিয়ে কর্মকর্তাদের কারও কারও উপরি কামাইয়ের পথ খুলে যায়। নাগরিক জীবনের নিরাপত্তা বিক্রি হয়ে যায় টেবিলের নিচের আদান-প্রদানে।
আরও পড়ুনআবারও মৃত্যুর মিছিল: আমরা ভুলে যাই, মায়াকান্নায় প্রতিকারও হারিয়ে যায়২২ জুলাই ২০২৫বেইলি রোডের আগেও বিভিন্ন সময়ে ঢাকায় ভবনে অগ্নিদুর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারান। এর মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় আগুনে মারা যান ৭১ জন। একই বছরের ২৮ মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। আর ২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিকের গুদাম থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে মারা যান ১২৪ জন। এসব ঘটনায় সরকারি সংস্থাগুলোর অবহেলার বিষয়টি উঠে আসে।
চুড়িহাট্টা এলাকাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে পড়েছে। এই সিটি করপোরেশন এলাকায় কতটি রাসায়নিকের গুদাম আছে, তা নিয়ে ২০২০ সালের শেষের দিকে একটি জরিপ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় করা ওই জরিপে কেবল ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে রাসায়নিকের গুদাম খুঁজে পাওয়া যায় ১ হাজার ৯২৪টি। এসব গুদামের মধ্যে ৯৮ শতাংশই ছিল ঝুঁকিপূর্ণ।
চুড়িহাট্টার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি জরুরি ভিত্তিতে পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকা থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিকের গুদাম সরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করেছিল। সে অনুযায়ী রাজধানীর শ্যামপুরে উজালা ম্যাচ কারখানার জমিতে ৫৮ কোটি টাকা খরচ করে অর্ধশতাধিক রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ করে শিল্প মন্ত্রণালয়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা রাসায়নিকের গুদামগুলো সেখানে সরিয়ে নিচ্ছেন না। সবাই যেন অপেক্ষা করছে আরেকটি নিমতলী-চুড়িহাট্টার মতো ঘটনার, এরপর হয়তো আবার কিছুদিন রাসায়নিক গুদাম সরানো নিয়ে আলোচনা হবে।
২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল ভোরে আগুনের লেলিহান শিখায় দাউ দাউ করে পুড়েছিল রাজধানীর বঙ্গবাজার। অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স ও আশপাশের মার্কেট মিলিয়ে ৩ হাজার ৮৪৫টি দোকানের ক্ষয়ক্ষতি হয়। বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটেই এর আগে কমপক্ষে তিনবার আগুন ধরেছিল।
আরও পড়ুনএই মৃত্যু কি আমরা এড়াতে পারতাম না ৮ ঘণ্টা আগেবঙ্গবাজারে আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মার্কেটটিকে ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করার পর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের ১০ বার নোটিশ দিলেও কেউ রা করেনি। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুন লাগার ঝুঁকির কথা লেখা ব্যানার টানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, কিন্তু তাতে কারও হুঁশ হয়নি।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডসের সেজান জুসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে ২০২১ সালের ৮ জুলাই। আগুন নিভিয়ে দেয় কারখানার ৫৪ জন শ্রমিকের প্রাণপ্রদীপ। সেখানে বেশিরভাগই ছিল শিশুশ্রমিক। এ ঘটনায় কারখানার কর্মপরিবেশের দুর্বলতার বিষয়টি সামনে উঠে আসে। রূপগঞ্জের এই প্রতিষ্ঠানটিতে বিল্ডিং কোড মেনে ভবন তৈরি হয়নি। শ্রমিকেরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও রাখা হয়নি। অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও ছিল না।
এমন অব্যবস্থাপনা কেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কর্তৃপক্ষের চোখে পড়েনি, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। হাসেম ফুডসের সেই ঘটনার পর শ্রমিকের কর্মপরিবেশ নিরাপদ করতে দেশের সব কারখানায় জরুরি তদারকি প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোরও তাতে টনক নড়েনি। এখনো দেশের আনাচকানাচে গড়ে ওঠা শিল্পকারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে ঘাটতি রয়ে গেছে।
আরও পড়ুনবেইলি রোড: অগ্নিকাণ্ডের কাঠামোগত ভিত্তি যেভাবে বহাল থাকে০৬ মার্চ ২০২৪নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকায় মসজিদে বিস্ফোরণে ৩১ জনের মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর। বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে তিতাস গ্যাস মসজিদের পূর্ব ও উত্তর পাশের সড়কের পুরো মাটি খুঁড়ে পরিত্যক্ত পাইপলাইনে ছয়টি ছিদ্র দেখতে পায়। এ ঘটনায় তিতাস গ্যাসের লিকেজ, বিদ্যুতের স্পার্ক ও মসজিদ কমিটির অবহেলাকে চিহ্নিত করে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। তিতাসের পুরো পাইপলাইনে এখনো অসংখ্য ছিদ্র বা লিকেজ পাওয়া যাবে। কিন্তু সেগুলো বন্ধে সংস্থাটির তৎপরতা চোখে পড়ে না।
এভাবে বড় কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেই দেখা যায়, কোনো না কোনো সরকারি সংস্থার গাফিলতি ও তদারকির অভাব ছিল। দুর্ঘটনার পর জানা যায়, গাড়ির ফিটনেস ছিল না। ভুল চিকিৎসার পর জানা যায়, ক্লিনিকের লাইসেন্স ছিল না। আগুন লাগার পর জানা যায়, ভবনের নকশায় ত্রুটি। তাহলে প্রশ্ন একটাই—সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আগে কী করেন?
দুর্ঘটনার পর তদারকির দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা নিজেদের দায় অন্য সংস্থার ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার তদন্তে সরকারি সংস্থার গাফিলতির চিত্র উঠে আসে। কিন্তু তাদের ‘দায়মুক্তি’ দেওয়া হয়। কোনো ঘটনায় সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। জবাবদিহি ও আইনের শাসন নিশ্চিত না করা গেলে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ হবে না।
সামছুর রহমান সাংবাদিক ও কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট
ই-মেইল: [email protected]
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন র পর ব যবহ র সনদ দ র ঘটন র প র ঘটন য় র জউক র ব যবস থ অন ম দ ন র পর ন র পদ র অন ম ত বছর অবহ ল সরক র এ ঘটন বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।