ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাহতাব রহমান (১৫) নামে দগ্ধ আরেক শিক্ষার্থী মারা গেছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩২ জনে।  

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বেলা ১টা ৫০ মিনিটের দিকে মাহতাব রহমান মারা যায়।

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, “মাহতাবের শ্বাসনালীসহ শরীরের ৮৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সে মারা গেছে।”

ইংরেজি মাধ্যমের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহতাবে বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায়। বাবা মিনহাজুর রহমান। উত্তরায় পরিবারের সঙ্গে থাকত সে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাবার সঙ্গে স্কুলে যাতায়াত করত মাহতাব। স্কুল ছুটির ১০-১৫ মিনিট আগে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ওই স্কুলের অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী হতাহত হয়। এ সময় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের খুঁজে পেতে ছোটাছুটি করতে থাকেন। এ সময় মাহতাব রহমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বার্ন ইউনিটে নিয়ে যায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আইসিউইতে নেওয়া হয়।

নিহতদের মধ্যে এখনো ছয় জনের পোড়া লাশ শনাক্ত করা যায়নি। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করার জন্য নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

ঢাকা/এমআর/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হত ব র অবস থ রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানের রাস্তায় রাস্তায়  ‘হিটেড বেঞ্চ’

জাপানের টোকিও, সাপোরো এবং ওসাকার মতো বড় বড় শহরগুলোর রাস্তায় হিটেড বেঞ্চ বসানো হয়েছে। তীব্র শীতের রাতে গৃহহীন মানুষদের উষ্ণতা এবং স্বস্তি দেওয়াই এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।এই বেঞ্চগুলো সৌরশক্তি চালিত হয়ে থাকে।

হিটেড বেঞ্জগুলো দিনের বেলায় সূর্যের আলো থেকে তাপ সংগ্রহ করে বিশেষ "ফেজ-চেঞ্জ মেটেরিয়াল" ব্যবহার করে তা সংরক্ষণ করে।  এরপর সংরক্ষিত তাপ রাতে ধীরে ধীরে নির্গত হয় এবং প্রায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত উষ্ণতা সরবরাহ করতে পারে। এটি পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী। 

আরো পড়ুন:

কারা বেশি কাঁদেন? 

যেসব কারণে মানুষ স্বর্ণ জমায়

হিটেড বেঞ্চের জন্য কোনো অতিরিক্ত জ্বালানী বা বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না। এই মানবিক উদ্যোগটি জাপান সরকারের একটি সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ, যা নগর পরিকল্পনায় উদ্ভাবন এবং সামাজিক কল্যাণের এক চমৎকার উদাহরণ বলছেন দেশটির নাগরিকেরা। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ